Web bengali.cri.cn   
উইন-উইন সহযোগিতামূলক নতুন অংশীদারি গড়ে তোলা এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যৌথভাবে কাজ করা উচিত
  2015-12-07 19:22:11  cri

(৭০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কে দেওয়া চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণ, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, নিউইয়র্ক)

মাননীয় সভাপতি ও সহকর্মীরা,

৭০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্তাক্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেন এবং মানবজাতির ইতিহাসের অন্ধকার পাতা অতিক্রম করেন।এ বিজয় কষ্টার্জিত।

৭০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের দূরদর্শিতা দিয়ে জাতিসংঘের মতো এমন একটি বিশ্বজনীন, প্রতিনিধিত্বশীল ও প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এর ওপর মানবজাতি নতুন দৃষ্টি রেখেছে, খুলেছে সহযোগিতার নতুন যুগ। এ ঘটনা অভূতপূর্ব।

৭০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা বিভিন্ন পক্ষের প্রজ্ঞার সমন্বয়ে জাতিসংঘ সনদ প্রণয়ন করেন, স্থাপন করেন আধুনিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার ভিত্তিপ্রস্তর ও আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতি।এ কৃতিত্বের প্রভাব সুগভীর ও সুদূরপ্রসারী।

সভাপতি ও সহকর্মীরা,

৩ সেপ্টেম্বর চীনা জনগণ বিশ্ব জনগণের সঙ্গে গম্ভীরতার সাথে চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসন-বিরোধী প্রতিরোযুদ্ধ ও বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধজয়ের৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করেন। প্রাচ্যের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চীনের ৩ কোটি ৫০ লাখ লোক হতাহত হন।

চীন বিশাল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জাপানি সমরবাদদের প্রতিহত করে, উদ্ধার করে জাতি ও দেশকে। একই সঙ্গে ইউরোপ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিরোধ শক্তিকে বলিষ্ঠভাবে সমর্থন করে এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধজয়ে রাখে ঐতিহাসিক অবদান।

ইতিহাস একটি আয়না। কেবল ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায়। ইতিহাসের প্রতি আমাদের মনে শ্রদ্ধা ও বিবেকবোধ থাকা উচিত। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না, তবে ভবিষ্যত সৃষ্টি করা যায়। ইতিহাস স্মরণ করার উদ্দেশ্য ঘৃণা বজায় রাখা নয়, বরং একসাথে শিক্ষাগ্রহণ করে পুনরায় ঐ ঘটনা না হওয়ার চেষ্টা করা। ইতিহাস স্মরণ করার উদ্দেশ্য অতীতের সঙ্গে জড়িত হওয়া নয়, বরং সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শান্তির আলো ছড়িয়ে দেওয়া।

সভাপতি ও সহকর্মীরা,

জাতিসংঘ গত ৭০ বছর সময়ের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পার করেছে। সংস্থাটি অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করে বিভিন্ন দেশের শান্তি রক্ষা করা, স্বদেশ নির্মাণ করা ও সহযোগিতা অন্বেষণের নানা বাস্তব অনুশীলন দেখেছে। ইতিহাসের নতুন শুরুতে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘেরগভীরভাবে চিন্তা করা দরকার যে, একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন-এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কীভাবে ভালো অগ্রগতিসাধনে সহায়তা দেওয়া যায়।

বিশ্ব পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় আছে।যুদ্ধের মেঘ, দরিদ্রতা ও অনগ্রসরতা দূর করতে পারলে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির আলো যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

বিশ্ব বহুমেরুকরণ আরো বিকশিত হয়েছে। নবোদিত বাজার দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর উত্থান ইতিহাসের অপ্রতিরোধ্য গতিধারায় পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও সমাজের তথ্যায়ন বিপুল মাত্রায় সমাজের উত্পাদনশক্তি মুক্ত ও উন্নয়ন করেছে এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করার পাশাপাশি নতুন হুমকি ও চ্যালেঞ্জও বয়ে এনেছে।

1 2 3 4
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040