আলিম: আচ্ছা, এসব খাবার খেলে আমাদের শরীরের অবস্থা নিশ্চয় দিন দিন উন্নত হবে। আরেকটি কথা প্রিয় শ্রোতাকে বলতে চাই। আর সেটি হলো: খাবার খাওয়ার পরিবেশটিও কিন্তু সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া চাই।
উর্মি: তাহলে আমি শুনতে চাই, এ বিষয়ে আলিম ভাইয়া আর কী বলতে চান।
আলিম: আপনি যেখানে বসে খাবার খাচ্ছেন, সেখানকার পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে টেবিলে বলে খাচ্ছেন, সে টেবিলের রঙ, বাসন, চামচ ইত্যাদির রঙ আপনার রুচিকে প্রভাবিত করবে। যেমন, খাবার ঘরে হলুদ রঙের আধিক্য খাবারের প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার ঘর ও টেবিল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
উর্মি: হ্যাঁ, আলিম ভাইয়া, আপনি ঠিক বলেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, tableware –র রঙ ও খাবারের রঙ একই বা কাছাকাছি হলে, মানুষ সাধারণত প্রায় ২২ শতাংশ খাবার বেশি খেতে পারে। তবে যদি tableware –র রঙ ও tablecloth- র রঙ একই বা কাছাকাছি হয়, তাহলে মানুষের প্রায় ১০ শতাংশ খাবার কম খাওয়া হয়। সুপ্রিয় শ্রোতা, যদি আপনি খাওয়ার আগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করতে চান, অথবা আপনি নিজের Weight কমিয়ে দিতে চান, তাহলে এভাবে চেষ্টা করতে পারেন।
আলিম: হুম, বিষয়টা ইন্টারেস্টিং।
উর্মি: প্রিয় শ্রোতা, গানটি আপনার কেমন লাগলো? আশা করি ভাল লেগেছে। এখন আমরা বেডরুমের রঙ নিয়ে আলোচনা করবো। সাধারণত মানুষ তার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটায় ঘরে ও অফিসে। জেনে রাখুন, ঘর ও অফিসের রঙও আপনার শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বলছেন: "বাড়ির লিভিং রুমের রঙ একটু উজ্জ্বল হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সাদা রঙও বেশ ভাল। সিলিং-এর রঙ হওয়া উচিত মেঝের চেয়ে হালকা। শোবার ঘরের জন্য ভালো রঙ হচ্ছে হালকা নীল।" ব্রিটেনের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, যারা হালকা নীল রঙের শোবার ঘরে থাকেন, তাঁরা প্রত্যেকে রাতে গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভালো করে ঘুমাতে পারেন। আজকাল বিশ্বব্যাপী তরুন দম্পতিদের মধ্যে বেগুনী রঙে শোবার ঘর সাজানো প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোবার ঘরের বেগুনী রঙ ব্যবহার করা উচিত নয়। এই রঙ শোবার ঘরে একধরনের বিষন্নতা নিয়ে আসে। যদি আপনি দেয়ালের রঙ পরিবর্তন করতে না-চান, তাহলে দেয়ালে ক্রিমি-হোয়াইট রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
আলিম: তাহলে আমি অফিসের রঙ নিয়ে কিছু বলবো। গবেষণাধর্মী কাজ হয় এমন অফিসে ডিজাইনের জন্য কিছুটা হালকা রঙ বাছাই করা উচিত। আর যে অফিসে প্রচার-প্রচারণামূলক কাজ হয় সে অফিসের রঙ উজ্জ্বল হওয়া বাঞ্ছনীয়।
উর্মি: আচ্ছা, আলিম ভাইয়া, এখন আমরা গাড়ির রঙ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করি। অস্ট্রেলিয়ার এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, কালো, সোনালী, সবুজ ও নীল রঙের গাড়ি তুলনামূলকভাবে বেশি দুর্ঘটনাকবলিত হয়। অন্যদিকে সাদা, লাল ও হলুদ রঙসহ উজ্জ্বল রঙের গাড়িগুলো তুলনামূলকভাবে কম দুর্ঘটনায় পড়ে।
আলিম: নিউজিল্যান্ডের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, যারা Silvery white রঙ গাড়ি চালান, তাঁরাও খুব কম দুর্ঘটনা ঘটান। যদি কোন একবার দুর্ঘটনা হয়, তাহলে ড্রাইভারের ক্ষতি খুবই ছোট। এ ছাড়া, গাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইনও চালকের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। ঋতুভেদেও গাড়ির রঙ ভিন্ন ভিন্ন হওয়া উচিত। যেমন: গ্রীষ্মকালে হালকা রঙের গাড়ি এবং শীতকালে গাঢ় রঙের গাড়ি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
উর্মি: বন্ধুরা, আজকের 'স্বাস্থ্য ও জীবন' অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হচ্ছে। এ-অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত আমাদেরকে জানাতে কিন্তু ভুলবেন না। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের আগামী দিনের অনুষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী করে তুলবে। আপনাদের সুচিন্তিত ও পর্যালোচনামূলক মতামতের প্রত্যাশায় রইলাম।
আশা করি, আপনারা ওয়েবসাইটের মেইল বক্স, ইমেইল বা টেলিফোনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে তা-ও জিজ্ঞেস করতে পারেন । আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো http: //bengali.cri.cn, ইমেইল ঠিকানা – ben@ cri.com..cn এবং wanghaiman@ cri.com..cn আর টেলিফোন নম্বর - ০০৮৮ ১০ ৬৮৮৯ ২৪২০
সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। আবার কথা হবে আসছে রোববার, একই সময়ে। চাই চিয়ান।