ফেব্রুয়ারি ২৩: স্থানীয় সময় গতকাল (সোমবার) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৬তম অধিবেশন জেনেভায় শুরু হয়েছে। এতে জাতিসংঘের মহাসচিব এ্যান্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে ন্যায্যভাবে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ করার তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি জানান, মহামারী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মানবজাতি একটি বড় পরিবার হিসেবে প্রমাণীত হয়। তারা নানা খাতে একে অপরের সাথে যুক্ত। তবে, মহামারীর আগে বিদ্যমান ঝুঁকি ও অসমতা বর্তমানে আরও গভীর হচ্ছে। মানবাধিকারের খাতেও মহামারীর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কোটি কোটি পরিবারের জীবনকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করেছে। মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং আয়ও অনেক কমেছে। গরীব, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ, অভিবাসী, এবং আদিবাসীদের অপরিসীম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মহাসচিব জানান, কোভিড-১৯ টিকা ন্যায্যভাবে প্রয়োগ করা হয় নি। এটা বর্তমান বিশ্বের নতুন এক সমস্যা।
তিনি বলেন, “মানুষ অনেক সংক্ষুব্ধ। কারণ টিকা প্রদানের কাজ ন্যায্যভাবে করা হয় নি। বর্তমানে ১০টি দেশে যে পরিমাণ টিকা প্রয়োগ হয়েছে, তা টিকার মোট পরিমাণের ৭৫শতাংশ। টিকার সুষম বন্টন হচ্ছে মানবাধিকারকে রক্ষা করার হাতিয়ার। টিকার জাতীয়তাবাদ হচ্ছে মানবাধিকারকে উপেক্ষা করা। টিকাকে বৈশিক গণপণ্যে পরিণত করতে হবে। যেন সবাই কমদামে গ্রহণ করতে পারে।”
বিশ্বের দেশে দেশে সংখ্যালঘু জাতিসমূহ সম্পর্কে তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের অধিকার বিশেষভাবে রক্ষা করতে হবে আমাদের। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁরা হুমকির সম্মুখীন। মানব জাতির সমৃদ্ধি বৈচিত্র ছাড়া বাস্তবায়িত হবে না। এখনো নানা রকম বৈষম্য রয়েছে। তা ছাড়া, অনেকে জাতীয় আত্তীকরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সংখ্যালঘুদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য বিনষ্ট হচ্ছে।”
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট ভলকান বোজকির বলেন, মহামারীর প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার রক্ষা জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, “মহামারী প্রতিরোধের জন্য সব ব্যবস্থা মানবাধিকারকে কেন্দ্র করে নেওয়া উচিত এবং নাগরিকদের রক্ষার ব্যাপারে কোন রকম আপোষ কাম্য নয়। সবাইকে ন্যায্যভাবে টিকা প্রদান করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন,“সার্বিক পূনরুদ্ধারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।”
ফেব্রুয়ারি ২৩ , ২০২২
চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি) থেকে আকাশ