১৯৮৭ সালে তিনি বাবা-মা'র সঙ্গে কানাডায় যান। ১৯৯৫ সালে তিনি জাপানের টোকিওতে সঙ্গীত শেখেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি নিজের প্রথম গান 'ভুল অনুমান' রচনা করেন। ১৯৯৬ সালে সিয়ে থিং ফেং আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতমহলে পা রাখেন।
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, সিয়ে থিং ফেং-এর প্রথম ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবাম 'তোমার ভালোবাসাকে ধন্যবাদ, ১৯৯৯' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবাম চীনের তাইওয়ান প্রদেশের অ্যালবাম বিক্রির তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে। মোট বিক্রি হয় ১০ লাখেরও বেশি কপি।
১৯৯৯ সালে সিয়ে থিং ফেং পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তিনটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং ডজন খানেক সঙ্গীত পুরস্কারও লাভ করেন।
২০০০ সালে সিয়ে থিং ফেং চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি'র বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে 'এই জীবনে তোমার সঙ্গে থাকবো' নামের গানটি পরিবেশন করেন।
২০০০ সালে সিয়ে থিং ফেং যথাক্রমে 'শূন্য দূরত্ব', 'উপলব্ধি', এবং 'ভিভা' নামের তিনটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে সিয়ে থিং ফেং-এর স্বরচিত গান 'ভালোবাসার কারণে ভালোবাসি' এবং 'ভিভা' গানটি সেই বছরের শ্রেষ্ঠ গানের পুরস্কার পায়।
২০০০ সালে সিয়ে থিং ফেং চলচ্চিত্র 'Time And Tide'-এ অভিনয় করেন। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচন করা ২০০০ সালের শ্রেষ্ঠ দশটি চীনা ভাষার চলচ্চিত্রের তালিকায় এই চলচ্চিত্রটি সপ্তম স্থান পায়। সিয়ে থিং ফেং এই চলচ্চিত্রের থিম সংও গেয়েছেন।
২০০০ সালের নভেম্বর মাসে, সিয়ে থিং ফেং তাঁর "Viva live" নামে বিশ্ব ট্যুর কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০০১ সালে সিয়ে থিং ফেং চীনের ছাং ছুন শহরে তাঁর মূল ভূভাগের প্রথম কনসার্ট আয়োজন করেন। একই বছরের ২৮ জুলাই সিয়ে থিং ফেং প্রথমবারের মতো চীনের শাংহাই শহরের ৮০ হাজার দর্শকের জন্য বড় স্টেডিয়ামে কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০০৩ সাল থেকে সঙ্গীতের কাজ ছেড়ে সিয়ে থিং ফেং রিয়েল এস্টেট, রেস্তরাঁ, পোশাক ও বিনোদন শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে পুঁজি বিনিয়োগ করতে শুরু করেন।
এ ছাড়া সিয়ে থিং ফেং গণকল্যাণমূলক কাজেও সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছেন। তিনি ৫০ জন দরিদ্র শিশুকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন। এ ছাড়া দরিদ্র এলাকায় স্কুলও স্থাপন করেছেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সিয়ে থিং ফেং সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)