উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে পৌঁছানো চুক্তি নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া ছুন ইং শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টির প্রশংসা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হুয়া ছুন ইং বলেন, "চীন খুব আনন্দিত যে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলন আয়োজন, পরস্পরের বিরুদ্ধে কুত্সা বন্ধ করা এবং উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ আয়োজনসহ তিনটি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চীন এটিকে সমর্থন করে ও অভিনন্দন জানায়। আজ চীনের লণ্ঠন উত্সব। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংলাপের অগ্রগতি এ উত্সবকে আরো আনন্দময় করবে।"
তিনি আশা করেন, দু'পক্ষ সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতিকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন বলেছেন, তাঁর চীন সফরকালে তিনি দু'দেশের সহযোগিতা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মামনুন বলেন, পাকিস্তান ও চীন জ্বালানিসম্পদ, বাণিজ্য ও শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তিনি আশা করেন, তাঁর এবারের সফরকালে চীন সরকারের সঙ্গে জ্বালানি সম্পদসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মতৈক্য হবে।
চীনের সহায়তায় পাকিস্তান জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও আশা করেন, পাকিস্তান-চীন অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি দু'দেশ, এমনকি বিশ্বের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সেরা বন্ধু। তিনি আশা করেন, এবারের সফরের মাধ্যমে দু'দেশের জনগণের বিনিময় গতিশীল হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
সম্প্রতি 'চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সব-২০১৪' লন্ডনের টেমস নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফোং সিয়াও কাং ও চিয়াং ই মৌসহ চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ব্রিটেনে বসবাসকারী চীনাভাষীদের জন্য অনেক চলচ্চিত্র দেখানো হয় সিনেমা হলে। চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে আরো ৮০টিরও বেশি চীনা চলচ্চিত্র লন্ডনে প্রদর্শিত হবে।
'চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সব-২০১৪' সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর আগে চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক চিয়াং ই মৌ'র 'সি মিয়েন মাই ফু' শীর্ষক চলচ্চিত্রের থিম সং শোনাবো আপনাদেরকে।
চলুন গানের সঙ্গে সঙ্গে আমরা চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সবে প্রবেশ করি।
বিগত ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে চীনের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। চলতি বছর চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ফোং সিয়াও কাংয়ের চলচ্চিত্র স্থান পায় প্রদর্শনীতে। ব্রিটেনে বসবাসকারী চীনা বন্ধুরা অবশ্যই খুশি হয়েছে এ আয়োজনে।
'চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক' হিসাবে গণ্য করা হয় ফোং সিয়াও কাং-কে। একুশ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে ব্রিটেনের ভক্তদের মুখোমুখি হবেন ফোং। 'জি জিয়ে হাও', 'থাং সান তা দি জেন' এবং 'ফেই ছেং উ রাও'সহ ফোংয়ের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র লন্ডনে প্রদর্শন হবে ফেব্রুয়ারিতে।
রেকর্ড ১ david
"আমি মনে করি, তাঁর চলচ্চিত্র খুবই চমত্কার। চীনের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তবে আমরা কেবল তার অল্প একটু জানি। লন্ডনে তাঁর চলচ্চিত্র দেখা আমাদের সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে আরো বেশি লোক সিনেমা হলে গিয়ে চীনের চলচ্চিত্রকে জানবে, চীনকে জানবে।"
ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এক মাস আগে 'চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সব-২০১৪' সম্পর্কিত বার্ষিক সহযোগিতা কার্যক্রমের সূচনা ঘোষণা করে। এর ফলে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে চীন ও ব্রিটেনের সহযোগিতা আরো গভীর হবে।
রেকর্ড ২ সুং সিয়াও সিয়াও
"এবারের উত্সবে চীনের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়া দু'দেশের চলচ্চিত্রের যৌথ প্রযোজনার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। আমি মনে করি, একজন ভাল চলচ্চিত্র পরিচালক খুই গুরুত্বপূর্ণ। ফোং সিয়াও কাং চীনের চলচ্চিত্র মহলে খুবই সম্মানিত একজন ব্যক্তিত্ব। তাঁর চলচ্চিত্রের সংখ্যা, গুণগত মান এবং বাণিজ্যিক সাফল্যও চমত্কার।"
ফোং সিয়াও কাং ছাড়া চীনের হংকংয়ের চলচ্চিত্র পরিচালক ওয়াং চিয়া উয়েইও অত্যন্ত মেধাবী। তাঁর 'হুয়া ইয়াং নিয়েন হুয়া' খুবই বৈশিষ্ট্যময় একটি চলচ্চিত্র। এটির প্রধান গানও সুন্দর। চলুন শোনা যাক সে গানটি।
গান: হুয়া ইয়াং নিয়েন হুয়া
গত ডিসেম্বর মাসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। সফরকালে দু'পক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র-বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেই চুক্তির মধ্য দিয়ে সূচিত হয় 'চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সব-২০১৪' ।
ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো সম্প্রতি পূর্বাভাস করেছে যে, চলতি ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-হার দাঁড়াবে ৪.৯ শতাংশে। এ পূর্বাভাস সঠিক হলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-হার টানা দু'বছর ৫ শতাংশের নিচে থাকবে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হার ছিল ৪.৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে সেটা হতে পারে ৫ শতাংশ। ফলে গোটা বছরের বৃদ্ধিহার দাঁড়াবে ৪.৯ শতাংশে।
'দ্য হিন্দু' পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত অর্থবছরে ভারতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪.৫ শতাংশ, যা থেকে চলতি অর্থবছর কিছুটা বাড়ছে।
এবছর ভারতের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য একটি বিষয়।
শ্রোতা, আজকের কুইজ হলো:
১. চলতি ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-হার কত শতাংশে দাঁড়াতে পারে
২. সম্প্রতি 'চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সব- ২০১৪' কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩. ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট কখন 'চীন-ব্রিটেন চলচ্চিত্র উত্সব-২০১৪'-সম্পর্কিত বার্ষিক সহযোগিতা কার্যক্রমের সূচনা ঘোষণা করে।
৪. পাকিস্তান ও চীন কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।