সম্প্রতি চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯৮জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৭৯.৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী চীনা ব্র্যান্ডকে সমর্থন দিয়েছে এবং ব্র্যান্ড উন্নয়নের উপর আস্থা পোষণ করেছে এবং ৮৩.৫ শতাংশ উত্তরদাতারা চীনা ব্র্যান্ড সম্পর্কে সন্তুষ্ট। গুণগতমান, স্টাইল, কর্মক্ষমতাসহ নানা ক্ষেত্রে তারা চীনা ব্র্যান্ডের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
একজন শিক্ষার্থী জানায়, আগে নির্দিষ্ট এক ধরনের পণ্য যখন কেনা হতো তখন নির্দিষ্ট দেশের ব্র্যান্ড প্রথমে বিবেচনা করা হয়। যেমন জার্মান ঘরোয়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, জাপানি ক্যামেরা ও অস্ট্রেলিয়ান স্বাস্থ্যপণ্য ইত্যাদি। বিদেশের ব্যান্ড জনপ্রিয় ছিল তবে এখন তিনি বেশি চীন ব্যান্ডের ক্রীড়া জুতো প্রসাধন সামগ্রী কিনে এবং চীনা ব্র্যান্ড এখনও খুব ফ্যাশনেবল ও ভাল মানের, দামও কম।
চিং তুং প্রকাশিত '২০২০ চীনা ব্র্যান্ড ভোগ প্রবণতা প্রতিবেদনে' বলা হয় ২০১৯ সালে চীনা পণ্য ও ব্র্যান্ডের সংখ্যা, অর্ডার সংখ্যা ও ক্রেতার সংখ্যা বিদেশি ব্র্যান্ডের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
ম্যাককিনস প্রকাশিত ২০২০ ভোক্তা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা কোম্পানি শুধু কম-দামের পণ্যের ওপর গুরুত্ব দেয় না, তারা পণ্যের গুণগতমান, পারফরম্যান্স ও মূল্যের ওপরও গুরুত্ব দেয়। তিন ভাগের এক ভাগ ভোক্তা যখন উচ্চ মানের দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডিজিটাল পণ্য কিনে তখন তারা চীনা ব্র্যান্ড বাছাই করে।
চীনের বিখ্যাত একটি প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইটে এমন একটি প্রশ্ন করা হয়, তা হল- কেন আরও বেশি তরুণ চীনা মানুষ চীনা ব্র্যান্ডের পণ্য পছন্দ করে? সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উত্তরটি হল 'আমি চীনা ব্র্যান্ডের পণ্যে সমর্থন দেই, কারণ এটা যেমন যুক্তিসঙ্গত ভাবনার ফলাফল তেমন অন্তরের আবেগের প্রতিফলন।'