আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন 'রোববারের আলাপন'। আপনাদের সঙ্গে আছি আলিম এবং শিয়েনান আকাশ।
আকাশ: বন্ধুরা, সম্প্রতি চীনের ইয়ুননান প্রদেশ বাংলাদেশকে মোট ১৪২৮০টি সার্জিকেল মাস্ক দান করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি চি মিং এ দফা প্রতিরোধক সামগ্রী ঢাকায় চীনা দুতাবাসে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার চীনের ইউন নান প্রদেশকে মুল্যবান ভাইরাস প্রতিরোধক সামগ্রী বাংলাদেশকে দান করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, চীন বিশ্বে সবার আগে মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে; সবার আগে অর্থনীতি ও উৎপাদন পুনরুদ্ধার করেছে। এক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের দেশগুলোর জন্য মডেলস্বরূপ। চীন অনেকবার বাংলাদেশকে জরুরি চাহিদার প্রতিরোধক সামগ্রী ও সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছে এবং সরকারি প্রতিরোধক চিকিৎসাবিশেষজ্ঞদল বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশে প্রতিরোধক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, প্রতিরোধক কাজকর্মের পরামর্শ দিয়েছেন। চীন হচ্ছে বাংলাদেশের নির্ভরশীল বন্ধু। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অব্যাহতভাবে চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক, যাতে তাড়াতাড়ি ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয় পেতে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর চায়না রেড ক্রস সোসাইটির প্রধান ছেন চু বাংলাদেশ সফর করেন। এ বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিদল চীনের ইউন নান প্রদেশও সফর করে। চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ও বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আদানপ্রদান ও সহযোগিতা দিন দিন গভীর থেক গভীরতর হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চীন অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সমর্থন দেবে। চীন বাংলাদেশের সাথে হাতে হাত রেখে একযোগে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইচ্ছুক।