আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীয়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন 'রোববারের আলাপন'। আপনাদের সঙ্গে আছি আলিম এবং শিয়েনান আকাশ।
আকাশ: বন্ধুরা, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আয়োজিত একটি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আদহানম জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব শক্তি দিয়ে সমাজ ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারকে সমর্থন দেবে। তিনি আশা করেন, শিশুরা স্কুলে ফিরে যেতে পারবে, লোকজন কর্মস্থলে ফিরতে পারবে। কিন্তু এ সব করার আগে নিরাপত্তার র্শত পূরণ করা উচিত।
তিনি বলেন, যে কোন দেশ মহামারি শেষ হয়েছে বলে মিথ্যা আশা করতে পারে। আসল পরিস্থিতি হচ্ছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস খুবই সহজে ছড়িয়ে পড়ে, সব বয়সের ব্যক্তিবর্গের জন্য মারাত্মক হতে পারে। অধিকাংশ মানুষ এখনও খুব সহজে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যদি বিভিন্ন দেশ সত্যিকার অর্থেই সমাজ স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর কথা চিন্তা করে, তবে মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ ও জীবন বাঁচানোকে গুরুত্ব দিতেই হবে। যত ভালোভাবে মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তত ভালোভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করা যাবে। যদি মহামারী নিয়ন্ত্রণ না করে এসব করা হয় তবে দুযোর্গ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো দেশে মৃতের হার অনেক উচ্চ। কেউ কেউ বলেন, এতে সমস্যা নেই; কারণ মৃতের অধিকাংশই বয়ষ্ক। এ ধরনের মতামত একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেক জীবন, তা তরুণের হোক, বা বয়স্ক লোকের হোক, অমূল্য। সব ধরনের প্রচেষ্টায় জীবন বাঁচাতেই হবে।
পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১০৫টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি জরিপ চালিয়েছে। এতে দেখা যায়, মহামারীর সময় ৯০ শতাংশ দেশের চিকিৎসাসেবা স্থগিত হয়। এর মধ্যে মাঝারি ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো সবচেয়ে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়।