১৯৮৮ সালে না ইং তাঁর প্রিয় কন্ঠশিল্পী সু রেই-এর গান গেয়ে সঙ্গীতমহলে পা রাখেন। একই বছর তিনি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের স্টাইলের গান 'গভীর পাহাড়ে' গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
১৯৯০ সালে না ইং 'পাহাড় না ঘুরলে নদী ঘুরবে' গেয়ে চীনের 'দেশের বেতারের' সঙ্গীত প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন এবং দেশের শ্রেষ্ঠ নতুন তরুণ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৯৪ সালে না ইং চীনের তাইওয়ান প্রদেশে নিজের প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'তোমার কথা দিন-রাত মিস করি' প্রকাশ করেন। এরপর না ইং যথাক্রমে 'দিন-রাতের কালো বুঝে না', 'জয়ী'সহ বিভিন্ন অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৯৭ সালে হংকং মাতৃভূমির কোলে ফিরে আসার উদযাপনের জন্য না ইং হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী লিউ দ্য হুয়ার সঙ্গে 'পূর্বাঞ্চলের মুক্তা' নামে গানটি গেয়েছেন।
২০০১ সালে না ইং নিজের অ্যালবাম 'দুঃখজনক রোমান্টিক' নিয়ে ১২তম তাইওয়ানের গোল্ডেন ম্যালোডি আওয়াডর্সের শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার নারী কন্ঠশিল্পী, শ্রেষ্ঠ গানের কথা রচনাকারীর পুরস্কার লাভ করেন।
২০০১ সালে না ইং-এর ষষ্ঠ অ্যালবাম 'আমি দেবদূত নই' প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালে না ইং-এর সপ্তম অ্যালবাম 'এখন' বাজারে আসে।
২০০৪ সালে না ইং প্রথমবারের মতো টিভি সিরিজে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনয় করা প্রেমের টিভিসিরিজ 'ভালোভাবে প্রেমে পড়তে চাই' প্রচারিত হয়।
২০০৬ সালে না ইং প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ে করেন। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রের নাম 'হাল্কা নীল, গভীর নীল'। এরপর না ইং বিয়ে করা এবং সন্তানপ্রসবের জন্য সঙ্গীত মহল থেকে সরে যান।
২০০৯ সালে না ইং 'সেই ২০ বছর' নামের বিশ্ব ট্যুর কনসার্ট আয়োজন করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতমহলে ফিরে আসার ঘোষণা দেন।
২০১১ সালে, নয় বছর পর, তিনি আবার একটি সঙ্গীত অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এর নাম 'তা সত্ত্বেও'।
২০১৩ সালে না ইং 'না বিশ্ব' নামের বিশ্ব ট্যুর কনসার্ট আয়োজন করেন। ২০১৪ সালে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র 'এক ধাপের দূরত্ব' রিলিজ হয়।
২০১৬ সালে না ইং-এর আরেকটি অ্যালবাম 'নাসিং' প্রকাশিত হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী না ইং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে, শোনা হবে গান। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)