১৯৮৭ সালে চাও ছুয়ান এবং রেড ক্রস কোরাস দল তাইওয়ানে নিজেদের খরচে 'সুপার রক' শীর্ষক কনসার্ট আয়োজন করে।
১৯৮৮ সালে চাও ছুয়ানের প্রথম অ্যালবাম 'আমি খুব কুদর্শন, তবে আমি খুব স্নেহশীল' রিলিজ হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১০টি গান। এই অ্যালবামের থিম সং 'আমি খুব দুদর্শন, তবে আমি খুব স্নেহশীল' তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল গান।
১৯৮৯ সালের ২০ মে, চাও ছুয়ানের দ্বিতীয় অ্যালবাম 'আমি অবশেষে তোমাকে হারিয়েছি' রিলিজ হয়। ১৯৯০ সালের ৬ জানুয়ারি, তাইওয়ানের প্রথম গোল্ডেন ম্যালোডি অ্যাওয়ার্ডসে চাও ছুয়ানের গান 'আমি খুব কুদর্শন, তবে আমি খুব স্নেহশীল' বার্ষিক শ্রেষ্ঠ গান হয় এবং বার্ষিক শ্রেষ্ঠ এমটিভির মনোনোয়ন পায়। এরপর জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনের আমন্ত্রণে চাও ছুয়ান তাইওয়ান প্রদেশের শিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব করে জাপানের সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
১৯৯০ সালের পয়লা অগাস্ট চাও ছুয়ানের তৃতীয় অ্যালবাম 'আমি একটি ছোট পাখি' বাজারে আসে। এ গানের মাধ্যমে চাও ছুয়ান সারা চীনে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
১৯৯১ সালে চাও ছুয়ান বেইজিংয়ে ব্যক্তিগত কনসার্ট আয়োজন করেন। তিনি বেইজিংয়ে কনসার্ট আয়োজনের আমন্ত্রণ পাওয়া তাইওয়ানের প্রথম শিল্পী।
১৯৯৩ সালে চীনের অলিম্পিক গেমস আবেদন কমিটির আমন্ত্রণে চাও ছুয়ান বেইজিংয়ে 'যৌথভাবে অলিম্পিক গেমসে স্বাগত জানানো' শীর্ষক দুটি কনসার্ট আয়োজন করেন। একই বছরের পয়লা অক্টোবর চাও ছুয়ানের অ্যালবাম 'অ্যাপয়েন্টমেন্ট' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের অন্যতম গান 'ভালোবাসাকে কিভাবে প্রকাশ করা যায়' তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল গানগুলোর অন্যতম।
১৯৯৫ সালে চাও ছুয়ান তাইওয়ানে 'তুমি সবসময় আছো' শীর্ষক ১৫টি কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০০২ সালে চাও ছুয়ানের অ্যালবাম 'আরও সাহসী হওয়া উচিত' প্রকাশিত হয়।
২০০৩ সালের ১৫ মার্চ, চাও ছুয়ান হংকংয়ে একটি কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চাও ছুয়ান বেইজিংয়ে কনসার্ট আয়োজন করেন। এতে তিনি 'সর্বপ্রথম' ও 'লাল নদী' নামের দুটি নতুন গান পরিবেশ করেন। এ ছাড়া তিনি নিজের মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল গান 'আমি একটি ছোট পাখি' পরিবেশ করেন।
২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, চাও ছুয়ান বেইজিংয়ে তাঁর নতুন অ্যালবাম 'সঙ্গীতের কুংফু' প্রকাশ করেন। তারপর তিনি এই অ্যালবাম নিয়ে বিশ্ব ট্যুর কনসার্ট আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাও ছুয়ানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)