ছেন সু বলেন, জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছিল। ৭৫ বছর ধরে, জাতিসংঘ একটি সর্বজনীন, প্রতিনিধিত্বমূলক ও কর্তৃত্বমূলক আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসাবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছে। "জাতিসংঘ সনদ"-এর উদ্দেশ্য ও নীতিমালা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মৌলিক অনুসরণযোগ্য নীতিতে পরিণত হয়েছে।
চীন জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতাসদস্য। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে চীন তার আসন ফেরত পায়। এর পর থেকে চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কাজে ধারাবাহিকভাবে এবং গভীরভাবে অংশ নিয়ে আসছে। ছেন সু বলেন,
"শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চীন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক হট ইস্যুগুলির শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পক্ষে থাকে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন নিজের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিকাশে দুর্দান্ত অবদান রেখে আসছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে, আমরা সক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাগুলির সাথে আন্তর্জাতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য সহযোগিতা করি এবং তাদের সাথে ভাল সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছি। বিশ্বায়নের প্রচারের ক্ষেত্রে চীন বিশ্বের অন্যতম উন্মুক্ত দেশ হয়ে উঠেছে। বিশ্বের শান্তি বজায় রাখতে, বৈশ্বিক বিকাশ ও সভ্যতার মধ্যে মতবিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার প্রচারে জাতিসংঘের বৃহত্তর ভূমিকা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করার জন্য চীন অন্যান্য দেশের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে।"
ছেন সু বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন ব্যবস্থার চীন দৃঢ় সমর্থক। চীন জাতিসংঘের বিভিন্ন বিষয়ে সক্রিয় ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে, বহুপক্ষবাদকে সমর্থন করবে, এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠার নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা করার জন্য সকল দেশের মানুষের সাথে কাজ করবে। তিনি বলেন,
"প্রথমত, চীন জাতিসংঘের সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিমালার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। দ্বিতীয়ত, চীন ব্যবহারিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিষয়ে জাতিসংঘকে মূল ভূমিকা পালনকে সহজতর করেছে। তৃতীয়ত, চীন মানবাধিকারের সার্বজনীনতা এবং বিশেষত্বকে একত্রিত করেছে এবং চীন জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই চীনা বৈশিষ্ট্যের সাথে মানবাধিকার বিকাশের পথে সাফল্য অর্জন করেছে। চতুর্থত, চীন আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। এখন অবধি, ২০টিরও বেশি বড় বহুপক্ষীয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় চীন যোগদান করেছে, নিরস্ত্রীকরণসম্পর্কিত জেনিভা সম্মেলনের মতো বহুপাক্ষিক নিরস্ত্রীকরণ প্রতিষ্ঠানের কাজে গভীরভাবে অংশ নিয়েছে, এবং বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে বজায় রেখেছে। পঞ্চমত, চীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সহযোগিতা প্রচারে তার ক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নত করতে জাতিসংঘের সংস্কারকে সমর্থন করে।"
তিনি আরও বলেন, নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া মহামারি বিশ্ববাসীকে গভীরভাবে সচেতন করেছে যে, সকল দেশের মানুষ একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। চীন একটি মানব স্বাস্থ্য সম্প্রদায় গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একত্রে কাজ চালিয়ে যাবে। (জিনিয়া/আলিম/শুয়েই)