0424ruby
|
ধাপে ধাপে ঘুম থেকে ওঠা:
যাদের ঘুম ভাঙার পর বিছানা ছাড়তে সময় লাগে, তাঁরা ১৫ ও ২০ মিনিট আগে অ্যালার্ম দিতে পারেন। বাড়তি সময়টুকুতে ধাপে ধাপে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রথমে চোখ খোলা, তারপর বসা, তারপর উঠে পড়া। ঘুম থেকে ওঠার এই পদ্ধতি ঘুম ভাঙার প্রক্রিয়াকে শান্ত ও ধীর স্থির করতে সহায়তা করবে।
সকালে উঠে পানি পান:
রাতে ঘুমের মধ্যেও আমাদের শরীর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জৈবিক কাজ করে থাকে। এতে সকালবেলা শরীরে পানির ঘাটতি থাকে। ভোরে পরিমাণ মতো পানি পান শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। পানির সঙ্গে ফলের রস মিশিয়ে বা নানা ধরনের শরবত বানিয়ে রেখেও তা পান করা যেতে পারে।
টেলিভিশন না দেখা:
ঘুম থেকে উঠেই টেলিভিশনের সামনে বসা অনেকের অভ্যাস। ঘুম থেকে ওঠার পরপরই টেলিভিশনের সামনে বসলে মন বিক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারে। টেলিভিশনের নানা খবরাখবর আপনার মনকে অস্থির করে তুলতে পারে। শারীরিক ও মানসিকভাবে কাজের প্রস্তুতি নিতে সারা দিনের একটি ছক তৈরি করুন মনে মনে। কিংবা কোনো ভাবনাচিন্তা ছাড়া বারান্দায়, ছাদে অথবা বাড়ির কাছের খোলা জায়গায় ৫ থেকে ১০ মিনিট হেঁটে সময় কাটান।
গোসল করুন:
সকালে গোসল করার অভ্যাস মনকে সতেজ রাখে। ঘুমের কারণে অবিন্যস্ত চুল গোসলের পর পরিপাটি হয়। ত্বকে আসে নমনীয়তা। গোসলে ত্বক-উপযোগী সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। সকালে গোসলের অভ্যাস কাজের উদ্যম বাড়ায়, শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে, বিষণ্ণতা কমায়।
সকালের নাশতা:
অনেকেই সকালের নাশতা হিসেবে হালকা খাবার বেছে নেন। অথচ দুপুরের খাবারের আগেই সাধারণত মানুষ বেশি পরিশ্রম করে। তাই সকালের নাশতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর, নাশতা হতে হবে পর্যাপ্ত। যত তাড়াহুড়োই থাকুক, রুটিন করে সকালের নাশতা করতে হবে। আর সকালে সময়মতো নাশতা না করা নানা রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।