২০২০ সালে প্রথম দফায় শিশু জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে লোকেরা ভাবছিল যে "মিলেনিয়াম শিশুদের এখন কী অবস্থা?" ২০ বছর বয়সে তারা কীভাবে বিশ্বকে দেখছে? কীভাবে তারা তাদের স্বপ্ন গড়ে তোলে?
যদি নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া মহামারী না হতো, তাহলে সুপকেট থানাডটাং চীনে ডক্টরেটের পড়াশোনার করতে পারতো। তবে মহামারীর প্রাদুর্ভাব সাময়িকভাবে চীনে তার পড়াশোনায় বাধা দিয়েছে। মহামারী চলাকালীন সুপকেট থানাডটাংও ব্যস্ত ছিলেন। তিনি তার বাবাকে তাঁর কাজে সহযোগিতা করার জন্য থাইল্যান্ডে ছিলেন এবং থাইল্যান্ড-চীন বন্ধুত্বের বিষয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি বলেন, এতে তিনি খুব গর্বিত।
সুপকেট থানাডটাং চীনে ৭ বছর ছিলেন। প্রথমদিকে তিনি চীনাভাষা পড়াশোনার জন্য সিয়ামেনের চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর তিনি বেইজিং আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি অর্জন করে ব্যবসায়িক খাতে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বর্তমানে স্নাতক থিসিস পর্যায়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, "চীন যাবার আগে দেশটি সম্পর্কে যা কল্পনা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক আলাদা। আমি ভাবিনি যে চীন এত আধুনিক এবং প্রযুক্তিতে এত উন্নত হয়েছে। চীনের শহরগুলো সুশৃঙ্খল এবং এটি খুব নিরাপদ দেশ। রাতে বেইজিংয়ের রাস্তায় হাঁটতে আমি ব্যাংককের চেয়ে নিরাপদ বোধ করি। একই সময় এখানে জীবন বর্ণিল, প্রচুর পর্যটক রয়েছে, বিদেশি পর্যটকও রয়েছে এবং চীনা খাবার দারুণ সুস্বাদু।"
চাইনিজদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, তিনি চীনাদের অধ্যবসায় এবং বুদ্ধি দ্বারা গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি বলেন, চীনের অল্প বয়স্ক লোকেরা খুব মেধাবী, বিশেষত আইটি খাতে- অনেক দুর্দান্ত প্রোগ্রামার রয়েছে।
যেহেতু নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাই সুপকেট থানাডটাং চীনে ফিরতে পারছেন না। যেহেতু তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে চীন সম্পর্কিত কাজে নিযুক্ত ছিলেন, তাই সুপকেট থানাডটাং স্বাভাবিকভাবেই তার পিতার সহকারী হয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি বাবাকে চীন সম্পর্কে তথ্য প্রচারে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা প্রচারে সহায়তা করি। আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে "এক অঞ্চল, এক পথ" নিয়ে অধ্যয়ন করছেন এবং আমি তাকে "এক অঞ্চল, এক পথ" সম্পর্কিত কিছু ভিডিও শ্যুট করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করি, যাতে আরও থাই মানুষ চীনের বর্তমান উন্নয়ন এবং পরিবর্তনগুলো বুঝতে পারে। বাবাকে কাজে সহায়তা করার সময় আমিও অনেক কিছু শিখেছি। প্রথমে আমার খুব চাপ লাগতো। এখন আমি গর্বিত যে আমি এ কাজগুলি করতে পারি। কারণ, আমি যে জ্ঞান চীনে শিখেছি এবং চীন সম্পর্কে আমার ধারণা বাবার কাজে সহায়তা করার জন্য তা ব্যবহার করতে পারি।
আমি আমার বাবার জন্য প্রথম ভিডিওটি তৈরি করেছি "এক অঞ্চল, এক পথ"-এর পটভূমি এবং উদ্দেশ্য। "এক অঞ্চল, এক পথ"-এর বরাবর দেশগুলিতে এর ফলে কী কী উপকার হবে এবং কী কী উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে- তা পরিচয় করিয়ে দেওয়া। আমি মনে করি, চীন অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশে পরিণত হবে। থাইল্যান্ড সর্বদা চীনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, যা থাইল্যান্ডের জন্য খুব ভাল একটি বিষয় এবং দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা অবশ্যই আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার তরুণীদের কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠের অনলাইন আসর আয়োজিত
চীনের গণমৈত্রী সমিতি ও ইউননান প্রাদেশিক সরকারের যৌথ উদ্যোগে নবম চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার তরুণীদের কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠের অনলাইন আসর ৩১ অগাস্ট আয়োজিত হয়। আসরে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার তরুণীরা করিতা ও প্রবন্ধের মাধ্যমে পরস্পরকে মৈত্রীর প্রেরণা ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আস্থা ও উত্সাহ যোগান।
চীনের গণমৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান লিন সোং থিয়ান এ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, কবিতার মাধ্যমে বন্ধুত্ব জোরদারের লক্ষ্যে এ আসরের আয়োজন। এতে সবাই এশীয় সংস্কৃতি ও কবিতার আকর্ষণ উপভোগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, চীন ও দক্ষিণ এশিয়া এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। দু'পক্ষের অভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদন ও ইতিহাস থাকার পাশাপাশি অভিন্ন উন্নয়নের কর্তব্যও রয়েছে। তরুণরা দেশের ভবিষ্যত ও জাতির আশা। তারা দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে। ২১ শতাব্দি এশিয়ার শতাব্দি। তরুণ বন্ধুরা রেশমপথের চেতনায় এশীয় সভ্যতার মধ্যে আদান-প্রদান জোরদার ও আভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনে সচেষ্ট থাকবে বলে আশা করা যায়।
আসরের প্রথম পর্বে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চীনা ভাষায় চীনের বিখ্যাত লেখকদের কবিতা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আর বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেন।