Web bengali.cri.cn   
চীন-মার্কিন কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সংলাপ
  2014-07-29 16:21:25  cri

জুন-জুলাইয়ের কয়েকটি সপ্তাহ গোটা বিশ্বের দৃষ্টি ছিল ব্রাজিলের দিকে। কারণ, বিশ্বকাপ ফুটবল। আবার বিশ্বকাপ শেষ হবার পরপরই ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্রিকস্ শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনের পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন ফিং ব্রাজিলে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন। সফরের সময় চীন-ব্রাজিল অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করে।

চীন ব্রাজিলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ব্রাজিলে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে সংখ্যার বিচারে চীনাদের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। তারপরও ব্রাজিলে প্রবাসী চীনাদের অনেকেই মনে করেন, দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। কু চিয়ে ব্রাজিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন চীনা ছাত্রী। তিনি এ সম্পর্কে বললেন- "আমার একজন ব্রাজিলীয় বন্ধু আছেন। একবার তিনি চীনা চলচ্চিত্র The Flowers Of War দেখলেন। কিন্তু চলচ্চিত্রের গল্পটি ঠিক বুঝতে পারলেন না। চলচ্চিত্রটিতে পর্তুগিজ সাব-টাইটেল আছে এবং এটি চীনে এবং চীনের বাইরের চলচ্চিত্রামোদীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অথচ আমার বন্ধুর মতো অধিকাংশ ব্রাজিলীয় মানুষ, চীন-জাপান যুদ্ধ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বিধায়, চলচ্চিত্রটি দেখে এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারেননি।"

ব্রাজিলে সম্প্রতি একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন চীনা চিত্রকর লি থিয়ান ইউয়ান। তিনি মনে করেন, দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করার উপযুক্ত উপায় খুজেঁ পাওয়া উচিত। তিনি বলেন- "চিত্র প্রদর্শনীও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে প্রচারণার চেয়ে বেশি প্রয়োজন পরস্পরকে জানা। আমরা ব্রাজিলকে খুব ভালো করে জানি না, ব্রাজিলও আমাদের সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। আমাদের মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিময় বেশি হলেও, সাংস্কৃতিক বিনিময় শুরুর পর্যায়েই রয়ে গেছে।"

বিশ্বকাপের আগে, পেইচিং পর্যটন উন্নয়ন কমিটি ব্রাজিলের রিও শহরে একটি প্রচার-প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। আয়োজকরা আশা করেছিলেন, এর মাধ্যমে পেইচিং ও চীনকে ব্রাজিলের পর্যটকদের সামনে আরো ভালোভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন। পেইচিং পর্যটন উন্নয়ন কমিটির উপ প্রধান চাও ভেং ছেং বলেন- "পর্যটন একটি ভাল সাংস্কৃতিক বাহক। সংস্কৃতি পর্যটনের আত্মা। পর্যটন ও সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য।"

কিন্তু চীন ও ব্রাজিলের মধ্যে পর্যটক বিনিময়ের হার আশাব্যঞ্জক নয়। ব্রাজিলে চীনের রাষ্ট্রদূত লি চিন ছাং বলেন- "বিদেশে চীনা পর্যটকের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে এবং বছরে গড়ে সে সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি পার্সন টাইমস। অথচ ব্রাজিলে চীনা পর্যটকের সংখ্যা বছরে শুধু ৬০ হাজার। ৬০ হাজার ও ১০ কোটির মধ্যে ব্যবধান অনেক বড়। অন্যদিকে, প্রতিবছর ব্রাজিলের কয়েক মিলিয়ন মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে; কিন্তু চীনে বেড়াতে আসে কেবল ৭০ হাজারের মতো ব্রাজিলীয়। তাই, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে।"

এ বিষয়ে ব্রাজিলের ধারণাও একই। ব্রাজিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মিশেল টেমার বলেন- "চীন সফর শেষে দেশে ফিরে আমি আমাদের পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এসময় আমরা ব্রাজিলে চীনা পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যায় চীনা পর্যটক ব্রাজিলে বেড়াতে আসবেন।"

1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040