দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য মানুষের জ্ঞান বাড়াতে হবে
  2020-07-08 18:39:52  cri

৩৯ বছর বয়সী চাং দ্য হুয়া চীনের হু নান প্রদেশের ই ইয়াং শহরের মানুষ। ছোটবেলায় তাঁর বাবা মারা যান; ছোটবেলাতেই তিনি স্কুল থেকে ঝরে পড়েন। অল্প বয়সে তিনি বাইরে গিয়ে চাকরি করা শুরু করেন। তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা খুব জটিল ও কঠিন। তবে এ কারণে তিনি ছিলেন খুব পরিশ্রমী, তিনি নিজের হাতে সুন্দর জীবন গড়তে চান। ২০০৮ সালে ই ইয়াং শহরের বিভিন্ন সুবিধাজনক নীতির সমর্থনে তিনি জন্মস্থানে ফিরে নিজের চেতনা বাস্তবায়ন শুরু করেন।

তাঁর চোখে তাঁর ভাগ্য পরিবর্তনের মূল কারণ হলো "জ্ঞান"। তিনি বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন করতে চাইলে প্রথম মানুষের জ্ঞান বাড়াতে হবে। যদি মানসিক দিক থেকে অনেক দরিদ্র হয়, তাহলে যত সাহায্য করাই হোক, কোনো পরিবর্তন হবে না। তিনি ১৬ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করে দক্ষিণ চীনে টাকা উপার্জনের জন্য চলে যান। রেস্তরাঁর সেবক, রাস্তায় ছোট জিনিস বিক্রি, ফল বিক্রির মতো অনেক কাজ করেছিলেন তিনি। পরিশ্রমের পর তিনি আবিষ্কার করেন যে, জীবনে কোনও লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারলেই কেবল পরিশ্রমের সুফল পাওয়া যায়।

চেতনা উন্নয়নের যাত্রায় তিনি জ্ঞানের শক্তিও উপভোগ করেন। বাইরে চাকরি করার ১০ বছর বয়সে তিনি সবসময় জন্মস্থানের রোদে শুকানো নোনতা চীনা বাঁধাকপির স্বাদ খুব মিস করতেন। তিনি ভাবেন, এখন মানুষের জীবন অনেক ব্যস্ত, যদি এমন শাকসবজিকে টিনজাত করে ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে কতই না ভালো হয়!

শুরুর দিকে তিনি এই কাজ সম্পর্কে খুব আস্থাবান ছিলেন। তিনি ভাবতেন, ভালো বাবুর্চি পেলে শাকসবজিকে ক্যানে রাখাই যথেষ্ট। তবে তিনি পরে আবিষ্কার করেন যে, খাদ্যের মানদণ্ড ঠিক রাখা জরুরি। প্রথম ক্যানের স্বাদ এবং পরবর্তী ১ লাখ ক্যানের স্বাদ একই রকম হতে হয়। সৌভাগ্যের বিষয় হলো, ই ইয়াং শহরের তরুণদের সমর্থন কেন্দ্রের মাধ্যমে মিস্টার চাং হু নান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সহযোগিতা পান। ভালো নীতির সাহায্যে মিস্টার চাং-এর টিনজাত খাদ্যের চেতনা সুষ্ঠুভাবে উন্নত হয়। শাকসবজির চাষ থেকে পণ্যদ্রব্যের উত্পাদন পর্যন্ত, পুরো প্রক্রিয়ায় পেশাদার তত্ত্বাবধায়কের সাহায্য পান তিনি।

ই ইয়াং শহরে, মিস্টার চাং এমন সুবিধা পাওয়া একমাত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়। মিস্টার চাং জন্মস্থানে ফিরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছেন। অনেক কৃষক এতে লাভবান হয়েছে। এর পিছনে ছিল উদ্ভাবন নীতির ব্যবস্থা এবং মিস্টার চাং-এর মতো জ্ঞানপিপাসু অনেক মানুষ। মিস্টার চাং-এর শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় ১১৯৩টি দরিদ্র পরিবার দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। জুন মাসে তাঁর নতুন কারখানা তৈরি হওয়ার পর আরো বেশি স্থানীয় জনগণ লাভবান হবে।

মিস্টার চাং বলেন, নতুন ধরনের কৃষক মানে কি? আমি মনে করি, নতুন ধরনের কৃষকের জ্ঞান থাকতে হবে, প্রযুক্তিকে বুঝতে হবে, আর ইন্টারনেট ব্যবহারের চিন্তাধারা পোষণ করতে হবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040