চিঠিতে বলা হয়, প্রত্যেক কর্মীর উচিত প্রতি বেলার খাবারের যথাযথ মূল্য দেওয়া এবং খাদ্যের অপচয় রোধে সম্ভাব্য সব কিছু করা।
এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট সি বলেন 'এটি মর্মাহত বিষয় এবং দুর্দশার লক্ষণ!' তিনি প্রাচীন কবিতা উদ্ধৃত করে বলেন, 'পাতের খাবার সম্পর্কে জানো কি? ধানের প্রতিটি দানা হলো কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম!' এ ছাড়া কোনোভাবেই খাবার নষ্ট না-করার জন্য জোর আহ্বান জানান তিনি।
যদিও প্রতি বছর চীনে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের ফলন হয়, তবুও খাদ্য সুরক্ষার জন্য এখনও সঙ্কটের অনুভূতি ও চিন্তা থাকা দরকার। এ বছর বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী দেখা দিয়েছে। তাই আমাদের এ বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
আইন প্রণয়ন, ত্বত্তাবধান জোরদার করা, কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা, দৃঢ়ভাবে খাদ্যের অপচয় রোধ করার কথা বলেছেন সি চিন পিং। তিনি বলেন, কার্যকরভাবে মিতব্যয়ের রীতিনীতি গড়ে তোলা এবং সমাজে এমন পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন যে, অপচয় ও অপব্যয়কে লজ্জাজনক বলে মনে হয়।
বিশেষ করে, এ বছরের চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে খাদ্যের অপচয় না-করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গোটা চীনে 'ক্লিন প্লেট ক্যাম্পেইন' নামে একটি প্রচার কর্মসূচি কার্যকর হয়, তবুও খাদ্যের অপচয় কম হয় নি। যে পরিমাণ খাবার নষ্ট করা হয়, তা প্রেসিডেন্ট সি 'বেদনাদায়ক ও কষ্টকর' বলে অভিহিত করেছেন। খাদ্য সাশ্রয় হলো সবার দায়িত্ব।
আমরা অনেক রেস্তরাঁয় দেখেছি, কিছু অতিথি সত্যিই 'ক্লিন প্লেট ক্যাম্পেইন' বাস্তবায়ন করে নি। কিছু রেস্তরাঁর কর্মীরা সংবাদিককে জানান, বাচ্চার জন্মগ্রহণের অনুষ্ঠান বা বিয়ের অনুষ্ঠানসহ ব্যাপক ভোজ অনুষ্ঠানে খাদ্যের অপচয় বেশি হয়।
কিন্তু এ ধরণের খাদ্য অপচয়ের ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সবাই পরিশ্রম করছে। যেমন, বেইজিংয়ের একটি রেস্তরাঁ 'হাফ থালা ডিশ' সেবা শুরু করেছে। যে ভোক্তা নিজের ডিশ শেষ করেন, তাঁকে ৬ ইউয়ানের ভাউচার দেওয়া হচ্ছে।
আমরা জানি যে, এ বছর মহামারীর মধ্যে সম্প্রতি চীনের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য অপচয় না করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণ খাবার খাওয়ার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে কিছু ব্যক্তির কড়া সমালোচনা করেছে চায়না মিডিয়াম গ্রুপ (সিএমজি)।
এই ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এক ঘোষণায় বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার সংকট নিয়ে চীনের নাগরিকদের অনুভূতি বাড়াতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, খাদ্যের অপচয় কমিয়ে আনলে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়বে।
(ছাই/তৌহিদ/সূবর্ণা)