সেপ্টেম্বর ১১: সিআরআই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মস্কোতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে সাক্ষাত্ করে চীন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি এবং চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আন্তরিক ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন এবং পাঁচ দফা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
এই পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত হলো- দু'দেশের নেতৃবৃন্দের ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা এবং দু'দেশের মতভেদ এড়ানো। সীমান্ত এলাকার চলমান পরিস্থিতি দু'পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়; তাই, সীমান্ত বাহিনীর উচিত সংলাপ করা, যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখা এবং চলমান উত্তেজনা প্রশমন করা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় মনে করেন, সীমান্ত চুক্তি ও নিয়ম মেনে চলা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা উচিত এবং যে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করা। চীন-ভারত সীমান্ত ইস্যুতে বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজে পরামর্শ ও সমন্বয়ে অবিচল থাকা। আঞ্চলিক পরিস্থিতি প্রশমনের পাশাপাশি নতুন আস্থা-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে সীমান্ত এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে চীন-ভারত সীমান্ত সংকট তা অনেক জটিল এবং সংবেদনশীল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীন ও ভারতের পক্ষে কিছু পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই পার্থক্যকে যথাযথ স্থানে রাখতে হয়। মূল বিষয় হলো চীন ও ভারতের বিষয়ে দুই দেশের নেতাদের কৌশলগত ঐক্যমত্য মেনে চলা, অর্থাৎ দুই দেশ প্রতিযোগী নয়, সহযোগী অংশীদার। এরা একে অপরের জন্য হুমকি নয়, বরং উন্নয়নের সহযোগী।
(জিনিয়া/তৌহিদ/লিলি)