মার্কিন-ইউরোপ সম্পর্কের মেরামত কোন পথে? সিআরআই সম্পাদকীয়
2021-01-25 19:11:05

 

জানুয়ারি ২৫: গত চার বছর ধরে ট্রান্সলেট্যান্টিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রের সহায়তায় বাচিয়ে রাখা হয়েছিল। ইউরোপীয় গণমাধ্যমসমূহ সে সময়টাতে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে ঠিক এভাবেই মূল্যায়ণ করতে অভ্যস্ত ছিল। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন এসেছে। ফলে অনেকেই ট্রান্সলেট্যান্টিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে মেরামতের বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন।

 

নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কয়েকবার ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মেরামত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে, মার্কিন সরকার নর্ড স্টিম-২ পাইপ লাইনকে সম্পন্ন হতে দিবে না বলে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন মন্তব্য করেছেন। তাঁর এহেন মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপ।

 

জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেন, আগামীকাল থেকেই ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সম্প্রীতিময় হয়ে যাবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তিনি নর্ড স্ট্রিম-২ প্রকল্পের ব্যাপারে মার্কিন অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেন নি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন এ প্রকল্প নাকচ করে দিলে সম্পর্ক উন্নয়নে এটি একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

 

নর্ড স্ট্রিম-২ প্রকল্পটি ইউরোপ যৌথভাবে রাশিয়ার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে ইউরোপের নিজস্ব জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে দমন এবং নিজের প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির লক্ষ্যে এ প্রকল্পে বাধা সৃষ্টি করে আসছে।

 

ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কেবল নর্ড স্ট্রিম-২ প্রকল্প নিয়েই একমাত্র মতভেদ রয়েছে, তেমনটি নয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার কোম্পানি করোনার টিকা দিতে দেরি করেছে বলে ইইউ দেশগুলোতে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

 

বিশ্লেষকদের মতে যুক্তরাষ্ট্রে টিকা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণে ইউরোপে টিকা সরবরাহ দেরি হচ্ছে। ফলে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকান্ড যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

 

এটা স্পষ্ট যে, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষনেতা পরিবর্তন হলেই যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ সম্পর্ক মেরামত করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। সম্প্রতি সিআরআই এর এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়।

 (রুবি/এনাম/শিশির)