শ্বেতপত্রে বলা হয়, চীনা সশস্ত্রবাহিনী হচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চীনা বাহিনী পর্যায়ক্রমে ৯০টিরও বেশি দেশ এবং ১০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে শান্তিরক্ষী বিনিময় ও সহযোগিতা করেছে। পারস্পরিক সফর, বিশেষজ্ঞ বিনিময়, যৌথ মহড়া এবং প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাস্তব সহযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হয়েছে।
গত পাঁচ বছরে চীনা বাহিনী মোট ২০ দফা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ৬০টিরও বেশি দেশের ১৫০০ জনেরও বেশি শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। চীন আফ্রিকান ইউনিয়নকে প্রথম সামরিক সহায়তা সরঞ্জাম ও উপকরণ প্রদান করেছে। এ ছাড়াও, চীন চীন-জাতিসংঘ শান্তি ও উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তহবিলটি শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ৫২টি পরিকল্পনা কার্যকর করেছে।
কম্বোডিয়া, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লাইবেরিয়া, সুদান, লেবানন, সাইপ্রাস, দক্ষিণ সুদান, মালি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রসহ ২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে চীনা শান্তিরক্ষীরা কাজ করেছে ও করছে। শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ দূর করা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, এবং সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে চীনা শান্তিরক্ষী বাহিনী। (ছাই/আলিম)