৩৩ বছর বয়সী মা ছিয়াং হলেন ফুস্যিনের স্থানীয় বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি মাংস বিক্রির ব্যবসায় করছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে একজন রেসার হতে চাইতেন। বর্তমানে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি একটি অফ-রোড ট্র্যাক নির্মিত হয়েছে। মা ছিয়াং নিজের বাড়ির কাছাকাছি রেসিং করতে পারেন।
তিনি বলেন, পরিত্যক্ত খনি-পাহাড়ের প্রাকৃতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে অফ-রোড ট্র্যাক নির্মিত হয়েছে ফুস্যিনে। চীনের প্রথম অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের শহর হিসেবে ফুস্যিন শহর প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও উত্পাদন শিল্পের সবুজ উন্নয়নের পদ্ধতি অনুসদ্ধান করে আসছে। মা ছিয়াং বলেন, বর্তমান ফুস্যিন শহরের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে। তিনি বলেন,
"বর্তমান ফুস্যিন শহরের পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে। আগের পাহাড় বর্তমানে প্রাকৃতিক পার্কে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ে পাখি ও সুন্দর ফুল ভরপুর। পাশাপাশি এলাকা সবুজায়ন, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন সুবিধা ব্যবস্থার মান উচ্চ। এখন দৃশ্যস্থান খুবই সুন্দর ও আধুনিক।"
খনি-পাহাড়ের শতাধিক বছরের ইতিহাস রয়েছে। শুধুমাত্র গত বছরে ফুস্যিন শহরে ৬ বার রেসিং প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় এবং ২ লাখেরও বেশি দর্শক এখানে আসেন। মা ছিয়াং বলেন, ফুস্যিন শহর উন্নয়নের পাশাপাশি নিজের ব্যবসায় আরও উন্নত হচ্ছে। তিনি বলেন,
"বর্তমান ফুস্যিনে আয়োজিত রেসিং প্রতিযোগিতা অধিক থেকে অধিকরত মানুষকে আকৃষ্ট করছে। এখানে পর্যটনশিল্প উন্নত হচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। আমাদের ব্যবসায় আরও উন্নত হচ্ছে। এ বছর আমি আরেকটি মাংস উত্পাদন কারখানা খুলেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার জীবন আরও সুন্দর হবে।"