শুইথাংবাও থানার বাসিন্দা ইয়াও ওয়েন ছিয়ান পাহাড়ের সড়কে ফল বিক্রি করেন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, সড়ক নির্মিত হওয়ার পর আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
আগে প্রতিটি জেলায় হাইওয়েই ছিল, প্রতিটি গ্রামে সড়ক আছে। বর্তমানে আরো বেশি সড়ক তৈরি হয়েছে। স্যিয়ং চিয়ান হ্যচাং জেলার পরিবহন ব্যুরোয় কাজ করেছেন ১৭ বছর। তিনি বলেন, সড়ক নির্মিত হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় অনেক কমেছে।
যাত্রা দীর্ঘ হলেও ভাল সড়ক হলে তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যায়। বিষয়টি কঠিন, কিন্তু পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসে। স্থানীয় বাসিন্দা ফেং ওয়েই ছাই বলেন, এখানে আবহাওয়া আসলে আপেল চাষের জন্য ভাল। তিনি আপেল চাষ করার মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছেন। আসলে তিনি ওয়েইনিং ই, হুই ও মিয়াও জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলার ইনা আপেল কেন্দ্র থেকে শিখেছেন। মালভূমির গ্রীষ্মকালে আকাশ পরিষ্কার থাকে, আপেল গাছের ভাল ফলন হয়।
২০১৫ সালে ফেং ওয়েন ছাই আলুর পরিবর্তে আপেল চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম দিকে তাঁর স্ত্রী এতে সম্মত ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী বলেছেন, আপেল ভালো খাদ্যশস্য না। কিন্তু ফেং বলেন, আলু হলো খাদ্যশস্য, কিন্তু আপেল মিষ্টি ফল।
২০১৯ সালে ফেংয়ের আপেল বাগানে প্রচুর আপেল হয়। সেই আপেল বিক্রি করে তার পরিবার দারিদ্র্যমুক্ত হয়।
শিল্প খাতের উন্নয়ন হলো দারিদ্র্যবিমোচনের মূল পদ্ধতি। ঐতিহ্যগত চাষ পদ্ধতির সংস্কারের মাধ্যমে গ্রামটি বৈশিষ্ট্যময় কৃষিপণ্যের শিল্প গড়ে তুলেছে।
২৯ বছর বয়সী ফু হং নিজের পরিষ্কার বাড়ি দেখে বলেন, আমি কখনো ভাবি নি যে আমরা নতুন বাড়িঘর পাবো।
ফুহংয়ের আগে বাড়ি ছিল হ্যচাং জেলার শুয়াংফিং থানার উলি গ্রামে একটি ঘাসের তৈরি ঘর। কয়েক বর্গমিটারের ছোট ঘরে আটজন সদস্য থাকতেন।
২০১৮ সালে তাঁরা জেলার ইনশান বসবাস এলাকায় স্থানান্তরিত হন। তাঁরা ১৬০ বর্গমিটারের বাড়ি তৈরি করেন।
ইনশান বসবাস এলাকায় ১৮৩৬টি দরিদ্র পরিবারের মোট ৯০৩৮জন বাসিন্দা আছেন।
গত বছরের শেষ দিকে বিচিয়ে শহরে মোট ৫২.৩ হাজার পরিবারের ২.৪২৬ লাখ বাসিন্দা নতুন বাসস্থানে স্থানান্তরিত হন।
(ছাই/তৌহিদ)