চীনের গণ-মুক্তি ফৌজ প্রতিষ্ঠার ৯৩ বছর পূর্তিতে এই বাহিনীর মূল কাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি, 'জনগণের জন্য সেবা' হলো তাদের সবচেয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি।
চীনের গণ-মুক্তিফৌজ সবসময় জনগণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আছে। বীরের গল্প এখনো চলছে।
আজ (শনিবার) পয়লা অগাষ্ট। চীনা গণমুক্তি ফৌজ গঠনের বার্ষিকী। এ উপলক্ষে বেইজিংয়ে থিয়ানআনমেন স্কয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। গণমুক্তি ফৌজের অনার গার্ডদল ও সামরিক ব্যান্ডদল এতে অংশ নেয়।
উত্তর মেরুর চৌকি হলো চীনের উত্তরের শেষ সীমায় অবস্থিত চৌকি। পয়লা অগাষ্ট চীনা গণমুক্তি ফৌজ গঠনের বার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর মেরুর চৌকিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এখানে হিমাংকের নিচে ৫২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হচ্ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সারা বছরে এখানে হিমাংকের উপরে তাপমাত্রা থাকে শুধুমাত্র ৮০ দিন। এই বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেই সেনারা মাতৃভূমি ও জনগণের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। সীমান্ত অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষায় তারা সর্বদা সচেষ্ট থাকেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (মঙ্গলবার) এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) পঞ্চম পরিষদের অনলাইন বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি সর্বপ্রথমে এ অধিবেশনের আয়োজনকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের উচিত সদস্যদেশগুলোর যৌথ উন্নয়ন ও মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনের প্ল্যাটফর্ম গঠন করা। তাদের উচিত যৌথ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে নব্যতাপ্রবর্তনের মাধ্যমে এ ব্যাংককে বিশ্বের যৌথ উন্নয়নকে প্রমোটকারী বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকে পরিণত করা। ব্যাংকটিকে নতুন উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম এবং উচ্চ পর্যায়ের নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বহুপক্ষীয় সহযোগিতার দৃষ্টান্তে পরিণত করা উচিত। চীন বরাবরই বহুপক্ষবাদে অবিচল থেকে আসছে এবং উন্মুক্তকরণ, সহযোগিতা ও অভিন্ন সমন্বয়ের চেতনায় সকল সদস্যদেশের সঙ্গে মিলে এ ব্যাংককে সমর্থন করে যাবে। এতে আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও যৌথ উন্নয়ন সাধন করা সহজতর হবে।
ভাষণে সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, গত ২০১৩ সালে তিনি এশিয়ায় অবকাঠামো নির্মাণ, পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং যৌথ উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে চীনের পক্ষ থেকে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব দেন। চালু হওয়ার চার বছরের মধ্যে ব্যাংকটি বিশ্ব মানের ব্যাংকে পরিণত হয়েছে এবং বিভিন্ন কাজে সফলতা অর্জন করে চলেছে। প্রথম দিকের ৫৭টি প্রতিষ্ঠাতাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ব্যাংকের সদ্যসসংখ্যা বেড়ে ১০২টিতে দাঁড়িয়েছে। আরও বেশি সুঅংশীদার এতে যোগ দিচ্ছে। সহযোগিতার মানও আরও উন্নত হয়েছে। এতে পেশাদার, কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক হিসেবে এর ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে।
সি চিন পিং বলেন, 'বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবিলার লড়াই প্রমাণ করে যে, মানবজাতি বাতাস ও বৃষ্টিতে একই নৌকায় চড়ে বসা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি। কেবল পরস্পরকে সমর্থন দেওয়া ও সহযোগিতা জোরদার করা হবে এ সংকট কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায়। অর্থনীতির বিশ্বায়নের প্রক্রিয়ায় যে-মতভেদ দেখা দেয়, তা সমাধানের জন্য বিভিন্ন দেশের উচিত আরও সহনশীল বৈশ্বিক প্রশাসন, আরও কার্যকর বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরও ইতিবাচক আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের উচিত সদস্যদেশগুলোর যৌথ উন্নয়ন এবং মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিউনিটি গঠনের নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা।'
এ প্রসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রথমত: এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের সদস্যদেশগুলোর উচিত অভিন্ন উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া। এআইআইবি-কে বিশ্বের যৌথ উন্নয়ন জোরদারে নতুন ধরনের বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকে উন্নীত করতে হবে, যাতে এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগানো যায়।
দ্বিতীয়ত: উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। এআইআইবি-কে যুগের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া নতুন ধরনের উন্নত মঞ্চে পরিণত করতে হবে। এআইআইবি'র উচিত উন্নয়নের ধারণা, কাঠামো ও পরিচালনাব্যবস্থা উদ্ভাবন করা, সবুজ উন্নয়ন জোরদার করা, এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সমর্থন দেওয়া।
তৃতীয়ত: উন্নত বাস্তবসম্মত অনুশীলন বাস্তবায়ন করা উচিত। এআইআইবি-কে উচ্চমানের নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থায় উন্নীত করা দরকার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার সর্বোচ্চ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন তিনি।
চতুর্থত: উন্মুক্ত ও সহনশীল নীতিতে অবিচল থাকার পরামর্শ দেন সি। এআইআইবি-কে আন্তর্জাতিক বহুপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন দৃষ্টান্তে পরিণত করতে হবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের প্রবণতা অনুযায়ী, আঞ্চলিক অর্থনীতির একীকরণ বাস্তবায়ন করা এবং অর্থনীতির বিশ্বায়নকে আরও সহনশীল করার কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
সি চিন পিং বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকে চীন বরাবরই বহুপক্ষবাদ সমর্থন করে এবং এর অনুশীলন করে আসছে। চীন আরও উন্মুক্তকরণ, সহযোগিতা এবং সমন্বয় অর্জনের চেতনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে অভিন্ন বিকাশ চায়। চীন বিভিন্ন সদস্যদেশের সঙ্গে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংককে সমর্থন দিয়ে যাবে। ব্যাংকটির পরিচালনায়, আন্তর্জাতিক সমাজের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাংকের প্রচেষ্টায়, এবং সাধারণ উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখার জন্য সব সদস্যকে নিয়ে কাজ করবে চীন।
গত ২৮ ও ২৯ জুলাই এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক বা এআইআইবি'র পঞ্চম পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত শাখা ফোরামে বলা হয়, এআইআইবি বহুপক্ষবাদের অনুশীলন অব্যাহত রাখবে এবং একে আন্তর্জাতিক বহুপক্ষীয় সহযোগিতার দৃষ্টান্তে পরিণত করার চেষ্টা চালাবে।
উল্লেখ্য, চীনের উদ্যোগে এআইআইবি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর বেইজিংয়ে অবস্থিত। ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি এআইআইবি উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এ ব্যাংকের সদস্যসংখ্যা ৫৭ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩টি এবং এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও ওশিয়ানিয়াসহ ছ'টি মহাদেশে রয়েছে এ সংস্থার সদস্য। গত চার বছর ধরে এআইআইবি বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পদ্ধতি ও নিয়মকানুন অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ব্যাংকটি আন্তর্জাতিকীকরণ ও উচ্চ মানদণ্ড বজায় রেখেছে। এআইআইবি ২৪টি সদস্যরাষ্ট্রে ৮০টিরও বেশি কাঠামোগত প্রকল্পে ২০০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যার ফলে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও অর্থনীতি একীকরণের প্রক্রিয়া বেগবান হয়েছে। যা এশিয়া, এমন কি বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তিনটি আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা- এস এন্ড পি, মুডিস ও ফিচরেটিংস ব্যাংকটির সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করেছে এবং এ মূল্যায়ন বজায় রাখার পূর্বাভাস দিয়েছে। জাতিসংঘও এ ব্যাংকের অবদানের প্রশংসা করে এবং ব্যাংকটিকে জাতিসংঘ সাধারণ সম্মেলনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
চলতি বছর কোভিড-১৯ বিশ্ব অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। এ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য এআইআইবি সময়মতো ১০০০ কোটি মার্কিন ডলার পুনরুদ্ধার তহবিল ঘোষণা করেছে। এ তহবিল সদস্য দেশগুলোর কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবহৃত হবে। এ পর্যন্ত তহবিলটি ভারত, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডসহ ১২টি দেশে ৫৯০ কোটি ডলার অর্থবরাদ্দ দিয়েছে। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত অনলাইন শাখা ফোরামে ব্যাংকটির গভর্নর চিন লি ছুন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে নিম্ন আয়ের দেশের দুর্বলতা, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে এআইআইবি ভবিষ্যতে নজর দেবে। তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে, যাই হোক-না-কেনও, আমরা সড়ক, রেল ও বন্দরের কাজ এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি, চিকিৎসা খাতে নির্দিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে নেব। কারণ, এ ক্ষেত্রে কাজ করলে জনশক্তির মান উন্নয়নের পাশাপাশি একটি রাষ্ট্রের উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে। এ বিষয়টি অবকাঠামো খাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা।
এআইআইবি নতুন ধরনের বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক। গত চার বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটি সব সদস্যদেশ আলোচনার মাধ্যমে কাজ করা, অর্জিত সাফল্য সবার সঙ্গে শেয়ার করার নিয়মে অবিচল রয়েছে। চিন লি ছুন বলেন, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বহুপক্ষবাদকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ থেকে কোনও দেশ নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। এ কারণে আমরা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং ইউরোপের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে আসছি। আমরা অনেক দেশকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, বেসরকারি সংস্থার জন্য অর্থবরাদ্দ এবং সরকারের বাজেট বিষয়ে সমর্থন দিয়েছি। গত ৪-৫ মাসে বহুপক্ষীয় সমর্থনগুলো ছাড়া নিম্ন আয়ের দেশগুলো যে কত সংকটে পড়ত, তা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
চীনের পেইতৌ তিন নং বৈশ্বিক উপগ্রহ ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা তৈরি ও কার্যকর হওয়ার অনুষ্ঠান আজ (শুক্রবার) বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চীনের প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং এ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে চীনের তৈরি ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ অবকাঠামো পেইতৌ ৩নং বৈশ্বিক উপগ্রহ ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো।
এদিনের অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান চাং ইউ সিয়া সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটি, রাষ্ট্রীয় পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের অভিনন্দন বাণী পড়ে শোনান। তিনি পেইতৌ ৩নং বৈশ্বিক উপগ্রহ ন্যাভিগেশন ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এটির গবেষণা ও নির্মাণে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি হলো চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানের শক্তিশালী দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, বিশ্বের গণ পরিষেবা অবকাঠামো নির্মাণে চীনের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান, নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিনিধিত্বকারী কৌশলগত সুফল।
জুলাই ৩১: আজ (শুক্রবার) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন বলেছেন, চীন অন্যান্য দেশের সঙ্গে মহাকাশ খাতে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং উন্নয়নের সুফলগুলো ভাগ করতে চায়।
তিনি বলেন, আজকের দিনটি চীনা জনগণের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং উচ্ছ্বাসের দিন। চীনের পেইতৌ ৩নং বৈশ্বিক উপগ্রহ নেভিগেশন ব্যবস্থা তৈরি ও কার্যকর হয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চীনের প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং এ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছেন।
আমরা বলি, পেইতৌ কেবল চীনের পেইতৌ নয়, বিশ্বের পেইতৌ। এটি শুধু চীনকেই নয়, গোটা বিশ্বকে সেবা দেবে। পেইতৌ সিস্টেম বিশ্ববাসীকে বেসিক নেভিগেশন, গ্লোবাল শর্ট মেসেজ যোগাযোগ, আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধার পরিষেবা দেবে।
জাতিসংঘের মহাকাশ বিষয়ক কার্যালয় সম্প্রতি এজন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।