বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ানের একজন গায়িকার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম কাও শেং মেই। তিনি চীনের অনেক জনপ্রিয় টিভি নাটকের থিম সোং গেয়েছেন। তার মনোমুগ্ধকর প্রেমের গানগুলো সবার কাছে বেশি পরিচিত। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শুরুতে একসঙ্গে শুনবো কাও শে মেই’র প্রতিনিধিত্বকারী একটি গান। গানের নাম ‘অতীতের কথা মনে পড়ে’।গান ১
কাও শেন মেই ১৯৬৯ সালে চীনের তাইওয়ান প্রদেশের কাওসিয়ং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাইওয়ানের স্থানীয় সংখ্যালঘু পুই জাতির মানুষ। এই জাতির মানুষরা নাচ-গান করতে পারেন। ছোটবেলায় কাও শেং মেই’র সংগীত প্রতিভা দেখা যায়। মাধ্যমিক স্কুলে তিনি বিভিন্ন গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং অনেক পুরষ্কার পান। ১৯৮৫ সালে একটি সংগীত কোম্পানিতে যোগ দিয়ে পেশাদার গায়িকার জীবন শুরু করেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন কাও শেং মেই’র একটি সুন্দর গান ‘মনের বৃষ্টি’।গান ২
১৯৮৬ সালে কাও শেং মেই তার প্রথম অ্যালবাম ‘ইউয়ান’ প্রকাশ করেন। তার মিষ্টি কণ্ঠ দ্রুত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরের বছর তিনি আরেকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং তাও বেশ পরিচিতি পায়। এর মধ্যে তার অ্যালবাম ‘পর্বতের প্রেমের গান’ ১০ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়। সেই সময় তাইওয়ানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যালবামের পরিণত হয় এটি। কাও শেং মেই ‘প্রেমের গানের রাণীর’ খেতাব পান। বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামে কাও শেং মেই’র একটি জনপ্রিয় গান ‘গভীর ভালোবাসা’।গান ৩
১৯৮৯ সালে কাও শেং মেই সেইসময়ে চীনের বিখ্যাত লেখক ও স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিং ইয়াও’র টিভি নাটক ‘সিগলস রঙিন মেঘে ওড়ে’-এর জন্য থিম সোং গেয়েছেন। তার কণ্ঠটি টিভি নাটকের প্রেমের গল্পের সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। এই টিভি নাটকের জন্য কাও শেং মেই’র গান সারা চীনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর কাও শেং মেই ছিং ইয়াও’র সঙ্গে অনেক বার সহযোগিতা করেন। তারা অনেক ক্লাসিক ও জনপ্রিয় গান রচনা করেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন কাও শেং মেই’র গান ‘সিগলস রঙিন মেঘে ওড়ে’।গান ৪
বন্ধুরা, এবার আমরা শুনবো ১৯৯২ সালে প্রকাশিত কাও শেং মেই’র একটি গান। গানের নাম ‘হাজার বছরের অপেক্ষা’। গানটি ছিং ইয়াও’র টিভি নাটক ‘সাপের কাহিনী’র থিম সোং। এই নাটক চীনে ব্যাপক প্রচলিত একটি কিংবদন্তি অনুসারে রচিত হয়। এই টিভি নাটকের সঙ্গে কাও শেং মেই’র গান খুবই জনপ্রিয় হয়। প্রায় সব চীনারা এই গান গাইতে পারে বা শুনেছে। বন্ধুরা, এখন আমরা কাও শেং মেই’র গান ‘হাজার বছরের অপেক্ষা’ শুনবো।গান ৫
শুধু চীনে নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের চীনা সমাজে কাও শেং মেই’র গান অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। নিজের গান গাওয়া ছাড়া, কাও শেং মেই অনেক পুরানো গানকে নতুন করে গেয়েছেন। তার গাওয়া পুরানো গান- এমনকি মূল গানের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়। বন্ধুরা, এখন শুনুন কাও শেং মেই’র গাওয়া গান ‘কাঁদা’। তিনি এই গানের জন্য তাইওয়ানের শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি।গান ৬
বর্তমান অনেক তরুণ শিল্পী ও নতুন গান থাকলেও কাও শেং মেই’র গানগুলো এখনও অনেক জনপ্রিয়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষে আমরা একসঙ্গে কাও শেং মেই’র আরেকটি সুন্দর গান ‘নদীর তীরে সবুজ ঘাস’ শুনবো। আশা করি তার গানগুলো আপনারা পছন্দ করবেন।গান ৭
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এ এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে।