রোববারের আলাপন-দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা দেখলেন চীনের জাতীয় স্কি-জাম্প কেন্দ্র
2021-04-09 17:33:10

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি এনাম এবং আকাশ।

আকাশ: বন্ধুরা, আমরা সম্প্রতি বেইজিং শীতকালীন অলিম্পকি গেমস সম্পর্কে একাধিক অনুষ্ঠান করেছি। আজ আমরা আপনাদের চাং চা খও শহরে অবস্থিত জাতীয় স্কি-জাম্প কেন্দ্র সম্পর্কে অবহিত করব।  কেমন?

বন্ধুরা, গত সপ্তাহে চীনে তিনদিনের জাতীয় ছুটি ছিল। এর কারণতো আপনি জানেন ভাইয়া?
এনাম: হয়তো একটি বিশেষ দিন ছিল, তাই না ভাইযান?
আকাশ: হ্যাঁ। আপনি ঠিকই বলেছেন। বন্ধুরা, গত ৪ এপ্রিল সারা চীনে ছিংমিং উত্সব উদযাপিত হয়।  ওই দিন চীনারা তাঁদের প্রয়াত আত্বীয়-স্বজন, ও বন্ধুদের স্বরণ করেন। 
এনাম: আচ্ছা। আমি এখন বুঝতে পেরেছি। এজন্য তিন দিন ছুটি ছিল। তাইনা?
আকাশ: হ্যাঁ। ভাইয়া, ওই তিন দিন ছুটিতে আপনি কী কী করেছেন?
এনাম: আমি পার্কে গিয়েছি ভাইয়া, বন্ধুরা, এখন চীনে বসন্তকাল। সব গাছ সবুজ হয়েছে। গাছে গাছে হরেক রকম ফুল ফুটেছে। আপনাদের সাথে আমি এ বিষয়টি একটু শেয়ার করতে চাই। .....
আকাশ: আচ্ছা। আমিও সবুজ জগত সবচেয়ে পছন্দ করি। কিন্তু কয়েক দিন আগে চাং চা খও শহরে প্রবল তুষারপাত হয়েছে। 

এনাম: তাই নাকি?!

আকাশ: হ্যাঁ। বন্ধুরা, সম্প্রতি বেইজিংয়ে মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি পড়ে এবং সব জায়গা ইতোমধ্যে সবুজ হয়ে গেছে। কিন্তু গত ১৭ মার্চ রাজধানী থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাং চা খও শহরে ভারি তুষারপাত হয়। একই দিন অনেক যাত্রী এবং বিদেশি সাংবাদিকরা সেখানে গিয়েছিলেন চীনের জাতীয় স্কি-জাম্প কেন্দ্র পরিদর্শনে। ফলে তাঁরা তুষারপাত অনেক উপভোগ করেন। 

এনাম: বন্ধুরা, আমি একটু ব্যাখা করতে চাই। ২০২২ বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস বেইজিং ও চাং চা খও নামক দুটি শহরে আয়োজিত হবে। চাং চা খওয়েতে তখন ৫১টি সোনালি ধাতুর জন্ম হবে। 

আকাশ: হ্যাঁ। আপনি ঠিকই বলেছেন। সম্প্রতি বিদেশি সাংবাদিকরা চাং চা খও শহরে শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের গ্রাম, ইউ তিং স্কি পার্ক, ও জাতীয় স্কি-জাম্প কেন্দ্র সফর করেছেন। সবাই সেখানে নির্মিত চীনের প্রথম শ্রেণীর স্টেডিয়াম, মাঠ, স্থাপনা, ও প্রস্তুতিমূলক কাজের প্রসংশা করেন।  

ভারতীয় সাংবাদিক আনিল পাণ্ডে বলেন, “আমি মনে করি, চীন অনেক ভাল করেছে। গেমসের প্রস্তুতিমূলক কাজ এবং মহামারী প্রতিরোধে চীন অনেক সফলতা দেখিয়েছে। ২০২২ সালে চীনে শীতকালীন অলিম্পক গেমসের আয়োজন হবে একটি বড় ঘটনা। আবারও সাফল্যের সাথে অলিম্পকি গেমসের আয়োজন করে চীন এক নতুন ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছাবে।”

পাকিস্তানি সাংবাদিক যোবায়ের বশির জানান, মহামারী এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। তা সত্বেও শীতকালীন অলিম্পকি গেমসের প্রস্তুতি পরিকল্পনা অনুসারে সুষ্ঠুভাবে চলছে। তা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
 
তিনি বলেন, গোটা মানব জাতি মহামারীতে ভোগছে। চীন প্রথমে মহামারী নিয়ন্ত্রণ করে তার অর্থনীতিকে পূনরুদ্ধার করেছে। তারপর টিকার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আশা বয়ে এনেছে। চীন ইতোমধ্যে উদারভাবে বলেছে যে, টোকিও অলিম্পিক গেমস ও বেইজিং শীতকালীন অলিম্পকি গেমসের সব খেলোওয়াড়দের টিকা প্রদান করবে। চীন পৃথিবীর সব মানুষকে একটি বড় পরিবার হিসেবে বিবেচনা করছে। 

“একজন পাকিস্তানি হিসেবে আমার মতে, চীনের এ সব প্রচেষ্টা খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। বর্তমানে সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করার প্রবণতা রয়েছে। এ ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা উচিত। মানব জাতির জন্য সত্যিকার অর্থে অবদান রাখা উচিত,” যোগ করেন তিনি। 

ভাই, আপনি কী বলেন?