বর্তমানে গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসের মহামারি চলছে। যা মানবজাতির জীবনের নিরাপত্তা ও গণস্বাস্থ্য খাতে গুরুতর হুমকি। কোভ্যাক্সে চীনের আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান হল- মানবস্বাস্থ্যের অভিন্ন কমিউনিটির চিন্তাধারায় চীনের নিজস্ব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে টিকাকে বিশ্বের গণপণ্য হিসেবে পরিণত করার ব্যবস্থা জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হারিস বিশেষ সাক্ষাত্কারে বলেন,
'করোনাভাইরাস নিউমোনিয়ার টিকা বাস্তবায়ন পরিকল্পনা' অর্থাত্ কোভ্যাক্সের লক্ষ্য হল- সব দেশকে যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়সঙ্গতভাবে টিকা দেওয়া। এই পরিকল্পনায় চীনের যোগদানের অর্থ এতে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে নিরাপদ, কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য টিকা সরবরাহ করা যাবে।
হারিস বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারি শুধু একটি স্বাস্থ্য-সংকটই নয়, বরং তা আর্থ-সামাজিক সংকটও বটে। এতে বিশ্বে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। করোনাভাইরাসের টিকা এই প্যানডেমিক অবসানের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে পরিণত হবে। কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বে টিকার ন্যায়সঙ্গত বিতরণ করতে চাইলে সারা বিশ্বের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তিনি বলেন,
চীন ও অন্যান্য দেশ একসাথে এই অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক উদ্যোগে অংশ নিচ্ছে। যা সত্যিকার অর্থে ঐক্যের প্রতিফলন। বহুপক্ষবাদ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দিক থেকে তা বিরাট একটি সাফল্য, সব দেশের ঐক্যবদ্ধ ও যৌথ চেষ্টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন স্তর ও বিভিন্ন পর্যায়ে ঐক্যের গুরুত্ব এতে প্রতিফলিত হয়।
বর্তমান বিশ্বে প্রায় দুই শতাধিক ধরনের করোনাভাইরাসের টিকার ক্লিনিক ট্রায়াল বা প্রি-ট্রায়াল চলছে। ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চল কোভ্যাক্সে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাভাইরাসের মহামারি প্রতিরোধে বিভিন্ন পক্ষের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, এতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশ্বের এই মহামারি অবসানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। হারিস বলেন,
আমরা আশা করি, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সবার চেষ্টার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের মহামারি প্রতিরোধ করা যাবে। এটি শুধু প্রযুক্তির সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়, বরং যৌথ প্রচেষ্টা আমাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত হুমকি থেকে রক্ষা করতে পারবে। আমাদের আরো ভালো করতে হবে, যাতে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)