গ্রীষ্মকালে চীনের তা সিং আন লিং পাহাড়ে সবুজ গাছ ও ঘাসে সাজানো খুব সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। বার্চ গাছের বনে বাদামি রংয়ের অনেক দু'তলার কাঠের বাড়িঘর চোখে পড়ে। বাড়ির বাইরে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বসে আরাম করে চা পান করছেন। ঘরের ভিতরে, নারীরা বৈচিত্র্যময় পাউরুটি তৈরি করছেন, হরিণের চামড়ায় ছবি আঁকছেন। এটি হল চীনের ইনারমঙ্গোলিয়া অঞ্চলের আর ওয়েন ক্য জাতির শিকারি মানুষের নতুন আবাসিক এলাকা।
প্রাকৃতিক অভিবাসী নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে আর ওয়েন ক্য জাতির মানুষ পাহাড় থেকে নেমে এখানে বসবাস করতে শুরু করেছেন। তারা আধুনিক জীবন কাটাচ্ছেন, তাদের জীবনে আকাশ-পাতাল পরিবর্তন ঘটেছে।
আগে তারা পশু শিকার করতেন, এখন তারা প্রধানত পর্যটন শিল্প নিয়ে কাজ করেন। আগে তারা আধুনিক সভ্যতা থেকে অনেক দূরে ছিলেন, এখন তারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে নিজের বৈশিষ্ট্যময় সংস্কৃতি বিনিময় করছেন। আর ওয়েন ক্য জাতির মানুষের জীবন উন্নয়ন যেন, চীনের বিভিন্ন জাতির সঙ্গে হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলন, তারা বিভিন্ন জাতির মানুষের সঙ্গে সচ্ছল সমাজের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
পাহাড় থেকে নেমে নতুন জীবনকে আলিঙ্গন করা
'আর ওয়েন ক্য' নামটির অর্থ হলো 'পাহাড়ের গভীর বনাঞ্চলে থাকা মানুষ'। আর ওয়েন ক্য জাতিটি চীনের সংখ্যালঘু জাতির মধ্যে অন্যতম। এ জাতির মোট জনসংখ্যা ৪০ হাজারেরও কম। এই জাতির সোলুন, থুংকুসি ও সিলু- এই তিনটি উপজাতি আছে।
সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময় সিলু উপজাতি আর ওয়েন ক্য জাতির গ্রামে বাস করে। তারা দীর্ঘসময় ধরে তা সিং আর লিং পাহাড়ের আদিম বনভূমিতে থাকতেন এবং বংশপরম্পরায় শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদেরকে 'চীনের সর্বশেষ শিকারি উপজাতি' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার আগে তারা সবসময় আদিম জীবনযাপন পদ্ধতি বজায় রাখতেন: পশুর চামড়া গায়ে পরতেন ও পশুর মাংস খেতেন। তারা কাঠ দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করতেন, বাইরের বিশ্বের সঙ্গে একদম বিচ্ছিন্ন ছিলেন তারা।
আগের জীবনের কথা উল্লেখ করে ৭৯ বছর বয়সী বৃদ্ধা চুং নি হাও তার নিজস্ব ভাষায় বলেন: তখন আমরা পাহাড়ে থাকতাম, সবসময় খাবারের অভাব ছিল। শীতকালে গরম কাপড়ও পাওয়া যেত না।
১৯৫৮ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকারের যত্নে, দেশের প্রথম আর ওয়েন ক্য জাতির গ্রাম স্থাপিত হয়। শিকারিদের জীবন আধুনিক জীবনের সঙ্গে যোগ হতে শুরু করে।
আধুনিক সভ্যতা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে, আর ওয়েন ক্য জাতির শিকারিদের বহু বছরের শিকার পদ্ধতি আর যুগোপযোগী নয়।
আর ওয়েন ক্য জাতির গ্রামের প্রধান জাং ওয়ান জুন স্মরণ করে বলেন, শুধুমাত্র পাহাড় থেকে নেমে সমতলে বসবাস শুরু করলে, উন্নয়নের নতুন পদ্ধতি খুঁজলে এই জাতি সমৃদ্ধ হতে পারবে।
২০০৩ সালে চীনের কেন হ্য শহরে প্রাকৃতিক অভিবাসী নীতি চালু হয়। এর মাধ্যমে আর ওয়েন ক্য জাতির শিকারিদের আবাসিক এলাকা কেন হ্য শহরের কাছে স্থানান্তর করা হয়।
৬২টি পরিবার, ২ শতাধিক শিকারি পাহাড়কে বিদায় জানিয়ে নতুন আবাসিক এলাকায় চলে আসেন। যে জীবন তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল, তার বর্ণনা দেওয়া যাক। এখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য রয়েছে একটি স্বতন্ত্র আধুনিক মানের দু'তলা কাঠের বাড়ি। শীতকালে ঘরে ঘরে রয়েছে কৃত্রিম তাপের ব্যবস্থা, রান্নার জন্য আছে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থা।
পাহাড় থেকে নামা শিকারিদের স্থিতিশীল জীবন নিশ্চিত করতে সরকার ধারাবাহিক সহায়ক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশেষ করে চীনের অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসন ও বিভিন্ন পক্ষ আর ওয়েন ক্য জাতির খাদ্য, শিক্ষা, যাতায়াত, বাড়িঘর এবং চিকিত্সাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে এবং শিল্প উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়ন করেছে।
আর ওয়েন ক্য জাতির মেয়ে ফান সো তৃপ্তির সঙ্গে বলেন: পাহাড় নেমে আসার পর এখন আমাদের জীবন ধারণার চেয়েও অনেক ভালো হয়েছে। নতুন বাড়িঘর সরকারি খরচে তৈরি হয়েছে, শীতকালে তাপ উত্পন্ন করতে যে গরম পানির প্রয়োজন হয়, তাও একদম বিনামূল্যে। যাতায়াতও অনেক সুবিধাজনক। শিশুদের স্কুলে লেখাপড়া ও বয়স্কদের চিকিত্সায় কোনও অসুবিধা নেই। শহরের আরো কাছাকাছি থাকি আমরা, তাই আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও অনেক বেশি। সবার আয় অনেক বেড়েছে, অনেকেরই নিজের গাড়ি আছে।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে, আর ওয়েন ক্য জাতির গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪৩ বছর। বর্তমানে তাদের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৫ বছর। ৮০ বছরেরও বেশি বয়সী আর ওয়েন ক্য জাতির বয়স্ক মানুষের সংখ্যা শতাধিক। সো ইয়ু নামে আর ওয়েন ক্য জাতির মেয়ে বলেন, এখন তিনি একটি শিল্পকর্মের দোকান খুলেছেন; নিজেই তার মালিক হয়েছেন। এখন সবার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, এখন কোনও অভাব নেই। আর এটাই হলো সচ্ছল সমাজ।
সবুজ রূপান্তর, নতুন সুযোগের সম্মুখীন
অতীতে, আর ওয়েন ক্য মানুষরা পশুর চামড়া ও লোম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিনিময় করত। বর্তমানে অনলাইন বিক্রি, ই-পে তাদের জন্য খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়েছে। কিছু কিছু আর ওয়েন ক্য মানুষ সাহসের সঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন, অনেকেই কোম্পানির প্রধান হয়েছেন।
সিঙ্গাপুরে অধ্যয়ন শেষে দেশে ফিরে আসেন আর ওয়েন ক্য যুবক নো রি। তিনি বড় বড় শহরের ভালো বেতনের কর্মসংস্থান ছেড়ে নিজের জন্মস্থানে ফিরে এসেছেন। আগে তার জন্মস্থানে পশুপালকের সহযোগিতা কমিটির প্রতি বছরের আয় ছিল ৪ লাখ ইউয়ান, নো রি'র চেষ্টায় এখন এই ব্যবসা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে, বর্তমানে এ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি ইউয়ানেরও বেশি মুনাফা অর্জন হচ্ছে।
বৈশিষ্ট্যময় প্রাকৃতিক সুবিধা ও জাতীয় সংস্কৃতির ভিত্তিতে অনেক আর ওয়েন ক্য মানুষ পর্যটন শিল্পে যোগ দিয়েছেন। কেন হ্য শহরের উলিকুমা বন খামারে আর ওয়েন ক্য জাতি পুরুষ কু মু সেনের একটি বল্গাহরিণ লালন-পালন খামার আছে। এখন এই খামার একটি দর্শনীয় স্থানেও পরিণত হয়েছে। গ্রীষ্মকাল হলো পর্যটকদের আকর্ষণীয় মৌসুম, প্রতিদিন অনেক পর্যটক তার হরিণ খামারে আসেন। কুমুসেন বলেন, টিকিট বিক্রি ও হস্তশিল্প বিক্রির মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজারেরও বেশি ইউয়ান আয় হয়।
পাহাড় ত্যাগ করার পর অনেকই চিন্তা করে যে আর ওয়েন ক্য মানুষ আর হরিণ লালন-পালন করতে পারবে না। কেন হ্য শহরের উপপ্রচারমন্ত্রী ইয়ু লান বলেন, শিকারিদের জীবন-যাপন পদ্ধতি রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য কেন হ্য শহর ১০ কোটি ইউয়ানেরও বেশি বরাদ্দ দেয়। সেখানকার বৈশিষ্ট্যময় হরিণ লালন-পালন সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সুবিধাজনক পদ্ধতিতে পর্যটন শিল্প উন্নত হয়েছে।
এখন স্থানীয় আর ওয়েন ক্য জাতির গ্রামের পর্যটন দেশ বিদেশে অনেক বিখ্যাত হয়ে উঠেছে, স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় পর্যটন ও রীতিনীতি উপভোগ করতে সেখানে ছুটে যাচ্ছে মানুষ।
অনেক তরুণ মানুষ কুমুসেনের মতো, আবার পাহাড় ও বনে ফিরে গিয়ে হরিণ লালন-পালন শুরু করেছে। হরিণের সংখ্যা আগের একশ থেকে বেড়ে এখন এক হাজারেরও বেশি হয়েছে। হরিণ লালন-পালন কেন্দ্রের সংখ্যা আগের ছয়টি থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৪টিতে উন্নীত হয়েছে।
এখন সরকার শিকারিদের হরিণ লালন-পালনের জন্য বিশেষ তাঁবু, ক্যাম্প-গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। বাড়ি স্থানান্তরেও অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদন করা হচ্ছে। যা দিয়ে ফ্রিজার ও টিভি ব্যবহার করা যায়। গ্রামে নিয়মিত হরিণ লালন-পালনের জন্য শাকসবজি ও দৈনন্দিন জিনিস সরবরাহ করা হয়।
পর্যটন শিল্পের কল্যাণে অনেক শিকারি পাহাড়ের পাদদেশে হরিণ-সম্পর্কিত হস্তশিল্পের দোকান খুলেছেন এবং পারিবারিক হোস্টেল পরিচালনা করছেন এতে প্রতি বছর ভালো মুনাফা অর্জিত হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আর ওয়েন ক্য জাতির শিকারিদের মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালের ১২৭৭ ইউয়ান থেকে বেড়ে বর্তমানে তা ২০ হাজার ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
সংস্কৃতি ধারণ করে, নতুন স্বপ্নযাত্রা শুরু
গত জুলাই মাসে আর ওয়েন ক্য জাতির মেয়ে লি সি সিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৮৪ স্কোর পান। তিনি এ গ্রামে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী।
তিনি বলেন, আমি চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা চায়না কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাই। তিনি বলেন, কৃষি সম্পর্কে জানলে স্নাতক হওয়ার পর আমি এখানে আবার ফিরে এসে হরিণ লালন-পালন করতে পারব। আর মিডিয়ার বিষয় শিখলে আমি জন্মস্থানে ফিরে আমাদের খবর প্রচার করতে পারবো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইনারমঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসন অঞ্চল জাতীয় শিক্ষা ফি থেকে বিশেষ করে সংখ্যালঘু জাতির স্কুল নির্মাণ এবং জাতীয় বৈশিষ্ট্যময় উত্তরাধিকার কাজে কিছু ফি বরাদ্দ দিয়েছে। এর সঙ্গে সংখ্যালঘু জাতির জন্য সংখ্যালঘু জাতির ভাষার শিক্ষা-উপকরণ তৈরির ফিও দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে আর ওয়েন ক্য জাতির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিল ৫২ শতাংশ। চলতি বছর স্থানীয় ৫১৮জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই লি জি সিনের মতো চীনের বিভিন্ন স্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।
দ্য ক্য লি হলেন ইনারমঙ্গোলিয়ার একজন অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের উত্তরাধিকারিণী। ছোটবেলা থেকে তিনি মায়ের সঙ্গে বার্চ গাছের ছাল দিয়ে হস্তশিল্প তৈরির পদ্ধতি এবং আর ওয়েন ক্য জাতির ঐতিহ্যবাহী কাপড় তৈরির পদ্ধতি শিখেছেন।
মূল্যবান আর ওয়েন ক্য সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য তিনি একটি জাতীয় হস্তশিল্প তৈরির মাস্টার স্টুডিও স্থাপন করেন। এতে অনেক তরুণ-তরুণী যোগ দিয়েছে। তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি আরো প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে।
দ্য ক্য লি বলেন, আর ওয়েন ক্য জাতির নিজস্ব অক্ষর নেই। তাই নিজ জাতির সংস্কৃতি ধারণ করতে চাইলে টোটেম ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি এখন হরিণের চামড়া দিয়ে টোটেম ছবি তৈরি করছি। আমি এসব টোটেম ছবি আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই।
বহুবছর ধরে অন্ধকারময় ও আর্দ্র বনে থাকার কারণে আর ওয়েন ক্য জাতির মানুষ সূর্যের আরাধনা করে। তারা পশুর চামড়া ও রঙিন পাথর দিয়ে সূর্যের মত ম্যাস্কট তৈরি করে শরীরে পরে। এটি হলো আর ওয়েন ক্য জাতির সংস্কৃতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক—'সূর্য ফুল'।
প্রাচীন সূর্য ফুল কীভাবে আধুনিক যুগে আবারও উজ্জ্বল হতে পারে? আর ওয়েন ক্য জাতির তরুণ মানুষের উত্তর হলো, সূর্য ফুলকে শিল্পের প্রতীক হিসেবে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক পণ্য তৈরি করা।
৯০দশকে জন্মগ্রহণকারী মেয়ে আই জি মা এসব তরুণ মানুষদের অন্যতম। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স শিখছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর জন্মস্থানে ফিরে ই-কমার্সের প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছেন। তার মাকে সূর্য ফুল বিক্রিতে সাহায্য করছেন।
প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ১০ হাজারেরও বেশি অর্ডার পান। আই জি মা বলেন, ঐতিহাসিক সংস্কৃতি খুব জনপ্রিয়। আমি অব্যাহতভাবে এটি উদ্ভাবন করতে চাই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় সংস্কৃতি হলো সবচেয়ে ভালো নেমকার্ড। আধুনিক সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আর ওয়েন ক্য জাতির মানুষ নিজস্ব জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে; দেশের বিভিন্ন জাতির মানুষের সঙ্গে বিনিময়ের মাধ্যমে যৌথভাবে সুন্দর ভবিষ্যত্ রচনা করছে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)