সম্মেলনে পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এসব লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে: উচ্চমানের ভিত্তিতে অর্থনীতির টেকসই ও সুষ্ঠু উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা, আধুনিকায়নে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা, উচ্চমানের বাজার অর্থনীতিব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা, পরিবেশ উন্নয়নে নতুন বিকাশ অর্জন ও জনজীবন নতুন পর্যায়ে উন্নীত করা।
সম্মেলনে প্রকাশিত ইস্তাহারে বলা হয়, চীন উচ্চমানের উন্মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে, উন্মুক্তকরণের মান সার্বিকভাবে উন্নত করবে, অবাধ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাস্তবায়ন করবে, বাণিজ্যের নব্যতাপ্রবর্তন উন্নয়ন করবে, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে, এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিচালনা ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
ইস্তাহারে বলা হয়, চীন উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সমন্বয় করার পথে সামনে এগুবে। উন্নয়ন ও নিরাপত্তাকে জাতীয় উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করবে, আধুনিকায়নের বিভিন্ন ঝুঁকি প্রতিরোধ ও সমাধানের চেষ্টা করবে, জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সামর্থ্য জোরদার করবে, এবং জাতীয় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ইস্তাহারে আরও বলা হয়, চীন নিজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মান উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়নের কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শক্তিশারী দেশ হিসেবে দাঁড়াতে চায়। প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্রবাহিনীর আধুনিকায়ন দ্রুততর করা হবে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে, এবং নিরাপত্তা ও উন্নয়নের কৌশলগত সামর্থ্য উন্নত করা হবে।
সম্মেলনে ২০৩৫ সালে চীনে সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যের কথা বলা হয়। এতে বলা হয়: দেশের অর্থনৈতিক শক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শক্তি, এবং সার্বিক শক্তি উন্নত হবে; জিডিপি এবং শহর ও গ্রামের নাগরিকদের আয় নতুন পর্যায়ে উন্নীত করা হবে; নবত্যপ্রবর্তনের ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে; আধুনিক অর্থনীতি ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হবে; কার্বন ছড়ানো পরিমাণ শীর্ষে পৌঁছার পর কমিয়ে আনা হবে; উন্মুক্তকরণ কার্যক্রম নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে; আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অগ্রসর অবস্থায় থাকার চেষ্টা করা হবে; মাথাপিছু গড় জিডিপি মাঝারি উন্নত দেশের মানে উন্নীত করা হবে।
সম্মেলনের প্রস্তাবগুলো উপসংহার করে 'চতুর্দশ পাঁচসালা পরিকল্পনায়' পরিণত হবে এবং তা চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসে পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হবে। এ পরিকল্পনা পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের উন্নয়নের দিক্নির্দেশনা হিসেবে কাজে লাগবে। (ইয়াং/আলিম/ফেই)