হপ্তানামা: বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পথে এগানোর নির্দেশনা সি চিন পিং’র
2021-02-05 14:45:18

প্রথমে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গত এক সপ্তাহের কর্ম তত্পরতা তুলে ধরছি...

 

 

গত ২৭ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিং থেকে এক ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে হংকং বিশেষ প্রশাসনের গত এক বছরের কার্যবিবরণী শুনেন। প্রশাসনের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লেম গত বছরের হংকং বিশেষ প্রশাসানিক অঞ্চলের সরকারের কার্যক্রম ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ পরিস্থিতি সি চিন পিংকে অনলাইনে অবহিত করেন।  এ সময় সি চিন পিং বলেন, “আমি প্রথমে হংকং বিশেষ প্রশাসানিক অঞ্চলের সব অধিবাসীদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়। কোভিড-১৯ মহামারী গত এক বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। এটি বিশ্বকে মারাত্বক আঘাত হেনেছে। উচ্চমান সম্পন্ন উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক শহর হিসেবে হংকংকে এর অনেক ধকল সইতে হয়েছে।” “সম্প্রতি হংকংয়ে মহামারির চতুর্থ ঢেউ আঘাত হেনেছে। যা হংকংবাসীদের স্বাস্থ্যের প্রতি বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে। সবার জীবনযাপনকে অনেক কঠিন করে তোলেছে। এটা নিয়ে আমি অনেক উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, এবং তা অব্যাহত থাকবে। সর্ব শক্তি দিয়ে হংকংকে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সমর্থন করবে,” তিনি যোগ করেন।  প্রেসিডেন্ট সি বলেন, হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক আইন জারি হওয়ার পর, প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে হংকং সরকার দৃঢ়ভাবে তা বাস্তবায় বাস্তবায়স করে আসছে। আইন অনুসারে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা হয়েছে। হংকংয়ের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খলা থেকে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে এসেছে। এতে আবার প্রমাণিত হয়েছে যে, ‘এক দেশ, দুই নীতি’র বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

 

ওই দিনই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনের কার্যবিবরণী অনলাইনে শুনেছেন। ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনের প্রধান হ্য ই ছেং এক ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে কার্যবিবরণী তোলে ধরেন। কার্যবিবরণীতে হ্য ই ছেং গত এক বছরে ম্যাকাও-এর সার্বিক কার্যক্রম ও বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ সময় সি চিন পিং বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনলাইনে আপনার কার্যবিবরণী শুনছি। ২০২০ সাল ছিল আপনার পৌর সরকারের সূচনা বছর। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পরপরই আপনারা দ্রুত প্রতিরোধ তত্পরতা চালিয়েছেন, যা স্বল্প সময়ের মধ্যে মহামারি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।  গত ৩০০ দিন ধরে ম্যাকাও-তে নতুন কোন রোগী পাওয়া যায় নি। তাই আপনাদের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার।” তিনি আরও বলেন, চীনের কেন্দ্রীয় সরকার বরাবরই ম্যাকাওবাসীদের স্বার্থে অঞ্চলটির উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। ভবিষ্যতেও অঞ্চলটিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে বলে উল্লেখ্য করেন সি চিন পিং।

 

গত ২৮ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর ২৭তম কর্মসভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বলেন, পার্টির উচিত সামগ্রিক, সঠিক ও সার্বিকভাবে নতুন উন্নয়নের চেতনা জোরদার করে ‘চতুর্দশ পাচঁসালা পরিকল্পনা’র ভালো একটি সূচনা নিশ্চিত করা। সি চিন পং বলেন,  নতুন উন্নয়নের চেতনা একটি সামগ্রিক ধারণা। এতে সৃজনশীল উন্নয়ন, সম্প্রীতিময়, সবুজ, উন্মুক্ত ও অভিন্ন লাভের উন্নয়নে অবিচল থাকা প্রয়োজন। পুরো পার্টি ও দেশের উচিত সে চেতনা জোরদার করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সি চিন পিং বলেন, নতুন উন্নয়নের পর্যায়ে প্রবেশের পর অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ প্রয়োজন। সকলের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জন করা একটি দীর্ঘমেয়াদী কর্তব্য, যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে সবাইকে আঞ্চলিক ব্যবধান, জেলা-থানার ব্যবধান ও আয়ের ব্যবধানের সমস্যা সমাধান করতে চেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সি চিন পিং।

 

একই দিনে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আলবার্তো আর্ক ফোনালাপ করেছেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট সি বলেন, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩৬বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট জুয়ান এভো মোরালেস আয়মার শাসনামলে দ্বিপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে চীন বলিভিয়াকে চিকিত্সা সামগ্রীসহ ও নানা সহায়তা দিয়েছে।

 

বলিভিয়াকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার আখ্যায়িত করে, চীনা প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, বলিভিয়াকে তার নিজস্ব অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ উন্নয়ন পথ বেছে নিতে সমর্থন করে বেইজিং।

দু’দেশের বাস্তব সহযোগিতার মাধ্যমে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ চালু করা এবং দু’দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষি, খনিজ, অবকাঠামো নির্মাণ ও টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার করা হবে বলেও উল্লেখ্য করেন তিনি।

 

ওই দিনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টে আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছেন। সি চিন পিং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন। প্রেসিডেন্ট সি বলেন, মহামারির প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর, চীন ও মেক্সিকো পরস্পরকে সাহায্য করে আসছে। দুদেশ হাতে হাত রেখে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। চীনের সরকার ও জনগণ মেক্সিকো সরকার ও জনগণকে মহামারী প্রতিরোধে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

একই দিন সুরিনামের প্রেসিডেন্টে চন্দ্রিকাপেরসাদ সান্তোখি কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে সমবেদনা জানিয়েছেন। সি চিন পিং সান্তোখির দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন। চীনের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে সুরিনামের সরকার ও জনগণকে মহামারী প্রতিরোধে দৃঢ় সমর্থনের কথা বলেন তিনি।

 

গত ৩১ জানুয়ারি ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় নুয়েন ভু ছংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং। অভিনন্দনবার্তায় প্রেসিডেন্ট সি বলেন, ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির ত্রয়োদশ কংগ্রেস সাফল্যের সঙ্গে আয়োজনের ফলে দেশটি সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের পথে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে গেল। কমরেড নুয়েন ভু-কে কেন্দ্র করে ও দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে, ভিয়েতনাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।

 

 

২. বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমস  নিয়ে কিছু কথা

হপ্তানামা: বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পথে এগানোর নির্দেশনা সি চিন পিং’র_fororder_src=http-%2F%2Fi.ce.cn%2Fcen%2Fmore%2F201701%2F24%2FW020170124364628021897&refer=http-%2F%2Fi.ce

২০২২ সালের বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমস শুরু হতে এখনো এক বছর বাকি। তবে, আসরের দিন গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সম্মিলনীর উপর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিশেষ গুরুত্বারোপ করছেন। তিনি শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসে সর্বাধিক প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর মতে, বরফ ও তুষার ক্রীড়াতেও প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতা অপরিহার্য্য।

 

“২০২২ সালে বেইজিং আপনাদের স্বাগত জানায়। আমি ও কোটি কোটি চীনাদের পক্ষ থেকে আমাদের বিদেশি বন্ধুদের স্বাগত জানাই। ২০২২ সালে বেইজিংয়ে মিলিত হবো আমরা। আপনাদের স্বাগতম! সকল বন্ধুদের স্বাগতম!”

 

২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিয়ংচাং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি সবাইকে উপরোক্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

 

বেইজিং অলিম্পিক গেমস দরজায় কড়া নাড়ছে। একটি সফল অলিম্পিক গেমসের জন্য স্ট্যাডিয়াম ও অবকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি বেশ কয়েক বার নির্মাণাধীন স্ট্যাডিয়াম পরিদর্শন করেন। বেইজিংয়ের মূল অঞ্চল, রাজধানীর উপকন্ঠে ইয়ান ছিং এবং চাং চিয়া খৌ তিনটি অঞ্চলে শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের ২৫টি স্ট্যাডিয়াম রয়েছে। সেসব স্ট্যাডিয়ামের গুণগতমান নিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন? এ প্রসঙ্গে চার বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি বলেছিলেন, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের জন্য স্ট্যাডিয়ামের নির্মাণকাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্যাডিয়ামে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। তাতে প্রযুক্তিগত, মেধাবী, সবুজ ও সাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা উচিত। তাই সর্বাধিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে নির্মাণ কাজ করতে হবে।

বেইজিং অলিম্পিক গেমসের স্ট্যাডিয়ামে প্রযুক্তির শৈলী পর্যাপ্ত রয়েছে। শৈল্পিক পুরাকীর্তি থেকে শৌ কাং স্কির জাম্পিং প্ল্যাটর্ফমের রূপ দেওয়া হয়েছে। ইয়ান ছিং স্নোগাড়ী স্ট্যাডিয়াম শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের বেশ কয়েকটি রেকর্ড অর্জন করেছে। রাজধানী স্ট্যাডিয়ামসহ বেশ কয়েকটি নতুন নির্মিত ও সংস্কারকৃত স্ট্যাডিয়ামে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত হানলেও সব স্ট্যাডিয়াম পূর্বপরিকল্পনার তুলনায় এক বছর আগে প্রস্তুত করা হয়েছে।

 

চীনে প্রচলিত আছে যে, বরফ ও তুষার ক্রীড়া শান হাই গুয়ান পাসের ভিতরে করা যায় না।  যদি করা যেতো, তাহলে ২০ থেকে ৩০ কোটি মানুষ এ ধরনের ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করতো। ২০১৭ সালে চাং চিয়া খৌ অঞ্চল পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং বলেন, চীন বরফ ও তুষার ক্রীড়া কাভারের মাত্রা দ্রুত বাড়াবে এবং সে ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ জোরদার করবে।

তিনি বলেন,“বরফ ও তুষার ক্রীড়া চীনে পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয় নি। শীত্কালীন ক্রীড়ার মাধ্যমে তা উন্নত করতে হবে। তাই বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের সুবিধা কাজে লাগিয়ে চীনের বরফ ও তুষার ক্রীড়ার উন্নয়ন জোরদার করবো আমরা। এ জন্য তরুণ-তরুণীদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।”

 

চীনের বরফ ও তুষার ক্রীড়ায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ভালো ব্যবহার হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি চীনের জাতীয় স্কি জাম্পিং সেন্টারে পরিদর্শনের সময় খেলোয়াড়দের উত্সাহিত করেন প্রেসিডেন্ট সি। জানা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহায়তা সিস্টেমসহ নানা হাই-টেক ব্যবহারের ফলে খেলোয়াড়দের মান অনেক উন্নত হয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে সি চিন পিং বলেন,  আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ার মান উন্নত করতে চাইলে শারীরিক শক্তির পাশাপাশি স্কিলও গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ক্রীড়া উন্নয়নে খুবই অপরিহার্য্য।

 

 তিনি বলেন,“আমাদের প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া কোন পথে এগোবে? তা আমাদের শক্তিশালী দেশে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর উন্নয়ন করতে চাইলে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি উভয়ের উপর নির্ভর করতে হবে। একদিকে, আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অগ্রসর প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন।”

 

বিশ্বকে একটি সুন্দর অলিম্পিক সম্মিলনী উপহার দেওয়া চীনের অবিচল প্রতিশ্রুতি।  বেইজিং অলিম্পিক গেমসের দিন গণনার এক বছর উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, “আমরা একটি অলিম্পিক গেমস প্রদর্শন করব, কেবল তা নয়। আমরা একটি বৈশিষ্ট্যময় ও বিরল গেমসের আয়োজন করবো।”

 

এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিশনের চেয়ারম্যান বাখ বলেছেন, বেইজিং অলিম্পিক গেমস থেকে কাউন্ট ডাউনের ১ বছর উপলক্ষ্যে গেমসটির সব স্ট্যাডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং চমত্কার প্রযুক্তিগত প্রস্তুতকাজ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির আঘাতে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতির কাজ বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ছিল। তবে গত এক বছরে প্রস্তুনির কাজ ফলপ্রসূ হয়েছে। ১২টি স্ট্যাডিয়াম সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, বেইজিং অলিম্পিক গেমস ও প্রতিবন্ধী অলিম্পিকের ক্রীড়া আইকন প্রকাশ করেছে। মাসকট বিং তুন তুন ও শুয়ে রুং রুং চীনের চন্দ্রসন্ধান ‘ছাং এ-৫’র সাথে ঐতিহাসিক চন্দ্র যাত্রা করেছে। তাছাড়া মেডেল ও মশাল নকশার কাজ শেষ হয়েছে এবং সেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও বাজার উন্নয়নের কাজও সুশৃঙ্খলভাবে চালু হচ্ছে।

 

এ দিকে, ইতালি সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সমিতির চেয়ারম্যান ব্রুনো মলিয়া বলেছেন, বেইজিং অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে চালানো হয়েছে, তাতে চীনের দেশীয় শক্তি ও শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের উপর গুরুত্বারোপের প্রতিফলন হয়েছে।

 

একটি অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করা হলে ক্রীড়া, অর্থনীতি, সমাজ ও পরিবেশসহ নানা ক্ষেত্রের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অপরিহার্য্য। বেইজিং অলিম্পিক গেমসের স্ট্যাডিয়ামে অনেক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে চীন সরকার পরিবেশ রক্ষার ভিত্তিতে মানব জাতির টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেতনা দেখা দিয়েছে।