এটিই প্রথম নয়। আসুন দশ বছর আগে ফিরে যাওয়া যাক।
১০ বছর আগে, একই অভিজ্ঞতা হয় আরেক চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের। সেই সময় হুয়াওয়ে একটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি সংস্থাকে অধিগ্রহণ করেছিল। মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের শিল্প ও সুরক্ষা ব্যুরো একটি আদেশ জারি করেছিল যে, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কম্পানির প্রযুক্তি রফতানির জন্য কোনও অতিরিক্ত লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। তবে, যুক্তিযুক্ত ও আইনীভাবে অধিগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে, পাঁচ মার্কিন কংগ্রেসম্যান হঠাৎ ট্রেজারি বিভাগকে চিঠি দিয়ে সিএফআইইউসকে লেনদেন বন্ধ করতে বলে। কার সমস্যা? হুয়াওয়ের একটি ৭০০ ব্যক্তির আইনী দল রয়েছে, সুতরাং এটি হুয়াওয়ের সমস্যা নয়।
গত সাত বছরে, চীনের কমপ্লায়েন্স সিস্টেম আরও নিখুঁত হয়। তবে চীনের বিরুদ্ধে সিএফআইইউএস পর্যালোচনা মামলার সংখ্যা দশগুণ বেড়েছে।
সিএফআইইউএস, যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী বিনিয়োগ সম্পর্কিত কমিটি। এই কমিটির শক্তি অর্থ, প্রতিরক্ষা, ন্যায়বিচার এবং কূটনীতিতে বিস্তৃত। কমিটির একটি মাত্র স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে: মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা করা। সিএফআইইউএস বিশ্বাস করে যে, যে-কোনো লেনদেন বন্ধ করা যেতে পারে এবং বেশ কয়েক বছর আগের লেনদেনও বদলে দেওয়া যেতে পারে। চীন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী মিত্র জাপান, কানাডা ও যুক্তরাজ্যও সিএফআইইউএস'র পর্যালোচনার লক্ষ্যবস্তু।
মার্কিন সেনেটর রুবিও এবং তার অংশীদাররা চীনের ওপর আক্রমণ করতে কখনও পিছপা হন না। সাধারণত মার্কিন কংগ্রেস একটি নতুন আইন তৈরি করে এবং বহু বছর আগে লেনদেনকে অবৈধ বলে অভিহিত করে। যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই এমনটি করে থাকে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করেছিল তা শেষ পর্যন্ত আমেরিকান সংস্থা নিজেই অর্জন করেছিল এবং অধিগ্রহণ করা আমেরিকান কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের রুবিওর মতো কংগ্রেসের সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র কি এ ধরনের আচরণকে "মুক্ত পুঁজিবাদী বাজার" বলে থাকে? নাকি এটা বিশ্বায়নবিরোধী মার্কিন ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ?