অক্টোবর ২৩: গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।
ফোনে ওয়াং ই বলেন, এ বছর চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী। দু'দেশের নেতারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ যৌথ নির্মাণে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগী অংশীদারি সম্পর্ক দৃঢ় করতে এবং সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। ভাইরাস মহামারির পর থেকে মহামারী প্রতিরোধের যৌথ লড়াইয়ে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বেড়েছে। চীনের টিকা সঠিকভাবে ব্যবহার ও মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশকে যথাযথ সাহায্য দেবে চীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দু'দেশের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। বাংলাদেশ চীনের পাশে থাকবে, এক-চীন নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলবে এবং চীনের বৈধ প্রস্তাবকে দৃঢ় সমর্থন দেবে।
ওয়াং ই চীনকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও একতরফা অভিযোগ করে আসছে। চীনের উপর আক্রমণ মানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর আক্রমণ। এটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের উন্নয়নের অধিকার নষ্ট করবে। তাই সব উন্নয়নশীল দেশের বৈধ স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার রক্ষায় সবার একত্রিত হওয়া উচিত।
(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)