রোববারের আলাপন-২০১১২২
2020-11-22 18:38:33

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আলিম এবং শিয়েনান আকাশ।

ভারতের নয়াদিল্লী অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাতিয়ান্দ্রা জাইন সম্প্রতি জানান, রাজধানী নয়াদিল্লীর কোভিড-১৯ মহামারী এখন তৃতীয় দফার চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে। মহামারী শুরু হওয়ার পর বর্তমানে দেশটিতে গুরুতর অবস্থা বিরাজ করছে। 

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটিতে প্রতিদিন নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। মানুষের মধ্যে সতর্কতা কমে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক মানুষ মাস্ক পরছেন না।

ভারতের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শীতকালে দিল্লীতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। 

বড় ভাই, তিনি বলেছেন, মানুষের মধ্যে সতর্কতা কমে যাওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। অনেক মানুষ মাস্ক পরছেন না। ভাই, এটা তো উদ্বেগজনক। আপনি আগে বলেছেন বাংলাদেশেও খুব কম মানুষ এখন মাস্ক পরেন। এখন বাংলাদেশের অবস্থা কেমন বড় ভাই?...
আলিম:...
আকাশ: বড় ভাই, আপনি আমাদের শ্রোতাদের বলবেন কি, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আমাদের প্রতিদিন কী কী করা উচিত?
আলিম:...

বড় ভাই ,আমরা কোভিড-১৯ সম্পর্কে আরেকটি খবর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি, কেমন?

জাতিসংঘের ইউনিসেফ সম্প্রতি জানায়, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায়, এর নেতিবাচক সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি বছর মহামারীর ফলে ৫ বছর বয়সের নিচের প্রায় ৬৭ লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালে বিশ্বে মারাত্মকভাবে অপুষ্টি শিকার শিশুর সংখ্যা ছিল ৪.৭ কোটি। এখন যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না-করা হয় তবে, চলতি বছর তা বেড়ে ৫.৩৭ কোটিতে দাঁড়াবে। 

পরিসংখ্যান অনুসারে, মারাত্মকভাবে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের অর্ধেকের বাস দক্ষিণ এশিয়ায় এবং প্রায় ৩০ শতাংশের বাস সাব-সাহারান আফ্রিকায়।  

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা এইচ ফোর  বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রভাবে কিছু কিছু অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অবস্থা গুরুতর হয়েছে। এসব অঞ্চলের শিশুদের খাদ্যের সংকট প্রবল। ফলে শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

এদিকে, ইউনিসেফের আগের প্রতিবেদন অনুসারে, মহামারী প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বজুড়ে মৌলিক পুষ্টিসেবা ৩০ শতাংশ কমেছে। অথচ এ ধরনের সেবা জীবন বাঁচানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  আবার লকডাউন ব্যবস্থায় কিছু কিছু দেশ ও অঞ্চলে ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মৌলিক পুষ্টিসেবা স্থগিতের ঘটনাও ঘটেছে।
বড় ভাই, এবারের মহামারীতে গরিব লোকজন আসলেই সবচেয়ে বেশি ভুগছেন।বিশেষ করে আমাদের শিশুরা। তারা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছে, অপুষ্টিতে ভুগছে। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করা। বড় ভাই, আপনি কী বলেন?

আলিম:...