১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করা মিয়াও জাতির তরুণ ছেলে সি চ্য হুই বহু বছর ধরে বাইরে বড় বড় শহরে কাজ করছিলেন। ২০১৯ সালের বসন্ত উৎসবের সময় তিনি জন্মস্থানে ফিরে দেখেন যে, চা বাগানের মাধ্যমে গ্রামে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, গ্রামে ফিরে নিজের জীবন উন্নত করবেন। তিনি বলেন,
চা চাষ করা প্রকল্পের মাধ্যমে আমার জন্মস্থানের বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। আমি ফিরে গিয়ে নিজের চিন্তা বাস্তবায়ন করতে চাই, আমার নিজের বাসায় একটি হোস্টেল খুলে পর্যটকদের সেবা দিতে চাই। মাঝে মাঝে আমি অনলাইনে নিজের তৈরি ছোট ভিডিও পোস্ট করি, আমাদের গ্রামের কৃষিজাত দ্রব্য সবার কাছে তুলে ধরি। পর্যটকরা ছোট ভিডিও দেখে এসব পণ্য কিনতে পারে।
২০১৯ সালের মে মাসে সি'কে ওয়েং ছাও গ্রামের 'নির্মাণ ও উন্নয়ন কমিশনের' সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়। তিনি পরিবেশ উন্নয়ন, হোস্টেল নির্মাণ ও পর্যটন কাজ করেন। তিনি ছোট ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন, তিনি গ্রামের সুন্দর দৃশ্য ও গ্রামের রীতিনীতি সুন্দর ভিডিও'র মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরেন। এর ফলে চীনের একটি টেলিভিশন এখানে লাইভ শো আয়োজন করে। এর মাধ্যমে ওয়েং ছাও গ্রাম আরো বিখ্যাত হয়ে ওঠে। পর্যটকরা এখানকার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। পর্যটকদের ভালো সেবা দেওয়ার জন্য ওয়েং ছাও গ্রামে সব হোস্টেল পরিচালনা করে গ্রামটি।
সি জানান, এখন সব হোস্টেল আমাদের গ্রামের কমিশনে যোগ দিয়েছে। তারপর গ্রামবাসীদের মুনাফা বিতরণ করা হয়।
২০১৯ সালে ওয়েং ছাও গ্রামটি পর্যটন খাতে আয় করে দেড় লাখ ইউয়ান। গ্রীষ্মকালের ছুটিতে চার হাজারেরও বেশি পর্যটক এখানে আসে। গ্রামবাসীদের কৃষিজাত দ্রব্যও পর্যটকদের প্রিয় জিনিস।
সি জানান, গত বছর আমাদের গ্রামের সব মুরগি বিক্রি হয়ে যায়। অনেকেই আমাদের কৃষিজাত দ্রব্য কেনার জন্য অনেক দূর থেকে এখানে আসেন। কৃষকদের আয়ও এখন অনেক বেড়েছে।
এখন ওয়েং ছাও গ্রাম সচ্ছল হওয়ার পথে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। সি বলেন, আগে আমাদের এখানে খুব কম মানুষ আসত। কেউই জানত না যে এখানে ওয়েং ছাও নামে গ্রাম আছে। এখন আমি মানুষদের অভ্যর্থনা জানাই, কৃষকদের নেতৃত্ব দিয়ে সচ্ছল জীবন বাস্তবায়ন করেছি। যা আমার আগের জীবনের চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জন্মস্থানের জন্য কিছু করা মানেই নিজের জন্মস্থানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)