আমার নাম মাইলিকাই আজাতি। আগে গ্রামের নারীরা বাড়ির বাইরে যেত না। তারা শুধু বাড়িতে বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন, খাবার রান্না করতেন, কাপড় ধুতেন এবং গৃহকর্ম করতেন। তবে আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন পড়াশোনা আমার খুব ভালো লাগত। এখন আমি প্রায়শই শহরের বইয়ের দোকানে পড়তে যাই।
আমি মনে করি যে, আমি শহরে একটি উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাব এবং আমি আমার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে পারব। তাই আমি এই সুপারমার্কেটে একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছি। একটি স্থিতিশীল চাকরি এবং একটি স্থিতিশীল আয় আছে, আমার পরিবারের জীবনযাত্রা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। সুপারমার্কেট খুব ব্যস্ত থাকলেও আমি প্রায়শই আমার বাচ্চাদের খেলতে বাইরে নিয়ে যাই এবং বাচ্চারা আগের চেয়ে বেশি হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করে।
বিগত কয়েক বছরে, হেথিয়েন সিটির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমি প্রতিদিন সুপারমার্কেটে প্রচুর লোকের সাথে দেখা করি। আমি তাদের কাছ থেকে দেখতে পাই যে মানুষের জীবনযাত্রা আরও উন্নত হচ্ছে এবং তারা আরও বেশি সুন্দর হচ্ছে। সুন্দর নখ, সুন্দর পোশাক এবং সুন্দর মেকআপ-সহ নারীর সংখ্যা বাড়ছে।
নারীদের সাজসজ্জার জন্য সময় রয়েছে এবং তারা বাইরে কাজ করতে, শপিং করতে ও খেলতে যেতে পারে। পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের বাড়িতে থাকা নয়, তাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে উত্সাহিত করে। কে এমন জীবন চায় না! আমাদের চারপাশে আরও বেশি হাসি-খুশি-আনন্দ রয়েছে এবং আমার স্বামী এবং শিশুরা আরও বলছে যে- আমি আরও বেশি হাসতে পছন্দ করি।