আজের অনুষ্ঠানে চীনের খুব বৈশিষ্ট্যময় একজন গায়িকার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম আ তৌ। তিনি বিশেষ কণ্ঠ ও তার সুন্দর সংখ্যালঘু সংগীতের জন্য বিখ্যাত। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে তার কয়েকটি সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে একসঙ্গে শুনবো আ তৌ'র খুব জনপ্রিয় একটি গান 'বিদায়, খামেন'। গানটি ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়, আর ২০০৫ সালে চীনের বসন্ত উত্সবের গালা অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়, পরে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। নারীর মুক্তি ও স্বাধীনতার চেতনা গানে শক্তিশালী রূপে প্রকাশিত হয়েছে।
গান ১
আ তৌ ১৯৮০ সালে চীনের হুনান প্রদেশের চিশৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ৭ বছর বয়সে তিনি প্রথম পারফরমেন্স করেন এবং সে সময় তার উচ্চমানের নাচ ও সংগীত প্রতিভা প্রতিফলিত হয়। পরে তিনি হুনান প্রদেশের আর্টস স্কুলে নাচ শেখা শুরু করেন। আর্টস স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি হুনান প্রদেশের আর্টস ট্রুপে অংশ নেন। ১৯৯৮ সালে আ তৌ চীনের ৮ম জাতীয় তরুণ গায়ক সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি আর্টস ট্রুপ থেকে বিদায় নেন এবং পেশাদার গায়িকা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বন্ধুরা, এখন শুনুন আ তৌ'র গাওয়া একটি সুন্দর গান 'পরিবর্তন'।
গান ২
২০০০ সালে আ তৌ আনুষ্ঠানিকভাবে বিনোদন জগতে পা রাখেন। তবে শুরুতে তিনি বেশি গান গাওয়ার সুযোগ পাননি, বরং কিছু টিভি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৩ সালের শেষে আ তৌ তার প্রথম অ্যালবাম 'ছিদ্র' প্রকাশ করেন। অ্যালবামের বৈচিত্র্যময় ও বিশেষ সংগীতশৈলী অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি জনপ্রিয়তা পান।
বন্ধুরা, এখন শুনুন অ্যালবামের প্রধান গান 'ছিদ্র'। গানে আ তৌ তার বিশেষ কণ্ঠে ভালোবাসা অনুসন্ধানের কথা প্রকাশ করেছেন। চলুন গানটি শুনি।
গান ৩
২০০৪ সাল থেকে গান গাওয়ার পাশাপাশি আ তৌ বিভিন্ন চলচ্চিত্র, টিভি নাটক ও মিউজিকে অভিনয় করেছেন। ২০০৮ সালে আ তৌ তার দ্বিতীয় অ্যালবাম 'ধনভাণ্ডার' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামে তিনি সুর ও গান রচনা, প্রযোজক, নাচ, পোশাক তৈরিসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন, অ্যালবামে লোকসংগীত, পপ, ইত্যাদি সংগীতের উপাদন রয়েছে। তিনি বৈচিত্র্যময় শৈলীর মাধ্যমে বলতে চান যে, প্রতিটি মেয়ে হচ্ছে ধনভাণ্ডার, তার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্ধুরা, এখন শুনুন আ তৌ'র কণ্ঠে খুব সুন্দর একটি গান 'ধনভাণ্ডার'।
গান ৪
আ তৌ চীনের সংখ্যালঘু জাতির সংগীত ও সংস্কৃতি অনেক পছন্দ করেন। তিনি নিজ থুচিয়া জাতির মানুষ। একজন গায়িকা হিসেবে তিনি সংখ্যালঘু জাতির এসব সুন্দর সংগীত তুলে ধরতে চান। তার গানের মাধ্যমে সবাইকে চীনের সংখ্যালঘু জাতির সংগীতের সমারোহ দেখাতে চান। এজন্য আ তৌ ৫ বছর ধরে পাহাড়ে সংখ্যালঘু জাতির মানুষের সঙ্গে জীবনযাপন করেছেন, তাদের কাছ থেকে সংখ্যালঘু জাতির সংগীত ও সংস্কৃতি শিখেছেন। এ সময় তিনি এমনকি চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার--মিয়াও জাতির ড্রাম বাজানো শিখেন। পাহাড়ে ৫ বছর জীবনযাপনের পর, ২০১৭ সালে আ তৌ নতুন অ্যালবাম 'নবজন্ম' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবামে তিনি বিভিন্ন বিখ্যাত সংগীত প্রযোজকের সঙ্গে সহযোগিতা করে চীনের সংখ্যালঘু জাতির সংগীত ও ইলেকট্রনিক, ডান্স, জ্যাজসহ পাশ্চাত্যের আধুনিক সংগীত তুলে ধরেছেন, খুব বৈশিষ্ট্যময় ও আকর্ষণীয় গান সবার সামনে প্রকাশ করেছেন।
বন্ধুরা, এখন শুনুন অ্যালবামের আ তৌর কণ্ঠে খুব বিশেষ ও সুন্দর একটি গান 'নবজন্ম'।
গান ৫
বন্ধুরা, এখন আমরা আ তৌয়ের 'নবজন্ম' অ্যালবামের অন্য একটি বৈশিষ্ট্যময় গান 'বাবা বলেন' শুনবো। গানে চীনের মিয়াও জাতির বিশেষ সংগীত 'শুয়েই ছিয়াং' ব্যবহৃত হয়েছে এবং মিয়াও জাতির ভাষা দিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছে। গানে প্রকৃতি ও জন্মস্থানের প্রতি সংখ্যালঘু জাতির মানুষের ভালোবাসা এবং তাদের আন্তরিক, সরল ও সাদাসিধে চরিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
বন্ধুরা, চলুন গানটি শুনি। গান ৬
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা আ তৌয়ের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নতুন গান 'পছন্দ করি না কিন্তু ভালোবাসি' শুনবো। গানের সুর লোকসংগীত ও পপ সংগীতের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। গানের কথা ম্যান্ডারিন, ইংরেজি ও সংখ্যালঘু জাতির ভাষায় রচিত। এ গানে আ তৌয়ের 'নতুন চীনা জাতীয় সংগীতের' ধারণা ফুটে ওঠে। আশা করি গানটি আপনারা পছন্দ করবেন। গান ৭