মুখপাত্র চাও লি চিয়ান বলেন, বিশ্বে চীনের দারিদ্র্যবিমোচনের ইতিবাচক তাত্পর্য রয়েছে। প্রথমত, চীন বিশ্বের দারিদ্র্যমোচন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে অবদান রেখেছে। দারিদ্র্যমোচন হল মানবজাতির অভিন্ন চ্যালেঞ্জ। যা ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচীর অন্যতম লক্ষ্য। বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন বরাবরই দারিদ্র্যমোচনকে দেশ পরিচালনার শীর্ষ স্থানে রেখেছে। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার ৪০ বছরে চীনে ৭০ কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছে। বিশ্বের দারিদ্র্যমোচনে চীনের অবদান ৭০ ভাগেরও বেশি। চলতি বছর হল চীনে সার্বিক সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার শেষ বছর এবং দারিদ্র্যমুক্তকরণের শেষ বছর। চীন নির্ধারিত সময়ের ১০ বছর আগেই সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ করেছে।
দ্বিতীয়ত, চীন বিশ্বের দারিদ্র্যমোচন কাজে সাহায্য দিয়েছে। চীন সবসময় ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশকে সহায়তা দেয়। চীন অব্যাহতভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' এবং ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচীর সংযোগের সম্প্রসারণ করছে। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, 'এক অঞ্চল, এক পথ' ৭৬ লাখেরও বেশি মানুষকে চরম দরিদ্রতা থেকে এবং ৩.২ কোটি মানুষ মধ্য পর্যায়ের দরিদ্রতা থেকে মুক্ত হওয়ার সাহায্য করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)