টিকটক শুধু একটি অ্যাপ্লিকেশন! এর বেশিরভাগই ভিডিও বেশ মজার। টিকটক প্ল্যাটফর্মটি মার্কিনীদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। অর্থাত্ এটি মার্কিনীদের জন্য উপকারী। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন বেকারত্ব অনেক বেড়েছে।
বিশেষ করে এ অ্যাপলিকেশন কিছু প্রতিভাবান আমেরিকানকে সাহায্য করেছে। তারা খুব অল্প সময়ে বিরাট শ্রোতা আকৃষ্ট করেছেন। টিকটক একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। তাহলে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সে সুযোগটি বন্ধ করতে চান?
ট্রাম্প বলেছেন, টিকটক বন্ধ করা হবে, কারণ এটি চীনের পণ্য!
তার বাণিজ্যিক উপদেষ্টা টিকটকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা এবং চীন সরকারের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এ অভিযোগের কোনও প্রমাণ তারা দেয় নি। ওই বাণিজ্য উপদেষ্টা আগেও অভিযোগ করেছিলেন যে, চীন করোনাভাইরাস সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন যে, উহানের একটি গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটি এসেছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে! তিনি বলেছেন যে, হুয়াওয়েই নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তারা শুধু অভিযোগই করছে। তবে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলেন না।
যাই হোক, চলুন শুনি প্রযুক্তিবিদরা কী বলছেন?
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রবন্ধে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা খুঁজে পেয়েছেন যে, টিকটক ফেসবুকের মতো এত বেশি ব্যবহারকারীর তথ্য নেয় না। টিকটক কোনো গোপন ও লজ্জাজনক কাজও করে নি। এই অ্যাপলিকেশন অন্য অ্যাপলিকেশনের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রম চালায়।
মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন, কারও ভালো বা খারাপ বিবেচনা করতে হয় তার আচরণের মাধ্যমে; তার চামড়ার রঙ বা জাতির মাধ্যমে নয়। তাহলে কেন একটি কোম্পানিকে তার কার্যক্রম বাদ দিয়ে কোন দেশের তৈরি- সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
টিকটক অ্যাপলিকেশনের সার্ভার যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠানের সিইও একজন মার্কিন নাগরিক। এটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং তা সরকারকে নিয়মিত কর দেয় ও মার্কিন গ্রাহকদের সেবা দেয়। এই কার্যক্রম যে কোনও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যথেষ্ট।
বর্তমানে টিকটককে চীনের উত্স থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে বলা হয়েছে। যেন কাউকে তার বাবা-মা'র অস্তিত্ব অস্বীকার করতে বলার জন্য চাপ দেওয়া; শরীরে সব রক্ত পরিবর্তন করা এবং নতুন পরিবারের কাছে নিজেকে বিক্রি করা!
টিকটক ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি ডিজিটাল পণ্য। টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জনগণের হাসি ও সুখ কেড়ে নেওয়ার অপরাধে ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ভোটে জবাব দেওয়ার আহ্বান জানায় সিজিটিএন।
(রুবি/তৌহিদ/শিশির)