লিসবেট চায়না মিডিয়া গ্রুপের প্রতিবেদকের কাছে এক সাক্ষাত্কারে বলেন যে, চীন-কিউবা সাংস্কৃতিক বিনিময় কেন্দ্রটি চীনা জনগণকে আরও কিউবার সাংস্কৃতিক উপাদান উপহার দিতে পারে। তিনি বলেন, "নৃত্য ও সংগীত বিনিময়ের পাশাপাশি কেন্দ্রটি কিউবান সংস্কৃতি এবং স্পেনীয় ক্লাসের উপর বক্তৃতা দেবে; যা চীনে কিউবার সংস্কৃতির সার্বিক বিকাশ প্রচার করতে পারে। এ সময় কিউবাতে চীনা সংস্কৃতি ব্যাখ্যা করার জন্য চীনা সংস্কৃতিতে দক্ষ কিছু বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানাবে এই কেন্দ্র। চীন ও কিউবার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বয়স ১৭০ বছরেরও বেশি পুরানো। আগে চীন প্রথম কিউবায় গিয়েছিল। তাই কিউবার সংস্কৃতিতে চীনা সংস্কৃতির গভীর প্রভাব রয়েছে।" ৬ ০ বছর আগে চীন ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীরতর হয়েছে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম আরও বেড়েছে।
লিসবেট বলেন যে, বিগত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ে চীন ও কিউবার সাংস্কৃতিক বিনিময়কারী প্রতিনিধিরা নিয়মিত বিনিময় করে চলেছেন এবং নৃত্য পরিবেশনা ও শিল্প প্রদর্শনীর মতো অনেক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।
লিসবেট বলেন, "এ বছর, নভেল করোনাভাইরাস মহামারী দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাধাগ্রস্ত করতে পারে নি। সম্প্রতি কিউবা ২৭তম বেইজিং আন্তর্জাতিক বইমেলায় (বিআইবিএফ) 'ক্লাউড বুক ফেয়ার'-এর অতিথি হিসাবে অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে অংশ নিয়েছে।"
লিসবেট আশা করেন যে চীন-কিউবার সাংস্কৃতিক বিনিময় কেন্দ্র দুটি দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে "বুস্টার" হিসাবে কাজ করতে পারে এবং আরও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন করে চীন ও কিউবার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উন্নত করতে এবং চীনা জনগণকে কিউবার সংস্কৃতি বুঝতে সাহায্য করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী এবং চীন ও কিউবার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের রাষ্ট্রদূত হুও ইয়াওফেই বলেন যে, চীন ও কিউবার দূরত্ব অনেক বেশি এবং কিছু সাংস্কৃতিক পার্থক্য রয়েছে। বিনিময়গুলি দুটি দেশের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রচারে সহায়তা করে। হুও বলেন, "চীনা সংস্কৃতি বেশি সংযত ও শান্ত কিন্তু কিউবার সংগীত ও নৃত্য আরও ঝংকারময়। তাই চীন ও কিউবার মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান দু'দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরে এবং দু'দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে সহায়ক। একজন সালসা নৃত্য শিক্ষক হিসাবে, আমি প্রায় প্রতি বছর এক্সচেঞ্জের সুযোগে কিউবায় যাই এবং শিক্ষার্থীদের নৃত্য আর্ট এক্সচেঞ্জের কার্যক্রমে অংশ নেই। কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর, আমরা চীন ও কিউবার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অবদান রাখতে পারছি।"