এপ্রিল ১৬: মঙ্গলবার ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের শহর দনেস্কে রুশপন্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে 'সন্ত্রাস-বিরোধী' অভিযান শুরু করে। এ ছাড়া, দনেস্কের স্লাভিয়াস্কেও একই ধরনের অভিযান চলার সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলি বিনিময় হয়। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব ইউক্রেনের প্রায় ১০টি শহরে বৃহত্তর স্বায়ত্বশাসনের দাবীতে বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভকারীদের দ্বারা দনেস্ক, লুগানস্ক ও খারকভে বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের প্রেক্ষাপটে কিয়েভ সেখানে ২০টি ট্যাঙ্ক ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের সঙ্গে ফোনালাপে জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া আশা করে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টভাবে ইউক্রেনের অস্থায়ী সরকারের সংবিধান-বিরোধী তত্পরতার নিন্দা করবে। এসময় বান কি-মুন বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল। তিনি বিভিন্ন পক্ষকে অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানান।
এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি এসময় ইউক্রেনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং রাশিয়া থেকে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এ ছাড়া, রুশ প্রেসিডেন্ট এদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কিয়েভ প্রশাসনের দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের ফলেই দেশটির পরিস্থিতি বর্তমানে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে এবং রুশভাষীদের বৈধ অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
ওদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা প্রথমে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে উস্কানিমূলক তত্পরতা চালিয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী দেশটির শান্তি রক্ষায় ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। (ইয়ু/আলিম)
| ||||