ফেব্রুয়ারি ২৪: আট বছরে চীনের ৮৩২টি দরিদ্র জেলা এবং এক লাখ ২৮ হাজার দরিদ্র গ্রাম দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। বর্তমান মানদণ্ড অনুযায়ী প্রায় ১০ কোটি গ্রামীণ দরিদ্র লোক সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। নতুন যুগে দারিদ্র্যমুক্তির লক্ষ্য ও কাজ সময়মতো শেষ হয়েছে। এটি হলো মানব ইতিহাসে দারিদ্র্যমুক্তির অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত।
দারিদ্র্যমুক্ত মানুষদের খাবার ও পানীয় জলের সমস্যা সমাধান হয়েছে, সার্বিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছে, মৌলিক চিকিত্সা, বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। মাথাপিছু নিট আয় ২০১৫ সালের ২৯৮২ ইউয়ান থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ১০ হাজার ৭৪০ ইউয়ানে উন্নীত হয়েছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ২৯.২ শতাংশ। আত্মনির্ভরশীল দারিদ্র্যমুক্তির দক্ষতা স্থিতিশীলভাবে বাড়ছে।
চীনের জাতীয় গ্রামীণ সঞ্জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার ব্যুরোর উপ-প্রধান সিয়া কেং শেং বলেন, চীন সফলভাবে সম্পূর্ণ দারিদ্র্য এবং আঞ্চলিক দারিদ্র্য দূর করেছে। জাতিসংঘের এজেন্ডা-২০৩০-এ উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের ১০ বছর আগে চীনের দারিদ্র্যমুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়েছে।
চীনের সর্বোচ্চ নেতা সি চিন পিংয়ের পরিচালনায় চীনা বৈশিষ্ট্যয় দারিদ্র্যমুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া গেছে।
দারিদ্র্যমুক্তি মূল লক্ষ্য নয়। বরং, নতুন জীবন ও নতুন পরিশ্রমের সূচনা। চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনার আলোকে চীন টেকসই উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গঠন করবে এবং গ্রামের সঞ্জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার কৌশলের সঙ্গে দারিদ্র্যমুক্তির সাফল্য সমন্বয় করবে।
(লিলি/তৌহিদ/শুয়েই)