সিনচিয়াংয়ের বিরুদ্ধে তথাকথিত পশ্চিমা থিংকট্যাংকের অভিযোগ একেবারে মিথ্যা
2020-11-28 17:17:55

সিনচিয়াংয়ের বিরুদ্ধে তথাকথিত পশ্চিমা থিংকট্যাংকের অভিযোগ একেবারে মিথ্যা

নভেম্বর ২৮: গতকাল (শুক্রবার) চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকারের আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় তথ্য কার্যালয়ের মুখপাত্র ইলিচিয়াং আনাইতি বলেছেন, তথাকথিত পশ্চিমা থিংকট্যাংক ‘স্যাটেলাইট ইমেজের ভিত্তিতে’ সিনচিয়াং নিয়ে গবেষণা করেছে, সেখানের বেসরকারি সংস্থাকে ‘আটককেন্দ্র’ হিসেবে দাবি করেছে; যা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী হাস্যকর আচরণ। সিনচিয়াংয়ে চীনা মুসলিমদের নিধনের দাবিও একেবারে মিথ্যা কথা।

 

মুখপাত্র বলেন, পশ্চিমা থিংক ট্যাংক তথাকথিত ‘স্যাটেলাইট ইমেজের’ ভিত্তিতে সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন স্থাপনাকে মনগড়া নাম দিয়েছে। যেমন অস্ট্রেলিয়ার কৌশল গবেষণাগারের প্রকাশিত তথাকথিত ‘সিনচিয়াংয়ের আটক ব্যবস্থা’ নামে রিপোর্টে দেখা যায়- সিনচিয়াংয়ে দেয়াল দিয়ে ঘেরা  ভবনকে ‘আটক কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে; যা মূলত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ভবন। রিপোর্টে বলা হয় যে, তুরুফান শহরের ‘আটক কেন্দ্র’ আছে; যা তা স্থানীয় সরকারি কার্যালয়। কাশি এলাকার দাবি করা ‘আটক কেন্দ্রগুলো’ স্থানীয় অবসর সংস্থা, লজিস্টিক্স বাগান ও স্কুল। এমনকি তা মার্কিন গুগল ম্যাপ ও চীনের পাইতু ম্যাপেও লেখা আছে।

মুখপাত্র বলেন, তথাকথিত ‘থিংক ট্যাংক’ কোনো একাডেমিক সংস্থা নয়, বরং মার্কিন সরকারের নিয়ন্ত্রিত চীন-বিরোধী সংস্থা। তাদের মতামত ও সূত্র যুক্তরাষ্ট্রের চীন-বিরোধী বেসরকারি সংস্থার, অথবা প্রমাণিত নয় এমন। যা সত্যিই হাস্যকর। মুখপাত্র বলেন, সিনচিয়াং উন্মুক্ত স্থান। চীন সব বিদেশিদের সিনচিয়াং পরিদর্শনের আহ্বান জানায়।

 

মুখপাত্র আরো জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, সিনচিয়াংয়ে সংখ্যালঘু জাতির জনসংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার থেকে বেড়ে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার হয়েছে; বৃদ্ধির হার ২২.১৪ শতাংশ। উইগুর জাতির জনসংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে বেড়ে ১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার হয়েছে; বৃদ্ধির হার ২৫.০৪ শতাংশ। উইগুর জাতির লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পুরো সিনচিয়াং-এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির দ্বিগুণ। এসব পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে, সিনচিয়াংয়ে চীনা মুসলিমদের নির্মূলের দাবি একদম মিথ্যা কথা বা অপবাদ।

(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)