140329s.m4a
|
ট: প্রিয় শ্রোতা, da jiahao! পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগতম। গত সপ্তাহের মতো আজও আপনারা শুনবেন 'বাংলায় গল্প,আমাদের গল্প'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আপনাদেরই বন্ধু আমি এনামুল হক টুটুল এবং আমি শিয়েনেন আকাশ।
ক:বন্ধুরা, ভাল আছেন তো? আজকে আমি অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত।
ট: কেন?
ক: কারণ আমাদের শ্রোতাবন্ধুরা আমাদের কাছে অনেক সুন্দর সুন্দর চিঠি পাঠিয়েছেন এবং আমাদের কাছে টেলিফোনও করেছেন। সেজন্য আমি অনেক সুখি এবং আনন্দিত। ভাই, জীবন আসলে খুবই কষ্টের এবং একা, কিন্তু আপনাদের ভালবাসা পৃথিবীটাকে বদলে দিতে পারে এবং আমাদেরকে সুখি করতে পারে। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
ট:হ্যাঁ।বন্ধুরা, আপনাদের চিঠি দেখার পর আমরা এতবেশি মুগ্ধ হয়ে গেছি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। আপনারা যেভাবে আমাদের এ অনুষ্ঠানকে পছন্দ করছেন এবং সমর্থন করছেন আমরা তার জন্য আপনাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। আসলে এ অনুষ্ঠান তো আপনাদেরই । আমরা দুই পরোটা ভাই শুধুমাত্র উপস্থাপন করি। আমাদের এ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবেই আপনাদের অনুষ্ঠান।
ক: আজকে থেকে আমরা এ অনুষ্ঠানে আপনাদের কথা যুক্ত করার চেষ্টা করবো। আমরা দুই পরোটা ভাই শুধু যে প্রতি অনুষ্ঠানে উল্টাপাল্টা বলবো তা নয়, এখন থেকে প্রতি অনুষ্ঠানেই চেষ্টা করবো আপনাদের চিঠি, আপনাদের অনুভূতি সবার সাথে শেয়ার করতে, কেমন?
ট:হ্যাঁ প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যা যা বলতে চান, মানে আপনাদের জীবনের যেকোনো ঘটনা, যা শেয়ার করার মতো তা আমাদেরকে অবশ্যই ইমেইলের মাধ্যমে বলতে পারেন।
ক: ভাই বোনেরা, আনন্দ শেয়ার করলে দ্বিগুন হয়ে যায়; দু:খ শেয়ার করলে অর্ধেক হয়ে যায়,তাই না? মনে রাখবেন, আপনারা একা নন, আমি আছি, টুটুল আছে, আমরা সবাই একই পরিবার। আপনি এ জগতে একা নন।
ট:হ্যাঁ। অবশ্যই। আজকে প্রথমেই আমি বলতে চাই, মিরপুর থেকে আমাদের এক শ্রোতাবন্ধু জান্নাত আপু আমাদেরকে ফোন করেছিলেন। তাছাড়া, ঢাকার আসিফুল ইসলামও সেদিন ফোন করেছিলেন। আমরা সত্যিই অনেক মুগ্ধ এবং কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে। আর এভাবেই আমরা আপনাদের কাছে থেকে সাহস এবং উত্সাহ পাই।
ক: হ্যাঁ জান্নাত আপু, আমরা আপনার কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছি। আপনি আমাদের অনুষ্ঠান এত বেশি পছন্দ করেন তা আমরা ভাবতে পারিনি। আপনি বলেছেন, আপনি প্রতিবার আমাদের অনুষ্ঠান রেকর্ড করেন এবং পরে তা আবার বার বার শুনতে থাকেন।
জান্নাত আপু, আমি আসলে মনের অনেক কথা মুখ খুলে বলতে পারি না। আমার মুখ খুবই ben, মানে আমি একটা গাধা, মনের কথা প্রকাশ করতে পারিনা। কিন্তু ঔদিন আপনি যখন আমাকে ফোন করেছিলেন তখন আমি খুবই ক্লান্ত ছিলাম এবং আমার তখন খুবই ঘুম পাচ্ছিল। কিন্তু আপনার ফোন পাওয়ার পর মানে আপনার সাথে কথা বলার পর আমি অনেক উত্সাহ এবং শক্তি পাই। আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ফোন করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ! আমি আপনার আব্বু আম্মু ,ভাইবোনদের জন্য প্রার্থনা করি। জান্নাত আপু, আমাদের সব শ্রোতাবন্ধুরা, আমাদের সব ভাইবোন আমার এ ৩৩ বছরের জীবনে আপনারা আমাকে যা দিয়েছেন তাতে আমি সত্যি অনেক সুখি। আমি আপানাদের জন্য সবসময় প্রার্থনা করি। আপনারা সম সময় আমার মনে, আমার অন্তরে বাস করেন।
ট: আকাশ ভাইযান, আপনি আবারও আমাকে কাঁদাতে চান। ঠিক আছে, এবার আমি প্রতিশোধ নেবো। আমিও আপনাকে কাঁদানোর জন্য পরিকল্পনা করবো।
শুনুন আকাশ ভাই, এবার আমি আমাদের প্রিয় শ্রোতাদের কিছু চিঠি পড়বো। প্রথমেই আমি আমাদের শ্রোতাবন্ধু, দেবাশীষ গোপ এর চিঠি পড়বো, তিনি লিখেছেন,
এখন রয়েছে বাংলাদেশের বগুড়া জেলার সাইফুল ইসলামের চিঠি। তিনি লিখেছেন,
ক: শ্রোতাবন্ধুরা, এক কথায়,আমরা সবাই একই পরিবার। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আপনারাও আমাদের পাশে আছেন। সবসময়, জীবন দিয়ে। আচ্ছা, আরো কিছু কথা বলতে চাই। দেবাশীষ ভাই, আজকে শুধু আপানার একটি চিঠি পড়েছি ,কারণ আপনি আপনার জন্মস্থান সম্পর্কে যে চিঠি লিখেছেন তা আমরা সম্প্রতি আমাদের জন্মস্থান সম্পর্কিত বিশেষ অনুষ্ঠানে বলতে চাই। আপনি মন খারাপ করবেন না।
বন্ধুরা,যদি আপনারা আপনাদের জন্মস্থান বা শৈশবের কথা আমাদের শেয়ার করতে চান ,তাহলে আমাদের কাছে ইমেইল পাঠাবেন। সাইফুল ভাই, সত্যি, শৈশব ও আমাদের জন্মস্থানের সেইসব দিনের কথা মনে হলে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে। এজন্য আমরাও ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান তৈরি করতে থাকবো। আমাদের শৈশব, জন্মস্থান, প্রিয় বিষয়,প্রিয় স্মৃতি, প্রিয় মানুষ, ভালবাসাসহ আরো অনেক বিষয় যুক্ত থাকবে সেখানে।
ট:হ্যাঁ। সত্যি। আর এসব বিষয়ই তো আমাদের জীবনের সত্যিকারের অনুপ্রেরণা এবং বেঁচে থাকার শক্তি, তাই না?
ক:হ্যাঁ। অবশ্যই। আবারও আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আমার মনে প্রাণে আত্মায় আপনাদের জন্য প্রার্থনা করি। আমাদের আব্বু আম্মু ছেলেমেয়ে সবাই সুস্থ থাকুক, ভাল থাকুক।
ট: ভাই, ধন্যবাদ দিতে দিতে তো ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছি। আর ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তাড়াতাড়ি বলেন, আজকে আমরা কি ধরনের পরোটা খাব?
ক:হাহা! বন্ধুরা ,আমরা আজকে একটি বড় অর্থনৈতিক পরোটা খাব!
আমি সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মি. লি চুনের একটি সাক্ষাতকার নিয়েছি। তিনি চীন-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের আদান প্রদান, বিশেষ করে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। তা ছাড়া, সম্প্রতি আমি পেইচিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রুহিদাস জোদ্দার এর একটি সাক্ষাতকার নিয়েছি। তিনিও দু'দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন ।
ট:হ্যাঁ। বন্ধুরা, আমরা আজকে ও আগামি অনুষ্ঠানে অব্যাহতভাবে তাঁদের সাক্ষাতকারের অডিও আপানাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি এ সাক্ষাতকার আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারবে।
ক:হ্যাঁ। আশা করি আপনারা বাণিজ্যের মাধ্যমে টাকা অর্জন করতে পারবেন । এতে আপনাদের পরিবার, আবু আম্মু ছেলে মেয়ে সবার জীবন ভাল হয়ে যাবে।
ট:এবং অনেক পরোটা বিরানি খেতে পারবেন, হাহা!
ক: অবশ্যই। আচ্ছা, তাহলে বন্ধুরা , আজকে প্রথমেই শুনুন মি.লি চুনের সাক্ষাতকার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর হবে একবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত
ট: হ্যাঁ, শ্রোতাবন্ধুরা, তাহলে আমরা একসাথে বসে এ সাক্ষাতকার শুনবো, কেমন?
ক: মি. লি চুন, প্রথমে আমি বলতে চাই যে,আপনার সাক্ষাতকার নিতে পেরে আমি খুব সম্মান বোধ করছি। আপনি জানেন যে, এবারের দুই সম্মেলনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খে ছিয়াং সরকারের কার্যবিবরণীতে জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের স্থাপন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এসম্পর্কে আজকে আমরা কিছু কথা বলব,কেমন? প্রথমেই আপনি আমাদেরকে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক অবস্থা সম্পর্কে একটু পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন?
ট:হ্যাঁ । অবশ্যই। চীন বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি দেশ। দু'দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরস্পরকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের অনেক উন্নয়নে দু'দেশ গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। এখন প্রতি বছরই দেশ দু'টির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবছর বাণিজ্যের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২০ %'র বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর চীন বাংলাদেশে বাণিজ্যের বিনিয়োগে ইতিহাস সৃষ্টি করছে। এর পাশাপাশি চীন বাংলাদেশের অনেক অবকাঠামাগত ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকল্প যেমন, power station,সেতু, road construction, contract ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অনেক সহযোগীতা করেছে। সহযোগিতা দিন দিন আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপট নিয়ে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। চীনের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। যেমন তৈরি পোশাক উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ, সিরামিক প্রতিষ্ঠানসমূহ,চামড়াজাত প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। আরেকটি ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করতে চায়, সেটা হচ্ছে অবকাঠামোগত নির্মাণ। আমি ভাবছি এক্ষেত্রেও বাংদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে চীন অবদান রাখতে পারবে।
ক:আচ্ছা। আরেকটি প্রশ্ন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের স্থাপন চীন , বাংলাদেশ ও অবশিষ্ট দেশ ও অঞ্চলের জন্য কি কি মঙ্গল বয়ে আনবে?
ট: বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের স্থাপনে আসলে চীনের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে ১৫ বছর ধরে অধ্যায়ন ও গবেষণা করেছেন। গতবছর, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খে ছিয়াং ভারতে সফরের সময় দু'দেশ একসাথে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের স্থাপনের আহবান জানিয়েছে। গতবছরের শেষে চীনের খুন মিংয়ে চার দেশের সরকারের প্রতিনিধিদল এ নিয়ে সম্মেলন আয়োজন করে অনেক ইস্যুতে এক মত হয়েছে।এ সম্পর্কে আমি বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ামার অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনের ব্যাপারে খুবই উত্ফুল্ল। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপিত হলে, সেটি হবে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই করিডোর চীন ও ভারতের মতো দুটো বড় অর্থনীতির দেশকে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি গতিশীল। গত দশ বছর ধরে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ বা এর কাছাকাছি আছে। এটি একটি চমত্কার অর্জন। মিয়ানমারও বর্তমানে উন্মুক্তনীতি অবলম্বন করছে। তাই আমি বলি, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়িত হলে ২০০ কোটির বেশি মানুষ লাভবান হবে।এর পাশাপাশি বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর সংশ্লিষ্ট সংস্থার সংগে আরো বেশি সহযোগিতা স্থাপন করা উচিত। যেমন ধরুন, ASEAN, SAARC ও BIMSTEC ,that is,Bay of Bengal Initiative on Multi-sectorial Technical and Economic Cooperation'র সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। এক কথায়, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর চার দেশ ও এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের দূতাবাস বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের স্থাপন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কি কি বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়েছে?
ট: বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর সম্পর্কে এখন চার দেশ নিজেদের রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন তৈরি করছে। আগামী জুনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর সম্পর্কিত চার জাতির আলোচনা শুরু হবার কথা রয়েছে। সেটি হবে এ ধরনের দ্বিতীয় আলোচনা।এ বছরের শেষে ভারতেও আবার চার জাতির আলোচনা সম্মেলন শুরু হবে। আমরা চীনের দূতাবাসের পরিকল্পনা হচ্ছে, দেশগুলোর মধ্যে একটি সেতুর মতো কাজ করা। চেষ্টা করব সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সম্পর্ক আরো উন্নত করতে এবং কল্যাণকর বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে। জনগণের যথাতাড়াতাড়ি সম্ভব উপকৃত হওয়ার জন্য কিছু কিছু প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত । প্রথম,রেলওয়ে ও রেলওয়ে সেতু স্থাপনের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা উচিত। যেমন, প্রস্তাবিত যমুনা সেতুর রেলসেতু অংশ। এই সেতু বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ভিত্তি হতে পারে।তা ছাড়া, চীনের জন্য বাংলাদেশে একটি ইপিজেড এলাকা প্রতিষ্ঠা করা ইচিত। এতে শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠার এবং বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ক: চীনের জন্য বাংলাদেশে ঔ ইপিজেড এলাকা প্রতিষ্ঠা এখন কি অবস্থায় আছে বা ভবিষ্যতের পরিল্পনা বা schedule কি?
ট: গত বছর চীনের সশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশ সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে। গতবছর আমিও সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্রাথমিক সাড়া দিয়েছে। এখন তারা সুষ্ঠুভাবে গবেষণা করছেন। বাংলাদেশের জনগণও এটা খুবই সমর্থন করেন। ঔ ইপিজেড দু'পক্ষের জন্য লাভবান হবে এবং বাংলাদেশের যুবকদের জন্য অনেক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে। আমি বিশ্বাস করি. এটা তাড়াতাড়ি স্থাপন করা সম্ভব হবে।
ক: তিনি আশা করেন যে, সংশ্লিষ্ট চারটি দেশ যথাসম্ভব দ্রুত করিডোর স্থাপনের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নিয়মনীতি ও গাইডলাইন তৈরি করতে সক্ষম হবে। সাক্ষাতকারের শেষে লি চুন খুব আবেগের সাথে বলেন,
ট: বাংলাদেশ একটি অলৌকিক দেশ। তারা নিজেরা বেশি তুলা চাষ করে না, কিন্তু এখন তারা বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক উত্পাদনকারী দেশ ; তাদের চাষাবাদের জমি বেশি নেই, কিন্তু সফলভাবে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে, বিশেষ করে চাল উত্পাদন অনেক বেশি। এজন্য আমার বাংলাদেশের উ্ন্নয়নে অনেক আত্মবিশ্বাস আছে। এ ছাড়া, আমিও বাংলাদেশের পরিশ্রমী,বন্ধুত্বপূর্ণ,সাহসী জনগণকে ভালবাসি। আপনি আমাকে শেখানো বাংলা ভাষায় আমি বলতে চাই, আমি বাংলাদেশ ভালবাসি।
ক: ভাই। সত্যি, তাঁর একথা শোনার সময় আমি অনেক excited হয়ে গিয়েছিলাম। তাঁর একথা আমাকে আমার সেই সোনালী দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ, আমার ভাইবোনের কথা মনে করিয়ে দেয়। ট: হ্যাঁ। ভাই , তাঁর সাক্ষাতকার শুনে আমার মনে হয়, তিনি খুবই একজন ভাল রাষ্ট্রদূত। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এবং আমাদের সব ভাইবোন একসাথে অনেক অনেক কাজ করতে পারবেন দু'দেশের বন্ধুত্বের জন্য, এবং আমাদের দেশও প্রতিদিন অনেক উন্নতি করতে থাকবে।
ক:প্রিয় শ্রোতাবন্ধু, আমরা একসাথে ভালভাবে কাজ করবো, আমাদের পরিবারের সবার ভাল জীবন হবে এবং আমাদের দেশও ভাল হয়ে যাবে।
ট:বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এ পর্যন্তই। আপনারা যদি কোন কথা বলতে চান, তাহলে আমাদের কাছে টেলিফোন করতে পারেন এবং ইমেইলও করতে পারেন। আমাদের টেলিফোন নম্বর হচ্ছে: ০০৮৬০১০৬৮৮৯২৪২০ এবং আমাদের ইমেইল হচ্ছে akashxienan@gmail.com এবং enamulhoquetutul@yahoo.com.
ক: বন্ধুরা, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন। আপনারা সবসময়ই আমাদের মনে, আমাদের হৃদয়ে, আমাদের আত্মায়।
ট: হ্যাঁ, বন্ধুরা, জীবনে মরণে আমরা কখনো পৃথক হবো না। জাই জিয়ান! (আকাশ/টুটুল)