বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে চীনের জনপ্রিয় একটি সংগীতদল শুয়েই মু নিয়েন হুয়ার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। তারা চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যালাড সংগীত স্রষ্টা। তাদের তরুণ ও ক্যাম্পাসের জীবন সম্পর্কিত গানগুলো চীনে অনেক জনপ্রিয়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শুরুতে একসঙ্গে শুয়েই মু নিয়েন হুয়া'র জনপ্রিয় একটি গান ' প্যান্সি (Pansy) ফুল' শুনবো। গানটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। এতে সুন্দর প্যান্সি (Pansy) ফুল দেখে তরুণ জীবনের প্রেম ও প্রিয় মানুষের কথা মনে পড়ে। বন্ধুরা, চলুন গানটি শুনি। গান ১
শুয়েই মু নিয়েন হুয়া লু কেং সিয়ু ও মু চিয়ে- এই দু'জনকে নিয়ে গঠিত। সংগীতদল তারা দু'জনই গিটারিস্ট ও গায়ক এবং গান রচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সময় তারা একসঙ্গে গান গায় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে শুরু করে। ২০০১ সালে তারা একটি সংগীত কোম্পানিতে যোগ দেন; আর ব্যান্ড শুয়েই মু নিয়েন হুয়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বন্ধুরা, এখন শুয়েই মু নিয়ান হুয়ার একটি জনপ্রিয় গান 'ছিং উ ফেই ইয়াং' শুনবো। গানে প্রিয় মেয়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। গান ২
২০০১ সালে শুয়েই মু নিয়েন হুয়া প্রথম অ্যালবাম 'আজীবন তোমার সঙ্গে থাকবো' প্রকাশ করে। অ্যালবামের ১২টি গান তারা নিজে রচনা ও সুর করেছেন। অ্যালবামের প্রধান গান 'আজীবন তোমার সঙ্গে থাকবো' প্রকাশের পরপরই অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। গানটি সে বছরের বার্ষিক শ্রেষ্ঠ গানসহ বিভিন্ন পুরস্কার পায়। শুয়েই মু নিয়েন হুয়াও এই অ্যালবামের জন্য বিভিন্ন সংগীত অ্যাওয়ার্ডসে শ্রেষ্ঠ নতুন সংগীতদলের পুরস্কার পায়। গানটি পরে তাদের প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনি। গান ৩
২০০২ সালে শুয়েই মু নিয়েন হুয়া দ্বিতীয় অ্যালবাম 'যৌবনের গল্প' প্রকাশ করে। অ্যালবামের নামের মতো গানগুলো যৌবনের সঙ্গে জড়িত। তারা সংগীতের মাধ্যমে যৌবনের মৈত্রী, প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করে, যৌবনকালের গল্প বলে। তাদের গান শুনে অনেকের যৌবনকালের স্মৃতি মনে পড়ে, আর তাদের সংগীতে অভিন্ন অনুভূতি অনুভব করতে পারে। তখন থেকে তারা চীনের 'ক্যাম্পাস ব্যালাড সংগীতের' সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগীতদল হিসেবে পরিচিতি পায়।
বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামে শুয়েই মু নিয়েন হুয়ার একটি সুন্দর গান 'যৌবনের গল্প'। গান ৪
২০০৪ সালে শুয়েই মু নিয়েন হুয়া অ্যালবাম '৭০, ৮০' প্রকাশ করে। ৭০-এর দশকে জন্মগ্রহণ করায় অ্যালবামে তারা নিজের বড় হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং গত শতাব্দীতে ৭০ ও ৮০ দশকের মানুষ- বিশেষ করে তরুণদের জীবন ও চেতনার কথা স্মরণ করেন। ২০০৬ সালে তারা চীনে কনসার্ট ট্যুর আয়োজন করে। এরপর চীনে পারফরমেন্স করার পাশাপাশি তারা দক্ষিণ কোরিয়ার গায়কদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন এবং সে দেশে জনপ্রিয়তা পান।
বন্ধুরা, এখন শুয়েই মু নিয়েন হুয়ার গান 'নিখুঁত পৃথিবী' শুনবো। গান ৫
২০০৮ সালে শুয়েই মু নিয়েন হুয়া বেইজিং অলিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন এবং চীনের বার্ষিক সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডে পরিণত হয়। ২০১০ সালে সংগীতদল প্রতিষ্ঠার দশম বার্ষিকীতে তারা অ্যালবাম 'যাত্রা শুরু' প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, জীবনে অনেক নতুন সূচনা আছে, মানুষ বার বার নতুন যাত্রা শুরু করে, এতে নতুন সম্ভাবনা আবিষ্কার করতে পারে। তারা এই অ্যালবামের মাধ্যমে সবাইকে এই ধারণা পৌঁছে দেন। বন্ধুরা, এখন তাদের গান 'যাত্রা শুরু' শুনবো। গান ৬
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা শুয়েই মু নিয়েন হুয়ার আরেকটি জনপ্রিয় গান 'জন্মস্থানের বাইরে' শুনবো। গানটি আয়ারল্যান্ডের বিখ্যাত কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের কবিতা 'যখন তুমি বৃদ্ধ হও' থেকে অনুপ্রাণিত। গানে জন্মস্থানের প্রিয় মেয়েকে মিস করার কথা বলা হয়েছে। আশা করি গানটি আপনাদের ভালো লাগবে। গান ৭
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অথবা বিশেষ কোনো গান শুনতে চাইলে আমাকে সরাসরি ই-মেইল করুন। আমার ই-মেইল ঠিকানা: chengmin@cri.com.cn। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন।