কলা
কলায় প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম শরীরের পেশীগুলোকে শিথিল করে। তাই কলা খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং বিশ্রাম ও ঘুমে সহায়ক হয়।
চন্দ্রমল্লিকা চা
চন্দ্রমল্লিকা চা সবুজ ও কালো চায়ের মতো বেশ স্ট্রং। চন্দ্রমল্লিকা চা খুব নরম। তাই ঘুমের আগে এক কাপ চন্দ্রমল্লিকা চা পান করলে তা ঘুমের সময় পানির অভাবও পূরণ করে।
এক কাপ দুধ
দুধ মধ্যে এল-ট্রাইপটফান নামের এমাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এ উপাদানটি ঘুমে সহায়তা করে। রাতে খাবারের সময় বা পরে এক কাপ দুধ খেতে পারেন। নিয়মিত দুধ খেলে আপনার ঘুম সহজ হবে।
মধু
ব্যাপক পরিমাণে চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খেলে মস্তিষ্ক অস্থির হয়। কিন্তু অল্প পরিমাণে গ্লুকোজ খেলে মস্তিষ্ক থেকে অরেক্সিন নামক উপাদান বের হয়ে যায়। এ উপাদানের সঙ্গে চিন্তাধারার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু খান অথচ আপনি দুধ ও চন্দ্রমল্লিকা চায়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু খেতে পারেন।
আলু
ঘুমে সহায়তার জন্য একটি সিদ্ধ করা আলুও খেতে পারেন আপনি। একটি ছোট আলু আপনার পেটের কোনো ক্ষতি করবে না। বরং এর মধ্যে এমন এক উপাদান আছে যা আপনার ঘুমের জন্য সহায়ক হবে। আলুর এল-ট্রিপ্টোফ্যানের ভূমিকা আমরা আগেই বলেছি। যদি দুধে শুকনা আলুর গুড়া মিক্স করে খেতে পারেন তাহলে ঘুমে সহায়তার কাজ আরও কার্যকর হবে।
জই দানা
জই দানা এক ধরনের যবজাতীয় শস্য। এটিও এল-ট্রিপ্টোফ্যান নামের এমাইনো অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উত্স। রাতের বেলায় জই দানার তৈরি করা কোনো হালকা খাবার শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং এটি ঘুমের জন্য সহায়ক।
তিসির বীজ
অনেকই হয়তো জানে তিসির বীজ খুবই উপকারী একটি খাবার। তিসির বীজে রয়েছে সমৃদ্ধ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যার কারণে এই খাবারের আপনার মনের উদ্বেগ ও হতাশা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। উদ্বেগ ও হতাশা ঘুম না হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
গম সমৃদ্ধ ব্রেড
গমে প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ ম্যাগনেসিয়াম আছে। নিয়মিত অল্প পরিমাণ এই ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করা ঘুমের জন্য সহায়ক। তাই রাতে ঘুমের সময় যদি খিধে লাগে, তাহলে এক পিস গম সমৃদ্ধ ব্রেড খেতে পারেন আপনি।