বিস্তৃত ভুট্টা ক্ষেতের মাঝে হঠাত্ একটি মেয়ের ডাক শোনা যায় বাবা, "তুমি কোথায়?"। মেয়েটি আরও বলেন: আমি তোমাকে বলছি, এই বিরাট ভুট্টা ক্ষেতে, কেউ কাউকে ডাকলে তা শোনা যায় না। এক হাতে ক্যামেরা, অন্য হাতে ভুট্টা। ওয়াং সিয়াও নান নামে মেয়েটি মাত্র ভুট্টা ক্ষেতে পানি দিয়েছে এবং নিজের ভিডিও গ্রহণ শেষ করেছে। সে বাবাকে খুঁজে বের করে একসঙ্গে বিশ্রাম নিতে চায়। সারা দিন ক্ষেতে ব্যস্ত থাকেন বাবা ও মেয়ে। এবার তারা তরমুজ খেয়ে বিশ্রাম নিতে চায়।
উপরের দৃশ্যটি হলো ওয়াং সিয়াও নানের তোলা ভিডিও-এর একটি অংশ। ওয়াং চীনের মধ্যাঞ্চলের হ্যনান প্রদেশের হুয়া জেলার একটি কৃষক পরিবারের মেয়ে। গত এক বছরে সে টিকটকে তিন শতাধিক ভিডিও পোস্ট করেছে। এসব ভিডিওতে সে ও তার বাবার দৈনন্দিন জীবন তুলে ধরা হয়েছে। তার ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। দেশজুড়ে তার ২০ লাখেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছে।
চীনের বিখ্যাত উপন্যাস 'Remote City'তে লেখক শেন ছুং ওয়েন পাঠকদের জন্য চীনের হুনান প্রদেশের গ্রামের সুন্দর দৃশ্য বর্ণনা করেছেন। চীনা মেয়ে ওয়াং সিয়াও নানের গ্রামটি চীনের হ্য নান প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের এই ছোট্ট গ্রাম। সে ভিডিও'র মাধ্যমে নিজের ও বাবার 'Remote City'-এর গল্প তুলে ধরেছে
ইন্টারনেটে ওয়াং-এর আরেকটি জনপ্রিয় নাম আছে—মাই সিয়াও তেং। এর অর্থ ফসল।
সে গত শতকের ৯০ দশকে জন্ম নেওয়া মেয়ে। তার চোখগুলো বড় বড়, চুল ঘন কালো, সোজা ও লম্বা গঠনের মেয়ে। ইন্টারনেট জনপ্রিয় হওয়া আকর্ষণীয় ধরনের মেয়েদের মতোই সে। তার টিকটক অ্যাকাউন্টে ২০ লাখেরও বেশি ফলোয়ার আছে।
তাদের লাল ইটের বাড়ি, গাছে ঝুলছে থোকা থোকা আঙুর; আপেলের ভারে গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়েছে। বাড়ির উঠানে আছে সবজি বাগান ও মুরগির খাঁচা। ওয়াং-এর উঠান দেখতে কিছুটা জরাজীর্ণ হলও তা বেশ প্রাণবন্ত। আর এটিই হলো ওয়াং-এর ভিডিও তৈরির কারখানা।
ভিডিওতে মেয়ে ওয়াং চুলে বেণি বাঁধেন, মিষ্টি করে কথা বলতে পছন্দ করেন, হাসতে পছন্দ করেন। সে যেন গ্রামীণ জীবনের সুন্দর ও প্রশান্ত এক মুখচ্ছবি, ঠিক যেন গ্রীষ্মকালের দুপুরে এক গ্লাস শীতল পানি। তবে, কেউ জানে না, ক্যামেরার বাইরে সে এই গ্রামের নিবন্ধিত দরিদ্র ঘরের মেয়ে। সে এক সময় নিজ পরিবারের অসহনীয় দরিদ্রতার জন্য হিনমন্যতা বোধ করত!
ছোটবেলায় মেয়ে ওয়াং-এর মা পরিবার ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তার বাবার শারীরিক অবস্থাও বেশ খারাপ। শুধুমাত্র বাবার যত্নে বেড়ে ওঠে মেয়ে ওয়াং। অবশ্য ছোটবেলা থেকে প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীদের যত্নও পেয়েছে সে। ২০১৩ সালে ওয়াং-এর পরিবার দরিদ্র পরিবার হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
ওয়াং বলেন, আগে আমার পরিবারের আয় ছিল খুব কম; অল্প কিছু জমির নির্ভর করতাম আমরা। সবচেয়ে খারাপ সময়, আমার লেখাপড়ার ফি, জীবনযাপন একেবারে স্থবির হয়ে পড়ত।
উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে ওয়াং-এর বাবা ওয়াং ইয়ু বো একসময় মেয়েকে স্কুল ছেড়ে শহরে গিয়ে কাজ করার চিন্তা করতেন। অবশেষে পরিবারের আত্মীয়স্বজনের দেওয়া দুই হাজার ইউয়ান দিয়ে মেয়ে ওয়াং-এর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।
দারিদ্র্যতাকে বিদায় করার স্বপ্ন মেয়ে ওয়াং-এর মনে শিকড় গেড়ে বসে।
২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর গ্রামের অনেকের মতো গ্রামের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পায় সে। ওয়াং হ্য নান প্রদেশের রাজধানী চেং চৌ শহরে চাকরি করা শুরু করেন।
তখন সে রাস্তার পাশে ছোট জিনিসপত্র বিক্রি করা, খণ্ডকালীন শিক্ষকতা ও ডেলিভারির কাজ করত। ওয়াং জানায়, আমার কাছে, চেং চৌ ছিল একটি বড় শহর। তখন আমার স্বপ্ন ছিল- আরও বেশি অর্থ উপার্জন করা, যাতে আমি ও আমার বাবার জীবন আরও ভালো হয়।
খাবার ডেলিভারি করা ছিল চেং চৌ শহরে ওয়াং-এর শেষ কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ নিয়ে পড়াশোনা করেছে ওয়াং। সে নিজের যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে টিকটকে ছোট ভিডিও পোস্ট করা শুরু করে। সে আশা করে এই প্ল্যাটফর্ম বিখ্যাত হবে।
সুন্দর চেহারা ও স্লিম ফিগার নিয়ে দিন-রাত মোটর সাইকেল চালিয়ে শহরের বড় বড় ভবনের মাঝ দিয়ে চলাচল করে ওয়াং। তাঁর নিজের গল্পগুলো যেন এক ভিন্ন ধরনের বাস্তবতা। তার জীবন টিকটকে অনেক দর্শক আকর্ষণ করে।
তবে জীবন মাঝে মাঝে আমাদের ইচ্ছামতো চলে না। ২০১৯ সালে একটি ঘটনার পর ওয়াং-এর ছোট ভিডিও তৈরি কাজ থেমে যায়।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে আমার বাবার একটি কিডনি অপসারণ করা হয়। গত বছরের শেষ দিকে আরেকটি কিডনিও রোগাক্রান্ত হয়। তাঁর যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন। বাবার রোগ আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। শহরে চাকরি করাও অনেক কঠিন। অনেক কষ্টও হয়। এসব ভেবে ওয়াং আর দ্বিধা না করে গ্রামে অসুস্থ বাবার কাছে ফিরে যায়।
সে বলে, 'আমার তো একটিই বাবা, তাঁর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করাটাই সঠিক কাজ।'
গ্রামের জীবন অবশ্য বড় শহরের মত ততটা রঙিন ও সমৃদ্ধ নয়। ঠিক এ কারণে ওয়াং-এর ভিডিও তৈরির কাজে আরেকটু পরিকল্পনা করতে হয়।
কৃষকের কাজ করা ক্ষেত, পুরানো বাড়িঘর, গ্রামের বৈশিষ্ট্যময় মেলা, কৃষিকাজ, গরুর মাংস রান্না করা....কৃষকদের দৈনন্দিন ও সাধারণ জীবনযাপন সম্পর্কে পরিচিত মেয়ে ওয়াং-এর নতুন ভিডিওর উপকরণ হয়ে ওঠে।
তবে ওয়াং-এর পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন বাবা ওয়াং ইয়ু বো। সারা জীবন বাবা ওয়াং ইয়ু বো'র জীবন শুধু জমি আর জমি। তিনি খুব কমই গ্রামের বাইরে যান। তাই ভিডিও তৈরি করা এই ষাটোর্ধ বৃদ্ধের কাছে শুধুই ফ্যাশন!
তবে মেয়ে ওয়াং ভিডিও করার ব্যাপারে জেদ ধরে থাকেন। বাবা ওয়াং ইয়ু বো অবশেষে মেয়ের ভালোবাসার কারণে ভিডিওতে অংশ নিতে রাজি হন। শুরুতে বাবা ওয়াং ইয়ু বো বুঝতে পারতেন না, তাঁর মেয়ে প্রতিদিন মোবাইল ফোন দিয়ে কি করছেন! তিনি সবসময় মেয়েকে বলেন: যে কথা বলা যায় না, সে কথা বলবে না, যে কাজ করা যায় না, সে রকম কাজ করবে না'। দীর্ঘ সময় ধরে ওয়াং ইয়ু বো মনে করতেন যে, ভিডিও রেকর্ড করা এবং ইন্টারনেটে বিখ্যাত হওয়া 'খারাপ ব্যাপার'।
তবে মেয়ের ভিডিও দেখে ওয়াং ইয়ু বো মনে করেন, ভিডিও ততটা খারাপ না। এখন তিনি মেয়ের ভিডিও তৈরির কাজে স্বীকৃতি দেন এবং ক্যামেরার সামনে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। ভিডিওতে বাবা ওয়াং ইয়ু বো, সবসময় এক হাতে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে থাকেন এবং নিজের লজ্জা ও উত্তেজেনা লুকানোর চেষ্টা করেন।
ওয়াং ইয়ু বো-এর আড়ষ্ট ও লাজুক ভাবমূর্তি অনেকেই পছন্দ করেন। তিনিও একটি টিকটক অকাউন্ট খোলেন। তিনি নিজেকে 'পঞ্চম ভাই' পরিচয় দেন। অনেক দর্শক ভিডিওর কমেন্টসে লিখেছেন: পঞ্চম ভাইকে দেখে তাদের বাবার কথা মনে পড়ে!
ওয়াং-এর প্রতিবেশী ওয়াং বাই সুন বলেন, আগে পঞ্চম ভাই-এর হাসি দেখা যেত না। এখন মেয়ে ফিরে এসেছে, তার মুখে প্রশস্ত হাসি ও সুখ দেখা যায়।
মেয়ে ওয়াং স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন যে, ভিডিও রেকর্ড করার মাধ্যমে তাঁর বাবা অনেক আনন্দ পেয়েছেন। আগে বাবা তাঁকে কীভাবে যত্ন নিতেন, তা খেয়াল করেন নি। এখন ভিডিও'র কল্যাণে তিনি এসব উষ্ণ মুহূর্তগুলো সব ধারণ করেছেন।
মেয়ে ওয়াং বলেন, আমি বাবাকে খুশি করার জন্য কাজ করতে চাই। গ্রামে ফিরে এসে তিনি শুধু কাজের নতুন সুযোগই পান নি, বরং বাবার ভালোবাসাকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। বাবার জন্য এসি কেনা, বাবার গমের ফসল তোলায় সাহায্য করা, ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করা, তরমুজ বিক্রি করা.... মেয়ে ওয়াং বাবাকে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন এবং এই পরিবারটি রক্ষা করছেন।
সমাজের অধিকাংশ মানুষের মতো মেয়ে ওয়াং-এর ভিডিও তৈরির কাজ ততটা সহজ ছিল না। তাঁর কোনও সহযোগী সদস্য নেই। সে শুধুই একা, সঙ্গে আছে একটি মোবাইল ফোন। সব ভিডিও রেকর্ড ও এডিটের কাজ তাকেই করতে হয়। সে জানায়, মাত্র কয়েক মিনিটের ভিডিও তৈরিতে সাধারণত শতাধিক উপকরণ প্রয়োজন হয়। শুধু ভিডিও ধারণ করতেই পুরো দিন সময় লাগে। ওয়াংকে প্রায় ভোর পর্যন্ত ভিডিও এডিটের কাজ করতে হয়!
একবার তিনি ও বাবা এলম্-বীজ (elm seeds) তুলতে যান। গাছে ওঠার ভিডিও ধারণ করার জন্য উঁচু উঁচু গাছ বেয়ে ওয়াংকে দশ-বারো বার উঠতে হয়! আরেকবার গমের ক্ষেতে পোকা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। বাবা ওয়াং ইয়ু বো অসুস্থ হওয়ায় বাড়ির বাইরে যেতে পারেন না। ৪০ কেজিরও বেশি ওষুধ বোঝাই বাক্স ওয়াং নিজের কাঁধে বোঝাই করে নিয়ে যায় ও একাই সব কাজ শেষ করে। সে জানায়, রাতের বেলা খাবার খাওয়ার সময় তার হাত দুটো যেন অসাড় হয়ে আসছিল! এতটাই ক্লান্ত যে, চপস্টিকসও উঠাতে পারছিল না।
মেয়ে ওয়াং-এর ভিডিওতে, হাসি আছে, অশ্রু আছে, রাগ আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে একটি বিষয় অপরিবর্তিত, তা হলো- জীবন সম্পর্কে বাবা ও মেয়ের আশাবাদ ও সাহস।
মেয়ে ওয়াং মনে করেন, ভিডিও করতে করতে সে বড় হয়েছে। সে জানায়, আগে সবসময় নিজেকে একটি শিশু মনে করতাম, এখন সব কাজ নিজের কাঁধে বহন করতে হয়।
ওয়াং তার ভিডিওগুলো টিকটকে পোস্ট করে ইন্টারনেটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে, তার প্রতিবেশীদের চোখে, ওয়াং এখনও সেই লাভলি ছোট মেয়েই রয়ে গেছে।
গ্রামে সিপিসি'র সম্পাদক ওয়াং কুও লিয়ান বলেন, গ্রামের অনেক তরুণ-তরুণী বড় বড় শহরে গিয়ে লেখাপড়া বা চাকরি করছেন। তবে, ওয়াং গ্রামে ফিরে ভিডিও তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর ভিডিও আমাদের স্থানীয় মানুষের প্রাচীন চিন্তাধারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। এখন সবাই তাঁর ভিডিওতে যোগ দিতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
ওয়াং জানায়, সে নিজের কাছের কৃষক বন্ধুদের অনলাইনে ভিডিও পোস্ট করায় সাহায্য করতে চান। যাতে সবাই একসঙ্গে নিজের চেষ্টার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। ওয়াং বলে, আমি নিজের শক্তি দিয়ে কিছু সেবামূলক কাজ ও কৃষকদের সহায়তা দিতে চাই।
মেয়ে ওয়াং নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। গত জুন মাসে, রসুন বিক্রির সমস্যা হয়েছিল। মেয়ে ওয়াং এ খবর শুনে টিকটকে লাইভের মাধ্যমে কৃষকদের রসুন বিক্রিতে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।
রসুন বাছাই করা, প্যাকিং করা ও ডেলিভারি করা। লাইভের দিন আধা ঘণ্টা সময়ে ওয়াং ৫ হাজার অর্ডার পায়। সে পরদিন ভোর তিনটা পর্যন্ত এ কাজে ব্যস্ত থাকে। সে জানায়, সেদিন আমার ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল। তবে, অন্যকে সাহায্য করতে পারার আনন্দও অনেক।
চীনা মেয়ে 'লি জিই ছি' চীনের গ্রামীণ জীবনযাত্রা ওয়েবসাইটে পোস্ট করে বিদেশে অনেক জনপ্রিয় হয়েছেন। মেয়ে ওয়াংও গ্রামের জীবন তুলে ধরতে পছন্দ করেন। তাই অনেকেই তাঁকে 'হ্য নান প্রদেশের লি জিই ছি' বলে আখ্যায়িত করে।
তবে ওয়াং বলে, আমার ভিডিওগুলোকে লি জিই ছি'র ভিডিও'র সঙ্গে তুলনা করা যায় না, তাঁর ভিডিও অনেক বেশি সুন্দর। তিনি বলেন, তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণে মনের জোরে কাজ করে যাবেন।
টিকটকে একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন, ওয়াং-এর ভিডিওতে সে ও তার বাবার ইতিবাচক মনোভাব এবং মজার জীবন দেখা যায়। এটা দেখতে খুব প্রশান্তিময়। কেউ কেউ বলেন, ওয়াং চীনা কৃষকদের প্রকৃত জীবন তুলে ধরেছেন। আসল গ্রাম, আসল আঞ্চলিক ভাষা, গ্রাম সম্বন্ধে অনেকের স্মৃতি তাঁর ভিডিও'র মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
সত্যিই গ্রামের মেয়ে ওয়াং ততটা ফ্যাশনেবল নয়। কিন্তু, তার ভিডিও'র মাধ্যমে শহরবাসীরা সত্যিকারের গ্রাম দেখতে পায়; গ্রামবাসীরা নিজের গ্রামের প্রতি নতুন করে ভালোবাসা অনুভব করে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)