সিনচিয়াংয়ে ব্যাপক আকারের 'বাধ্যতামূলক শ্রমের' অস্তিত্ব প্রসঙ্গে পশ্চিমা থিঙ্কটাঙ্ক নানা রিপোর্ট করেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি সিনচিয়াংয়ের উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের তদন্তদল সেখানকার সংখ্যালঘু জাতির জনগণের শ্রম ও কর্মসংস্থানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তদন্তদল সিনচিয়াংয়ের স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য ও বিভিন্ন শহর পরিদর্শনের পর মনে করেন, সিনচিয়াং ও মুলভূভাগের বিভিন্ন প্রদেশ, শহর, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সিনচিয়াংয়ের সংখ্যালঘু জাতিকে সাহায্য করেছে। বিভিন্ন জাতির জনগণের কর্মসংস্থানের অধিকার ও উন্নয়নের অধিকারসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন জাতির জনগণ নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কর্মসংস্থান বেছে নিয়েছে এবং স্বাধীন ব্যবসা করছে। পশ্চিমা থিঙ্কট্যাঙ্কের মন্তব্য সঠিক নয় এবং তাদের সংশ্লিষ্ট প্রমাণও বাস্তবসম্মত নয়।
তদন্তদলের জরিপ থেকে জানা যায়, প্রতি বছর সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকার কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল বরাদ্দ দিয়ে আসছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার মানুষকে নানা প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০টি ব্যবস্থা নিবন্ধন হয়েছে। ৮ লাখ ২৭ হাজার ৪০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।
(লিলি/তৌহিদ/শুয়েই)