0731ruby
|
হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনারা ঠিকই ধরেছেন, আজকের এ অনুষ্ঠানে আমরা দাঁতের সুস্থতা নিয়ে কথা বলবো।
সুস্থ, সুন্দর দাঁতের জন্য আমাদের সবারই কিছুটা চেষ্টা করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা এজন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
উন্নত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা:
মিষ্টি, চকলেট ও তেলযুক্ত খাবারের অভ্যাস যাদের রয়েছে, তাদের খুব সহজেই দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশি পরিমাণে এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দেয়া বা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও এ ধরনের খাবার খাওয়ার পরপরই ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার করা উচিত।
দাঁত পরিষ্কারের অভ্যাস গড়ে তোলা:
প্রতিদিন কমপক্ষে দুই বার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। আর প্রত্যেকবার তিন মিনিট ধরে এই দাঁত ব্রাশ করা ভালো। অল্প সময় দাঁত ব্রাশ করলে ভালোভাবে পরিষ্কার হবে না। কারণ দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ও দাঁতের প্লাক দূর করতে তিন মিনিট তো লাগবেই।
দাঁতের ব্রাশ সঠিকভাবে ব্যবহার করুন
অনেকেই বেশ শক্তি দিয়ে জোরের সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করেন। তারা মনে করেন, এভাবে করলে দাঁত বেশি পরিষ্কার হবে। আসলে এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। জোরে ব্রাশ করলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হতে পারে। টুথব্রাশ ৪৫ ডিগ্রি করে রেখে দাঁত পরিষ্কার করা ঠিক এবং তিন মিনিট ধরে ব্রাশ করুন। আর প্রতি তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করুন।
দাঁতের চারদিকে ব্রাশ করতে হয়
কেউ কেউ হয়তো চিন্তা করেন যে, দাঁতের ওপরের অংশ দেখা যায় না। সেজন্য অনেক দাঁতের যে অংশটুকো দেখা যায়, মানুষ তার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেজন্য অনেকের দাঁতের ভেতরের অংশে শুরুতেই সমস্যা দেখা দেয়। দাঁত ব্রাশের সময় বাহির ও ভিতরে একইভাবে ব্রাশ করুন। ভিতর ব্রাশের সময় টুথব্রাশ সোজা করে ধরে রাখেন, যেন দাঁত ও দাঁতের মধ্যে ফাঁকা জায়গায়ও পরিস্কার হতে পারে।
প্রতিদিন এক কাপ গ্রিন টি
সবুজ চায়ের মধ্যে একটি উপাদান রয়েছে, যার মাধ্যমে মুখের ভেতরের ক্ষতিকর উপাদান দূর হয় এবং মাড়ির রোগ সারাতে ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য দুপুর ও সন্ধ্যায় বেশি খাবার-দাবারের পর এক কাপ সবুজ চা পান করা দাঁত ও মাড়ির জন্য ভালো।
নির্দিষ্ট সময় পর চিকিত্সকের কাছে দাঁত পরীক্ষা করানো
দাঁতে কোনো ক্ষতি, দাঁত ব্যথা এবং মাড়ি থেকে রক্ত বের হলে অবশ্যই চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে নিয়ে একটি পরিকল্পনা করুন। প্রতি ছয় মাসে বা তিন মাস পরপর একবার করে দাঁত পরীক্ষা করাবেন। কারণ, কিছু কিছু সময় দাঁত ও মাড়ির ছোট ছোট সমস্যা আমরা টের পাই না। চিকিত্সক সে সমস্যাগুলো ধরতে পারেন। এতে সমস্যাগুলো আর বাড়বে না।