সেপ্টেম্বর ৯: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তথাকথিত 'ক্লিন নেটওয়ার্ক' পরিকল্পনা নিয়ে প্রতারণা করছেন এবং বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর, অ্যাপ স্টোর ও ক্লাউড পরিষেবাসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে চীনের দ্রব্য ও সেবা বাদ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউসের নীতি প্রণয়নকারীরা টিকটক ও উইচ্যাটসহ চীনের সোশাল অ্যাপস ব্লক করার ঘোষণাও দিয়েছেন এবং চীনের আরো বেশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি আরোপ করেছেন। এসব কার্যক্রমের পিছনে নির্বাচনসংক্রান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাড়াও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির লড়াই বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের উন্নয়নে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্র জড়িত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যায়সঙ্গত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভয় পায় এবং সাইবার আধিপত্য বজায় রাখতে তাদের অন্যায় চরিত্র প্রকাশ করেছে বলে সিআরআই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে।
পম্পেও'র মতো কিছু মার্কিন রাজনীতিবিদ 'জাতীয় নিরাপত্তার' অজুহাতে চীনের ডিজিটাল শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তথাকথিত অবরোধ আরোপ করে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য করে। এমন আচরণ 'ডাকাতি' ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরো হাস্যকর বিষয় হলো পম্পেও যুক্তরাষ্ট্রের এমন নগ্ন আধিপত্যকে 'ক্লিন নেটওয়ার্ক' কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত করেন। তাদের এসব কাজ এগিয়ে গেলে নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক ডিজিটাল সহযোগিতা ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে এবং মার্কিন সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পম্পেও'র মতো মার্কিন রাজনীতিবিদদেরকে বুঝতে হবে, স্বাধীন ও উন্মুক্ত নেটওয়ার্ক জগতের যৌথ আলোচনা, নির্মাণ ও সমন্বিত অর্জন হলো বৈশ্বিক ডিজিটাল পরিচালনাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু সমাধানের সঠিক পথ।
লিলি/তৌহিদ