বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনারা শুনবেন চীনের তাইওয়ানের জনপ্রিয় গায়িকা কুও চিংয়ের কথা। তিনি পরিষ্কার ও শক্তিশালী কণ্ঠের জন্য পরিচিত। তার অনেক গান চীনের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়।
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন শিল্পীর জনপ্রিয় একটি গান 'তোমার চোখে আমি'। গান ১
কুও চিং ১৯৮০ সালে হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হংকংয়ের মানুষ আর মা তাইওয়ান প্রদেশের মানুষ। তিনি তাইওয়ানে বড় হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি গান গাওয়া ও অভিনয় করতে শুরু করেন। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর কুও চিং তাইওয়ানের একটি সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং একজন পেশাদার গায়িকা হন।
বন্ধুরা, এখন শুনুন কুও চিংয়ের কণ্ঠে একটি সুন্দর গান 'বিদায়'। গান ২
২০০৭ সালে কুও চিং তার প্রথম অ্যালবাম 'আমি তোমাকে ভুলে যেতে চাই না' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামের জন্য কুও চিং চীনের মূল ভূখণ্ডের শ্রেষ্ঠ নতুন গায়িকার পুরস্কার লাভ করেন।
বন্ধুরা, এখন এই অ্যালবাম থেকে শিল্পীর জনপ্রিয় একটি গান 'আমি তোমাকে ভুলে যেতে চাই না' শুনবো। এটি একটি দুঃখ-মিশ্রিত প্রেমের গান, কুও চিংয়ের শক্তিশালী কণ্ঠে তা মনোমুগ্ধকর শোনায়।
চলুন গানটি শুনি।
গান ৩
২০০৮ সালে কুও চিং দ্বিতীয় অ্যালবাম 'আগামীর ঊষা' প্রকাশ করেন। অ্যালবামের মূল গান 'আগামীর ঊষা' তাইওয়ানের 'গোল্ডেন সুর' পুরস্কারের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় তালিকাভুক্ত হয়। এই অ্যালবামের অন্য গান 'মনের দেয়াল' সিঙ্গাপুরের শ্রেষ্ঠ গানের পুরস্কার পায়।
বন্ধুরা, এখন শুনুন শিল্পীর জনপ্রিয় গান 'আগামীর ঊষা'। এটি খুব ইতিবাচক একটি গান। গানে বলা হয়, ঊষা বা ভোরের আলো ফোটার আগে অন্ধকার থাকে। জীবনের অন্ধকারে মানুষ বিমর্ষ হলেও বিশ্বাস করতে হবে যে, নিশ্চয় আলো আসবে এবং সব দুঃখ-ব্যথা কেটে যাবে। আলো আসবে ও নতুন দিন শুরু হবে।
গান ৪
২০০৯ সালে কুও চিং তৃতীয় অ্যালবাম 'গাছে বসে গান গাই' প্রকাশ করেন। আগের দুটি অ্যালবামের মতো এই অ্যালবামও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। বন্ধুরা, এখন আমরা শুনবো এই অ্যালবামের প্রধান গান 'গাছে বসে গান গাই'। গানের নাম থেকে বোঝা যায় এটি খুব প্রফুল্ল একটি গান। প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক লোকের মনে এমন একটি শিশু বাস করে। শিশুর মতো খেলাধুলা করতে মন চায়। এই গানে একটি মেয়ের শিশুর মতো খালি পায় গাছে বসে পা দুলিয়ে গান গাওয়ার দৃশ্য তুলে ধরা হয়।
বন্ধুরা চলুন গানটি শুনি।
গান ৫
'গাছে বসে গান গাই' গানটি শুনে আপনাদের কেমন লাগল? এবার আমরা শুনবো এই অ্যালবামের একটি জনপ্রিয় গান- 'মনের দেয়াল'। আবেগে আহত হওয়ার পর নিজেকে রক্ষা করার জন্য মানুষের মনে এক অদৃশ্য দেয়াল গড়ে উঠতে পারে। তবে অনেক সময় সে নিজে তা উপলব্ধি করতে পারে না। কিন্তু, এই দেয়াল মনটা বন্ধ করে দেয় বা দুঃখ ডেকে আনতে পারে। যখন মনের দেয়াল সরিয়ে দেওয়া হয়, তখন মন হালকা হয়ে যায় এবং বিস্তীর্ণ ও সুন্দর এক পৃথিবী আবিষ্কার হয়। যাদের মনের দেয়াল আছে, গানটি তাদের জন্যই। গায়িকা আশা করেন, সংগীতের শক্তি দিয়ে প্রতিটি মানুষ মনের দেয়াল সরাতে পারবে। গান ৬
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা কুও চিংয়ের আরও একটি সুন্দর গান 'আমরা সুখী হবো' শুনবো। জীবনে সুখ ও দুঃখ দুটোই আছে। এ গানে বলা হয়, দুঃখ বিদায় করলে সুখী জীবন কাটানো যায়। সবসময় মনে কৃতজ্ঞতাবোধ রেখে জীবনযাপন করা উচিত।
বন্ধুরা, চলুন গানটি শুনি এবং আশা করি গানের মতো আপনাদেরও সুখী জীবন হবে। গান ৭