সিনচিয়াংয়ের গমের ফলন সাধারণত জাতীয় গড় মানের চেয়ে বেশি। বিশেষত, দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ে।
প্রতিবছর জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত গম কাটা শুরু হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিনচিয়াংয়ে গম চাষে আরও প্রচুর ফলন হয়। প্রাসঙ্গিক তথ্য অনুসারে, সিনচিয়াংয়ে এ বছর গ্রীষ্মকালীন গমের আবাদ আগের বছরের চেয়ে ১.১ মিলিয়ন মু বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৭ শতাংশ বেশি। ফসল চাষের পিছনে রয়েছে কৃষকদের পরিশ্রম ও নীতিমালার দৃঢ় সমর্থন। এ বছর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের কাউন্টি ও শহরগুলিতে নতুন গমের জাতের প্রদর্শন বৃদ্ধি করেছিল। এ সময় সম্পদ একীকরণ করে, কৃষকদের জন্য গাইডেন্স এবং বিনিয়োগ বাড়ানো হয় এবং শীতকালীন গম সংগ্রহের জন্য বড় আকারের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় এবং উন্নত গমের ফলন ও দক্ষতা বাড়ানো হয়।
কৃষিকাজ সবচেয়ে কঠিন, শস্য উত্পাদনে কৃষকদের উত্সাহ দিতে, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি ২০১৮ সাল থেকে গম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ খাতে সংস্কার বাস্তবায়ন করছে। শীতের গম চাষের উপযোগী জমির উর্বরতা রক্ষার জন্য ভর্তুকির মান প্রতি মু ১৩০ ইউয়ান করা হয়েছিল। এ বছর প্রতি মু ২২০ ইউয়ানে সামঞ্জস্য করা হয়। ভর্তুকি নীতি বাস্তবায়নের ফলে শস্যচাষীরা উপকৃত হয়েছে এবং সিনচিয়াংয়ের মানস কাউন্টিতে কৃষকের সংখ্যা বেড়েছে।
কৃষিতে সরকারি নীতিগত সহায়তা ছাড়াও সিনচিয়াংয়ের কৃষিক্ষেত্র উন্নয়নে অগ্রসর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সমর্থনও ভূমিকা পালন করেছে। সর্বাধিক উন্নত পেইতৌ নেভিগেশন সিস্টেম এবং ড্রোন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়েছে। কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও তথ্যায়ন সমন্বিতভাবে উন্নত করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ফসল ছাড়াও, সিনচিয়াং জুড়ে কৃষকরা গ্রীষ্মে চাষাবাদ শুরু করেন এবং কৃষিজমি ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করার জন্য এ সময় বেছে নেওয়া হয়েছে। জমিতে ব্যস্ত দৃশ্যের মাঝে, সিনচিয়াংয়ের কৃষকরা ফসল উত্পাদন করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত জীবন প্রত্যাশা করছেন।