retire
|
অস্ট্রেলিয়ার রাজকোষ মন্ত্রী জৌ হকি সম্প্রতি বলেছেন, ঘাটতি বাজেট থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে সবার অবদান দরকার। অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের ৭০ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশটিতে ব্যাপকভাবে খরচ কমানোর কথা রয়েছে। এ সমস্যার বিরুদ্ধে হকি বলেছেন, মে মাসে প্রকাশিত বাজেটে প্রত্যেকের অবদান দরকার। ঘাটতি বাজেট থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে যে কোন ব্যবসায়ী গ্রুপ, রাজনীতিবিদ অবদান রাখতে পারবে।
অবসরের বয়স সম্পর্কে হকি বলেছেন, দেশের নাগরিকদের আরো বেশি সময় চাকরি করার প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, ৭০ বছর পর্যন্ত চাকরি করে তারপর অবসর নিতে হবে।
সাবেক লেবার পার্টি সরকার আইন প্রণয়ন করে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছর পর্যন্ত উন্নীত করেছিল। আইনটি ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হবে। হকি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো, বিশেষ করে ব্রিটেনও অবসরের বয়স বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করছে।
পুরনো ধারণা বাদ দিয়ে যুক্তিসম্মতভাবে দেশের ভবিষ্যত বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জৌ হকি। এতে দেশের যথেষ্ট অর্থ সাশ্রয় হবে ও বেশি পরিমাণ বয়স্ক মানুষের ভরণ পোষণ করা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
আসলে, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বর্তমানে অনেক দেশ পরীক্ষামূলকভাবে অবসর বয়স ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকের জন্য অবসর বয়স ৬৫ বছর। ২০০৭ সাল থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৭০ বছরে অবসর ব্যবস্থা চালু করে জাপান। এজন্য দেশটির শ্রম, গণস্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় সে বছর পুরস্কারের ব্যবস্থাও করেছিল। যদি মাঝারি ও ছোট আকারের শিল্প-প্রতিষ্ঠান অবসর বয়স ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়ায়, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১৬ লাখ ইয়েনের ভর্তুকির ঘোষণা দেয়া হয়।
এছাড়া, ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের একটি গবেষণা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, দেশটির পুরুষদের আনুষ্ঠানিক অবসরের বয়স ৬০ বছর হলেও, গড়পড়তা তারা ৭১.২ বছর পর্যন্ত চাকরি করার পর প্রকৃত অবসরে যায়।